বুধবার | ১৬ জুলাই | ২০২৫

জীবিত আছেন গাদ্দাফীর ছেলে সাঈফ, আগামীতে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইঙ্গিত!

spot_imgspot_img

লিবিয়ার সাবেক সর্বোচ্চ নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফীর সন্তান সাঈফ আল-ইসলাম গাদ্দাফী জীবিত আছেন। সম্প্রতি তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিবিয়া এবং নিজের নানা বিষয়ে কথা বলেন।

নিউ ইয়র্ক টাইমসকে সাঈফ জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান।

তিনি বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে’।

দীর্ঘদিন পর আলোচনায় লিবিয়ার সাবেক লিবিয়ার সাবেক সর্বোচ্চ নেতা গাদ্দাফীর সন্তান সাঈফকে নিয়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি আর বেঁচে নেই। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে সম্প্রতি রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পশ্চিমে নাফুশ পার্বত্যাঞ্চলের জিনতান মালভূমি এলাকায় মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছ নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। গাদ্দাফীর ছেলে বেঁচে থাকা এবং তার রাজনীতিতে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে শুক্রবারের প্রতিবেদনের পর তোলপাড় নানা মহলে।

সাংবাদিক সাঈফকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি বন্দী কি না। জবাবে সাঈফ বলেন, তিনি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছেন। এক দশক আগে যারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাঈফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারে। সাঈফ বলেন, ‘আপনি কল্পনা করতে পারেন? যারা আমাকে বন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তাঁরা এখন আমার ভালো বন্ধু’।

বাবা গাদ্দাফী হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফীর সাত সন্তানের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনজন। ২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে গাদ্দাফী খুন হওয়ার একদিন পর সাঈফও ধরে পড়েন।

সংবাদমাধ্যমটিকে সাঈফ জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান। বলেন, ‘আমি দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে’।

২০১১ সালে লিবিয়ার একটি মরুভূমি থেকে আটক হন সাঈফ । বাবার মৃত্যুর পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাঈফকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img