২০২২ সালে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের স্থাপিত ৯৫৩ টি অবকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের পর থেকে ইসরাইল কতৃক এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক স্থাপনা ধ্বংসের ঘটনা।
গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “২০২২ সালে জেরুসালেম ও পুরো পশ্চিম তীর জুড়ে ফিলিস্তিনিদের স্থাপিত মোট ৯৫৩ টি অবকাঠামো বাজেয়াপ্ত ঘোষণা ও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসব কাঠামোর মধ্যে ১০১টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তার সদস্য দেশগুলির দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। যার মূল্যপ্রায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৬০ মার্কিন ডলার। ২০১৬ সালের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষতি।”
এছাড়া বিবৃতিতে ২০২২ সালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ৮৪৯ জন ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৬৫ সালে ইসরাইল এন্ড প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার মাধ্যমে পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীরকে যথাক্রমে এরিয়া এ,বি, ও সি তে বিভক্ত করা হয়।
বিবৃতিতে অনুযায়ী, যেসব অবকাঠামোগুলি ধ্বংস করা হয়েছে তার ৮০ শতাংশই পশ্চিম তীরের এরিয়া ‘সি’ তে অবস্থিত।
এই এলাকাটি সম্পূর্ণ ইসরাইলী দখলদার বাহিনীর সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেখান থেকে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে স্থানচ্যুত করা হয়েছে। মূলত ‘বিল্ডিং পারমিট’ অথবা নির্মাণ অনুমতির অভাবের অজুহাত দেখিয়ে এই এরিয়াতে ফিলিস্তিনি স্থাপনাগুলি ব্যাপকভাবে ধ্বংস করে ইসরাইল।
উল্লেখ্য; ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিবৃতির বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি অবৈধ রাষ্ট্রটির কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর