৫০ শতাংশেরও বেশি সুইডিশ কুরআন পোড়ানো নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়নকে সমর্থন করেন।
সম্প্রতি মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন পোড়ানো নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়ন বিষয়ে একটি জরীপ চালায় ইউরোপের বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপো।
১৪ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিনের জরীপে দেখা যায় ৫০ শতাংশেরও বেশি সুইডিশ মনে করে কুরআন ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ পোড়ানো বন্ধে নিষিদ্ধকরণ আইন বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। আর ৩৪ শতাংশ সুইডিশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পোড়ানোকে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার অংশ বলে মনে করে। জরীপে অংশগ্রহণকারী বাকি ১৫ শতাংশ সুইডিশ কোনো মন্তব্য করেনি।
তাছাড়া সুইডেনের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এসভিটির তথ্যানুযায়ী, কুরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৮৮ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা বা ৮.৫ মিলিয়ন ডলার লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে।
কেননা ডেনমার্ক ও সুইডেনের যৌথ নাগরিক কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ডেনিশ রাজনৈতিক দল স্ট্রাম ক্রুসের নেতা রাসমাস পালুদান রমজান মাস জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে কুরআন পোড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় সুইডেন জুড়ে দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটেছিলো।
এছাড়াও গত জানুয়ারিতে প্রথমে সুইডেনে তারপর সম্প্রতি ডেনমার্কের তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী এই নেতার দুই দুইবার কুরআন পোড়ানোর ঘটনা বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে সৌদি আরব, জর্ডান,কুয়েত, লেবানন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরাক ও লেবাননসহ প্রায় পুরো মুসলিম বিশ্বে।
এছাড়াও দূতাবাসের সামনে কুরআন পোড়ানোর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে তুরস্ক। বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রভাবশালী মুসলিম দেশটি।
সূত্র : আনাদুলু নিউজ এজেন্সি