Home Blog Page 1629

দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে ঢাকা

0

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৬০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

এদিন ২২০ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। ১৮১ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৭৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৬৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চীনের উহান।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৫৩ নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। ১৪১ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে চীনের শেনিয়াং। ১২৫ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ। ১১৯ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১১৭ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু।

এর আগে পুরো ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

ব্যাংকিং খাতের সংকটে ঝুঁকির মুখে বিশ্ব অর্থনীতি: আইএমএফ

0

বিশ্বের বাজার নিয়ন্ত্রকদের আগাম সতর্ক করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়া এবং সংকটে পড়ার ঘটনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তার মতে, শিগগিরই বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা টালমাটাল হতে চলেছে।

রোববার (২৬ মার্চ) বেইজিং সফররত ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ব্যাংকিং খাতে সাম্প্রতিক যে ঝড় উঠেছে তার কারণেই ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। তাই বিশ্ব বাজারের নিয়ন্ত্রকদের বিষয়টির ওপর ‘নজর রাখার’ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

ক্রিস্টালিনা বলেন, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেই সমস্যা মোকাবিলা করতে বিশ্বের সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বর্ধিত সুদহার ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এমনকি তা ঋণদাতা দেশগুলোর অর্থনীতিতেও চাপ তৈরি করেছে। ক্রিস্টালিনার মতে, এসব কিছুই বৃহত্তর আর্থিক ব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা কম সুদের হার থেকে হঠাৎ বেশি হারের সুদের এই উত্তরণের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনীতির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়া, অর্থনীতির দুর্বল বা অতি সংবেদনশীল হয়ে যাওয়া। ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধি কমে ৩ শতাংশেরও নিচে চলে এসেছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪৯

0

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৭৬ পিস ইয়াবা, ১৫ কেজি ৪৫০ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ১৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩২টি মামলা হয়েছে।

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, মৃত ২৯

0

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই দু’টি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকা দুটি ডুবে যায়।

জানা গেছে, নৌকা দু’টির আরোহী সাব-সাহারান অভিবাসী। তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।

রোববার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবির যেসব ঘটনা ঘটেছে, এটি তার মধ্যে সর্বশেষ। এছাড়া সেখানে গত চার দিনে আরও পাঁচটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। অবৈধ ও অনথিভুক্ত আফ্রিকান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়া অভিযান শুরু করার পর নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটল।

সূত্র : বিবিসি

রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ করা যাবে না

0

পবিত্র রমজান মাসে কেউ একবারের বেশি ওমরাহ পালন করতে পারবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৬ মার্চ) সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা হজ করতে চান তাদের নুসুক অ্যাপ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। নির্ধারিত সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে ওমরার তারিখ পরিবর্তনের কোনো অপশন নেই। তাই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডিলিট করে নতুন করে অনুমোদন নেওয়া যাবে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, অ্যাপয়েন্টমেন্টগুলো পর্যায়ক্রমে আপডেট করা হয়। কেউ যদি কাঙ্ক্ষিত আসন খালি না পান তাহলে পরবর্তী তারিখের জন্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।

বিশ্বে করোনায় আরও ১৩৯ জনের মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত

0

করোনায় বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫৭৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮৬ হাজার ৬০১ জন।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯৪০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।

এ ছাড়া আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৪১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৩২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩৬১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছে ৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।

একইসময়ে চিলিতে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। ডেনমার্কে আক্রান্ত হয়েছে ১১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। সার্বিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। নিউজিল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬০৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আজারবাইজানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫১ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ লাখ ২৬ হাজার ৯১৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৫ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৭২৮ জন।

আগের ২ শর্ত বহাল রেখে বাড়ল খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ

0

আগের দুই শর্তেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার। এবারও এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ছয় মাসের জন্য। এ নিয়ে ষষ্ঠ দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ল।

রবিবার (২৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এবারও শর্ত রয়েছে খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। এরপর ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। মাঝে অসুস্থতার জন্য কয়েক দফায় হাসপাতালেও কিছু দিন ছিলেন তিনি।

২০২০ সালে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ নতুন আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কেন্দার। তবে পরিবার খালেদাকে বিদেশ নিতে চাইলেও তাতে সায় দিচ্ছে না আইন মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। রায় হওয়া দুটি ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও ৩৪টি মামলা রয়েছে।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ন্যায় বিচারের পরিবর্তে সর্বত্র বিচারহীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : মাওলানা ইউনুছ

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের যে অঙ্গীকার ছিল তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ যে ভিত্তির উপরে সংগঠিত হয়েছিল, সে সকল বিষয়গুলো আজ চরমভাবে উপেক্ষিত। সাম্যের বিপরীতে বেড়েছে বৈষম্য, দিন দিন ঘটছে মানবিকতার চরম অবক্ষয় এবং সামাজিক ন্যায় বিচারের পরিবর্তে সর্বত্র বিচারহীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে ধর্মপেক্ষতার কথা ছিল না। ’৭২ সালে সংবিধানে ধর্মপেক্ষতা সংযোজন করা হয়। ইসলামী শিক্ষাকে তুলে দেওয়ার চেষ্টায় ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী মতবাদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। নিত্যপণ্যের বার বার দাম বৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

আজ রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত “মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছর; প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা ইউনুছ বলেন, আজ সারা দেশে দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। যেন বাজার ব্যবস্থাপনায় কারও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। যেখানে গোটা বিশ্বে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য হ্রাস করা হয়, সেখানে বাংলাদেশের একদল অসাধু ব্যবসায়ী সরকারের অবৈধ মদদে সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করে রাখে। অতিদ্রুত বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নতুবা এই বাজারে আগুনেই একদিন স্বৈরশাসনের পতন হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মওলানা ইমতিয়াজ আলম-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. মোঃ শহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর
রাজ্জাক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ নূরুজ্জামান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কে এম শরীয়াতুল্লাহ (সঞ্চালনা), দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খোকন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম রফিকুল ইসলাম, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামাল হোসেন, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক শেখ আবু তাহের, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব ইসমাঈল হোসেন, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন গাজী, সদস্য গোলামুর রহমান আজম, প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা, প্রকৌশলী তাজওয়ার হাসান।মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী একটি গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার নামে দেশটাকে নর্তকি ও নষ্টামির সাগরে ডুবিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। সম্প্রতি ভারতকে সিলেট ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেশের স্বাধীনতাকে গোলামীর জিঞ্জিনের আবদ্ধ করার নতুনভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। তিনি ভারতের সাথে যে কোন চুক্তি করতে হলে
জনগণের সাথে আলোচনা করতে হবে।

স্বাধীনতার সুফল পেতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মাওলানা হামিদী

0

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, স্বাধীনতা মহান আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিয়ামত। এটা একক কারোর অর্জন নয়। আমাদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুফল পেতে ইসলামী আদর্শনির্ভর ‘কল্যাণরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেখানে সুদ ঘুষ স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি থাকবে না। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচারের পথ চিরতরে বন্ধ হবে।

আজ রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর লালবাগ থানা শাখা আয়োজিত মহান স্বাধীনতার তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী আরো বলেন, ব্রিটিশদের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলার জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিল ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। কিন্তু পাকিস্তানী শাসককরা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা ও নীতি-আদর্শে অটল থাকেনি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার চর্চা সেখানে হয়নি। নেওয়া হয়নি ইসলামী আদর্শনির্ভর ‘কল্যাণরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও। আঞ্চলিকতা-স্বজনপ্রীতি, জুলুম-অত্যাচার ও স্বৈরাচারী নীতির কারণে পাকিস্তানে চরম সংকট সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের মুসলমানরা ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বঞ্চিত হতে থাকে নিজেদের জীবনযাপনের সর্বপ্রকার মৌলিক অধিকার থেকে। সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন নিরঙ্কুশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন। কিন্তু পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠি তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। পাকসেনাচক্র হামলে পড়ল বাংলাদেশের জনগণের ওপর। ২৫ মার্চের ভয়ঙ্কর কাল রাতের সৃষ্টি করল। তখন বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতা অর্জনের বিকল্প ছিলনা। বাঙালি জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কাঙ্খিত স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ইসলামী চেতনার কোনো সঙ্ঘাত নেই। যারা এ নিয়ে সঙ্ঘাত সৃষ্টি করতে চায়, তারা দেশ ও জাতির দুশমন। মহান স্বাধীনতার সুফল সুরক্ষায় সরকারকে স্বার্থন্বেষী মহলের লুটপাট, দুর্নীতি ও বিদেশে সম্পদ পাচারের গলিপথ বন্ধ করতে হবে। যারা দেশের সম্পদ লোপাট করে সম্পদের পাহাড় গড়ে, তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না।

থানা শাখা আহবায়ক মাওলানা হাফেজ সাইফুল ইসলাম জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মুফতী আখতারুজ্জামান আশরাফী, সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতী নাঈম হোসাইন, মাষ্টার শরীফুল ইসলাম ও মাওলানা আবু বকর প্রমুখ।

স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম করলেও ন্যায়বিচার আজও প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি : মাওলানা যোবায়ের আহমদ

0

খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম হলেও আজও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা এই তিন মৌলিক চেতনাকে সামনে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর তাঁরা দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। দেশে বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে আজও লড়াই করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিকতা,
দেশপ্রেমিক ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন নেতৃত্বের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পারিবারিক ও সামাজিক অনাচার বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ শনিবার (২৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা যোবায়ের আহমদ বলেন, একদিকে সিয়াম সাধনার মাস চলছে অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটগুলো মিলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অসহনীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি করে রেখেছে। জ্বালানী তেল সহ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে জাতি আজ মুক্তি চায়। ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা ও তা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই জাতির সামগ্রিক মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। মাহে রমজান আমাদেরকে একমাস ধরে কঠোর সংযম, আত্মত্যাগ ও আল্লাহভীতির প্রশিক্ষণ দেয়। তাই আমাদেরকে এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে।

তিনি বলেন, কুরআন নাযিলের এই মাসে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। কুরআনের সমাজ বিনির্মাণে আমাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, পটুয়াখী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ড. আবদুল লতিফ মাসুম,খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মোঃ আবদুল জলিল, ডক্টর সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি ডা: আবদুল্লাহ খান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, খেলফত মজলিসের সহ-সাংগঠনিক মুফতি আবদুল হক আমিনী, খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদস্য সচিব আহমদ ইসমাইল, খেলাফত মজলিস নেতা ডা: আসাদুল্লাহ, এসএম আনোয়ারুল করীম, মনসুরুল আলম মনসুর, এবিএম শহীদুল ইসলাম, মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ।