Home Blog Page 1622

মেয়েদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে পরিবার ও সমাজকে সচেতন হতে হবে : স্পিকার

0

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানোর জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী মেয়েদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে পরিবার ও সমাজকে সচেতন হতে হবে।

আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাজধানী ঢাকায় শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক স্টেফান লিলার। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান কল্লোল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৫ জন নারীকে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার ২০২২’- সম্মাননা প্রদান করা হয়।

স্পিকার বলেছেন, নারীরা আজ উদ্যোক্তা হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছেন। তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। অসংখ্য প্রতিভাসম্পন্ন নারী পরিবারের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেও সমাজ ও দেশ গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, যথাযথ সুযোগ দিলে নারীরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর আইনগত মডেল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নারীরাও আজ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন। জয়িতারা আজ নিজ যোগ্যতায় পুষ্পিত, পল্লবিত ও বিকশিত।

ধর্মীয় অপব্যাখ্যা ও রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

0

রাজনৈতিক কারণে আর ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে মগজ ধোলাই অব্যাহত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বছরে রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করা হচ্ছে। আরেকটি পক্ষ রয়েছে— যারা ধর্মটাকে অপব্যবহার করে সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য।’

বুধবার (২৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে “জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও দেশব্যাপী প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ” শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যেমন ষড়যন্ত্র হয়েছে, তেমনই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়েও অনেক বাধা তৈরি হচ্ছে। আমাকে এবং বইয়ের লেখক জাফর ইকবাল ভাইসহ (শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল) বেশ কয়েকজনকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন— চামড়া মোটা করতে হবে, পিঠে কুলা বাঁধতে হবে। কিন্তু আমরা দমে যাবার পাত্র নই। আমাদের দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবার জন্য, আর যে স্বপ্ন নিয়ে এত ত্যাগের বিনিময়ে দেশটি তৈরি হয়েছিল, সেই স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছাবার জন্য— আমাদের যা কিছু এখন করণীয়, তা আমাদের করতেই হবে। এটা আমাদের কর্তব্য। এটা আমাদের দায়িত্ব। এটা আমাদের পালন করতেই হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি তো নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতা তো আছেই। সব দেশেই থাকে, আমাদের দেশেও আছে। আমাদের দেশের ধরনটা হয়তো ভিন্ন, টক্সিট। এখানে (বাংলাদেশে) বিরোধিতা করলে একটি পক্ষ আছে— যারা আমাদের পক্ষটাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। গ্রেনেড মেরে, বোমা মেরে গুলি করে, নানান পদ্ধতিতে। নির্বাচন সামনে, তারা খুব সক্রিয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুব বেশি ইস্যু-টিস্যু পাওয়া যাচ্ছে না। কাজেই শিক্ষাক্রম ও বইয়ের ওপর বিরোধিতা করার একটা প্রচেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটা পক্ষ যারা ধর্মটাকে অপব্যবহার করে, সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। যদি শিক্ষার্থীরা ভাবতে শিখে যায়, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভলো-মন্দ, সাদা-কালোর তফাৎ করতে যদি শিখে যায়, শিক্ষার্থীরা যদি সুক্ষ্ম চিন্তা করতে শেখে, তাহলে তাদের মগজ ধোলাই আর করা যাবে না। এই চক্রের মূল কাজ হলো মগজ ধোলাই। সেটি করা যাবে না, সেজন্য তাদের খুব আপত্তি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

আমেরিকার গণতন্ত্রকে দুর্বল বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

আমেরিকার গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। দেশটির গণতন্ত্র দুর্বল। তাই দেশটি গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরও সোচ্চার করতে দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশন তৈরে করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি।

বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাকিদকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকার উদ্বেগ রয়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের ইমেজ বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। গত নির্বাচনে (মার্কিন নির্বাচন) তাদের দেশের অন্য দল বিশ্বাসই করেনি, আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।

গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না। কারণ, আমরাই একমাত্র দেশ যারা গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য মানবিকতার জন্যে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছি। এটা অনেকে ভুলে যান, অন্য কেউ এত প্রাণ দেয় নাই।

তিনি বলেন, টাকা নিয়ে ওইদেশে যারা যায় তাদের তথ্য বিদেশি সরকার আমাদের দেয় না। সরকারি তথ্য না হলে… আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সেগুলো বেসরকারি তথ্য। বেসরকারি তথ্যের বেসিসে আপনি খুব একটা অ্যাকশন নিতে পারবেন না।

বিদেশি সরকারের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার তথ্য চেয়েছে কী না? -জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমরা চেয়েছি, তারা তাল বাহানা করে। তারা একটা না একটা আইন দেখায়। তবে এটার দায়িত্ব কিন্তু দুদকের। তারা এগুলো দেখবে। তারা বড় সংস্থা, তাদের টাকা পয়সা আছে।

ফিলিস্তিনের নাবলুসে মসজিদ ধ্বংসের আদেশ দিল ইসরাইল

0

ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখলদার কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের দক্ষিণ হেবরনের পাহাড়ি এলাকা মাসাফের ইয়াত্তায় অবস্থিত একটি মসজিদ ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছে। এমন সময় এ মসজিদটি ধ্বংসের আদেশ এসেছে, যখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করছে।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের আল ওয়াফা নিউজ এজেন্সি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

মাসাফের ইয়াত্তার ‘দখলদার প্রতিরোধ কমিটির’ প্রধান রেটব জাবুর জানান, হেবরনের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত এ মসজিদটিতে মাসাফের ইয়াত্তা ও দক্ষিণ হেব্রন পাহাড়ের বাসিন্দারা সালাত আদায় করে থাকে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ মসজিদটি ভেঙে ফেলার নোটিশ প্রদান করেছে দখলদার ইসরাইল।

গত বছরের ৪ মে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চল থেকে বহিষ্কার করার রায় দেয় ইসরাইলের উচ্চ আদালত। রায়ে বলা হয় এ অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিদের পরিকল্পিতভাবে বহিষ্কার করার ক্ষেত্রে কোন আইনি বাধা নেই। যদিও জাতিসংঘ এ রায় কে বাসিন্দাদের ‘জোরপূর্বক উচ্ছেদ’ বলে অভিহিত করে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়-বিষয়ক কার্যালয়ের (ওসিএইচএ) তথ্যমতে মাসাফের ইয়াত্তায় ২১৫ টি ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করছে। যার মধ্যে ৫৬৯ জন শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য; ১৯৮০ এর দশকে মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলটিকে ‘ফায়ারিং জোন ৯১৮’ হিসেবে ঘোষণা করে দখলদার ইসরাইল। এই ঘোষণার পর থেকে সেখানকার স্থানীয় ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও স্থানান্তরের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

ইনসাফের সাব-এডিটর রায়হান আল কাবিরের বাবা ইন্তিকাল করেছেন

0

ইনসাফের সাব-এডিটর রাইহান আল কাবিরের বাবা আলহাজ্ব মুহাম্মাদ জোহর আলী ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ বুধবার (২৯ মার্চ) বাদ ফজর পঞ্চগড়ের জগদলে তার নিজ বাড়িতে ইন্তিকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৭ বছর। তিনি পঞ্চগড়ের জগদল বাজার জামে মসজিদে দীর্ঘ দিন মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিকাল ৩ টায় জগদল হাইস্কুল মাঠে জানাজা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। মরহুমের ছেলে রায়হান আল কাবির সকলের কাছে তার পিতার মাগরাত কামনায় দু’আ চেয়েছেন।

দেশে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার

0

দেশে এখন বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে বেকার পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার আর বেকার মহিলার সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার।

বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত “শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২”-এ চিত্র উঠে এসেছে।আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে এ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিবিএস।

এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পায় না। বেকারত্বের এই হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেওয়া মানদণ্ড অনুযায়ী। আইএলও মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।

বিবিএসের হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২ সালে বেকারত্বের হার কমেছে। আগে যেখানে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ এখন কমে সেটি হয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, দেশে মোট শ্রমশক্তি ৭ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার। যার মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৮ হাজার এবং মহিলা ২ কোটি ৫৯ লাখ ৩ হাজার।

এদিকে ১৫ বা তদুর্ধ্ব বয়সী শ্রমশক্তির বাহিরে রয়েছে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৪ কোটি ৬৯ লাখ। অন্যদিকে কর্মে নিয়োজিত আছে এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৭ কোটি ৭৮ লাখ।

ইসির সঙ্গে আলোচনা হবে অর্থহীন: মির্জা ফখরুল

0

নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে, তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনা অর্থহীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন স্বাধীন নয়, সেহেতু আলোচনায় কোনো ফল আসবে না। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনায় না বসার সিদ্ধান্ত বিএনপির।

বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে এ সরকার পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে দেশের মানুষ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও সমমনা দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য চিঠির মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

অপরকে বিএনপিকে দেয়া সংলাপের আহ্বান ইস্যুতে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের জন্য দলটিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি কোনো এজেন্ডা দিলে কমিশন ভেবে দেখবে। বিএনপিকে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়নি।

লেবানন সেনাবাহিনীকে ষষ্ঠ দফা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে কাতার

0

২০২২ সালের জুন মাসে তীব্র অর্থ সংকটে থাকা লেবাননের সেনাবাহিনীকে সমর্থন ও কর্মীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি সমৃদ্ধশালী দেশ কাতার। যার ষষ্ঠ দফা ইতিমধ্যে লেবানন সেনাবাহিনীর হাতে পৌঁছেছে।

গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) লেবাননের সেনা কমান্ডার জোসেফ আউন এক বিবৃতিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি সর্বপ্রথম কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-ছানির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি লেবাননের বর্তমান আর্থিক সংকট বিবেচনা করে এটিকে ‘অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, এসব আর্থিক অনুদান সকল সামরিক কর্মীদের ‘সমানভাবে’ বিতরণ করা শুরু হয়েছে।

গত বছরের আগস্ট মাসে বরাদ্দকৃত এই অর্থের প্রথম কিস্তি দিয়ে সেনাদের বেতন পরিশোধ করা হয়।

এর পূর্বে ২০২১ সাল জুড়ে লেবানন সেনাবাহিনীকে প্রতি মাসে ৭০ টন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছে তার ভাতৃপ্রতিম দেশ কাতার।

উল্লেখ্য; ২০১৯ সাল থেকে লেবানন ব্যাপকভাবে আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়। ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগরীয় এ দেশটি ঋণ খেলাপির মুখে পড়ে। যার ফলে স্থানীয় মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ৯৫ শতাংশ মূল্য হারায়‌। পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে যায় যে, লেবাননের পাঁচ জন মানুষের মধ্যে চারজনকে দারিদ্র বলে চিহ্নিত করা হয়। এ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সেনাবাহিনীর বেতনেও টান পড়ে। কমিয়ে দেওয়া হয় সামরিক বাজেট। ফলশ্রুতিতে নিজেদের মৌলিক চাহিদা ও সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হয় লেবাননের সেনাবাহিনী। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে ২০২০ সালে খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে কর্তব্যরত সৈন্যদের খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দেওয়া হয়।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর ও সিএনএন

সাংবাদিকতার ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে : নানক

0

সাংবাদিকতার সাথে কোনো ষড়যন্ত্র যুক্ত হলে সেই ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, সাংবাদিকতা নৈতিকতায় পরিপূর্ণ। সাংবাদিকতার সঙ্গে নৈতিকতাও রক্ষা করতে হবে। যদি সাংবাদিকতার সাথে কোনো ষড়যন্ত্র যুক্ত হয় তাহলে আমরাও ছেড়ে দিবো না। সেই ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিবই দিব ইনশাআল্লাহ।

বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক প্রথম আলোর নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও কল্পকাহিনীর প্রতিবাদে মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে সবুজকে জাকির নাম দিয়ে (দৈনিক প্রথম আলোতে) সংবাদ ছাপা হয়েছে। কি কারণে? কি উদ্দেশ্যে ছাপলো? এই পত্রিকা সবসময় প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এটি নতুন কোনো ষড়যন্ত্র নয়; যারা বাসন্তীকে জাল পড়িয়ে ছবি ছাপিয়ে বিশ্ববাসীকে একটি বার্তা দিয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের ষড়যন্ত্রে করেছিল। সেই বাসন্তী ষড়যন্ত্র এখনো চলমান রয়েছে।

স্বাধীনতা দিবসের দিনে দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরটি ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছিল সংবাদ প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে নিয়ে তারা প্রমাণ করেছে প্রতিদেনটি উদ্দেশ্যমূলক।

নূরে আলম সিদ্দিকী ইন্তিকাল করেছেন

0

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা ও স্বাধীন বাংলা ছাত্র পরিষদের অন্যতম নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ বুধবার (২৯ মার্চ) ভোররাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ হেলিকপ্টার যোগে ঝিনাইদহে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাদ জোহর জানাজার পর গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আছর তার দ্বিতীয় জানাজা হবে।