Home Blog Page 1630

আফগান শিশুদের জন্য ৭ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মাত্র ১ মিলিয়ন দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার

0

ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তানে নারী ও শিশুদের সহায়তার জন্য প্রায় ৭ মিলিয়ন পাউন্ড ঘোষণা করেছিল ব্রিটেন। তবে সম্প্রতি সেখান থেকে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড বাদ দিয়ে মাত্র ১ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এবিষয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রধান গুয়েন হাইনস মন্তব্য করেছেন, “বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা শিশু ও তাদের পরিবারগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য।”

শনিবার (২৫ মার্চ) সংবাদ মাধ্যম ‘দি গার্ডিয়ান’ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের বিবৃতি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো প্রয়োজনীয় মৌলিক পরিষেবাগুলির জন্য বরাদ্দকৃত ৭ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড কেটে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইমারাতে ইসলামীয়ার ডেপুটি অর্থমন্ত্রী আব্দুল লতিফ নাজারি বলেন, “আফগান জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য অব্যাহত রাখা উচিত। মানবিক সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাজনীতি করা উচিত নয়।”

উল্লেখ্য, বিশ্লেষকরা বলছেন, দারিদ্রতার কারণে আফগান শিশুরা ইতিমধ্যে ক্ষুধা ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর এরকম সময়ে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল কমিয়ে দেওয়ার অর্থ হল তাদেরকে আরো কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া

সূত্র: তোলো নিউজ

ফিলিস্তিনি যোদ্ধার গুলিতে ইসরাইলী বাহিনীর দুই সদস্য নিহত

0

অত্যাচারিত ফিলিস্তিনের একজন প্রতিরোধ যোদ্ধার গুলিতে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের ২ জন সেনা আহত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৫ মার্চ) নাবলুসের দক্ষিণে অবস্থিত হুওয়ারা শহরে এ ঘটনাটি ঘটে।

হিব্রু সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনোথ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা ইসরাইলী বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এতে ২ জন ইসরাইলী সেনা সদস্য আহত হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর জন্য মারাত্মক একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দখলকৃত জেরুসালেমের জন্য হামাসের মুখপাত্র মুহাম্মদ হামাদেহ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যতদিন পর্যন্ত অবৈধ দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলীদের অপরাধের প্রতিশোধ অব্যাহত থাকবে।”

এছাড়াও তিনি ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য; কয়েক দশকের মধ্যে ২০২৩ সালটি যেন ফিলিস্তিনিদের জন্য এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এই বছরের শুরু থেকে ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যার মধ্যে ১৭ জন শিশু রয়েছে। এছাড়াও বেড়েছে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস। এসব ইহুদি সন্ত্রাসীরা সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিস্তিনের হুয়াইরা গ্রামটি প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে।

সূত্র: দি প্যালেস্টানিয়ান ইনফরমেশন সেন্টার

রমজানে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি : বাণিজ্যমন্ত্রী

0

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এবারের রমজানে কোনো পণ্যের দাম বাড়েনি। বতর্মানে বেগুন ৫০-৬০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি। বাজারে বুটের (ছোলা) দাম আগের থেকে দাম অনেক কম রয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষ বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র একবারে কিনে নিচ্ছে। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষ ভাবছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে। আসলে গতবারের থেকেও এবার সব পণ্যের সাপ্লাই অনেক বেশি রয়েছে। কোনো পণ্য সংকট হওয়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভারত ও ভুটানে পাঁচ দিনের সফর শেষে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুজ্জামান সাঈদ, বুড়িমারী স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুর হাসান কবির,পাটগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) মোত্তালিব হোসনে মুসা, বুড়িমারী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার একরামুল হক, বুড়িমারী কাস্টমসের আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাংলাদেশের অন্যতম অর্জন : জাতিসংঘ

0

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, অসাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য বৈশ্বিক মঞ্চে নেতৃত্ব এবং প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্বাগত ও আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে।

আজ রোববার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন।

গুয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় মানুষের আতিথেয়তা একটি দেশের বিভিন্ন দিকগুলোর মধ্যে একটি, যা আমি ও আমার সহকর্মীরা প্রতিদিন অনুভব করার সৌভাগ্য অর্জন করেছি। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকীতে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ও উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে—যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হওয়া, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পরিকল্পিত উন্নতি।

গুয়েন লুইস বলেন, অর্থনৈতিক ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে পুরোপুরি সমর্থন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক এবং অভিন্ন মূল্যবোধের প্রশংসা করে জাতিসংঘ।

রোজায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এরদোগান; করলেন হাসপাতাল ও ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

0

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদান ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন এবং ৪টি হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) এবারের ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হাতায়ে সফরকালে তিনি স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এরদোগান বলেন, বিধ্বস্ত বাড়িঘর পূর্বের তুলনায় আরো মান উন্নত করে পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা সমাধান করা পর্যন্ত আমাদের সরকার হাতায়ার মানুষদের ছেড়ে যাবে না।

তিনি বলেন, আমরা হাতায়ের গুলদারানে একটি মেডিকেল সিটি গড়ে তুলতে চাই। আজ আমরা ৪০০ শয্যাবিশিষ্ট আন্তাকিয়া, ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট ইস্কেন্দারুন, ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট দেফনা ও ২০০ শয্যাবিশিষ্ট আজিল (জরুরী বিভাগ) হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছি।

দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিজ্ঞানীদের সতর্ক বার্তা, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত ও শক্তিশালী করতে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।

এরদোগান জানান, বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনে চলতি বছরেই ৩ লক্ষ ১৯ হাজার বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার। তিনি আরো জানান, নকশা-অনুমোদন ইত্যাদি ধাপ পেরিয়ে বর্তমানে প্রকল্পগুলো নির্মাণের অপেক্ষায় আছে।

সূত্র: টিআরটি আরাবি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে চায় আমেরিকা: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমেরিকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া এক বার্তায় ব্লিঙ্কেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে গর্ব করতে পারে। এগুলোর মধ্যে মিয়ানমারে গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে বিপদাপন্ন শরণার্থীদের প্রতি মানবিক সহায়তা, দ্রুত বাড়তে থাকা অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান সুশিক্ষিত জনশক্তি অন্যতম।

এ সময় জলবায়ু সংকটে উত্তরণের কৌশল তৈরির মাধ্যমে পরিবেশরক্ষাসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ প্রশংসার দাবি রাখে বলেও মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিশেষ বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্কের গত পাঁচ দশকে দুই দেশের যে অর্জন, তাতে আমেরিকা গর্বিত। কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়তে সম্প্রতি একসঙ্গে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দুদেশ।

বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র করেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আটকাতে পারেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

0

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। তবে দলটির নানা ষড়যন্ত্রেও দেশের অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে ভালোবাসে না বলেই বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বুদ্ধি দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র করেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আটকাতে পারেনি।

রোববার (২৬ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে মিলে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। তবে দেশের মানুষ আর এ দলটিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকে না। করোনা মহামারিতে অনেক দেশের ক্ষতি হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ঠিকই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসব সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলে।

তিনি বলেন, আগামী দিতে যেন এই দেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু।

কর্ণাটকে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত সুবিধা বাতিল করল বিজেপি সরকার

0

ভারতে বিজেপিশাসিত কর্ণাটকে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ‘ওবিসি’তে শিক্ষা ও চাকরিতে মুসলিমদের জন্য যে চার শতাংশ সংরক্ষণ সুবিধা ছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির রাজ্য সরকার।

এতদিন ‘ওবিসি’ কোটায় মুসলিমদের জন্য যে চার শতাংশ সংরক্ষণ ছিল তার দুই শতাংশ করে বরাদ্দ করেছে হিন্দুদের দু’টি প্রভাবশালী জাতিগোষ্ঠী লিঙ্গায়েত ও ভোক্কালিগাদের জন্য। এরফলে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় সাত এবং ভোক্কালিগা জনগোষ্ঠী ছয় শতাংশ হারে সংরক্ষণের সুবিধা পাবে। এর আগে তা ছিল যথাক্রমে পাঁচ ও চার শতাংশ।

গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই অবশ্য দাবি করেছেন, এরফলে মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না। তারা আর্থিকভাবে পশ্চাৎপদ সাধারণ শ্রেণির (ইডব্লিউএস) জন্য বরাদ্দ ১০ শতাংশের আওতায় সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয়ভাবে জারি হওয়া নির্দেশিকা অনুসারে ইডব্লিউএস শংসাপত্র পেতে গেলে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তার মধ্যে আছে- পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লাখ টাকার কম হতে হবে, কৃষিজমি থাকলে তার পরিমাণ ৫ একরের কম হতে হবে, ফ্ল্যাট থাকলে তার আয়তন ১ হাজার বর্গফুটের মধ্যে হতে হবে এবং রেসিডেন্সিয়াল প্লট থাকলে তার আয়তন এলাকা ভেদে ১০০ বা ২০০ বর্গ গজের কম হতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীর জানানো তথ্য যাচাই করে শংসাপত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া বেশ জটিল বলে ওয়াকিফহাল মহলের অভিমত।

এদিকে রাজ্য সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল (শনিবার) রাজ্যের কিছু মুসলিম নেতা একটি বৈঠক করেছেন। তারা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আদালতে ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার কথা বলেছেন। মুসলিম নেতাদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য বিজেপি এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে।

ওলামা কাউন্সিলের সদস্য এবং জামিয়া মসজিদের ইমাম মাকসুদ ইমরান বলেছেন, বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলমানদের মর্যাদা তফশিলি জাতি (এসসি) এবং তফসিলি উপজাতি (এসটি) থেকে কম। ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়তদের অতিরিক্ত সংরক্ষণ দিতে তাদের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু কারও অধিকার কেড়ে নিয়ে এটি করা উচিত নয়।

তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় নামব না, রাস্তায় তোলপাড়ও করব না। আমরা আমাদের অধিকারের জন্য আইনি লড়াই করব।

ইমাম মাকসুদ ইমরান বলেন, আমরা ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়ত মহন্তদের কাছে আবেদন করতে চাই যে তারা কারো কাছ থেকে যে অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তা তারা নিতে চান কিনা। আমরা আমাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য সরকারকে চাপ দিতে চাই।

মুসলমানদের সংরক্ষণ না নিয়েও ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ বাড়ানো যেত বলেও মন্তব্য করেন ইমাম মাকসুদ ইমরান।

কর্ণাটকে প্রায় ১৩ শতাংশ মুসলমান রয়েছে। বিধানসভার ২০ থেকে ২৩টি আসনে মুসলিম ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, ৬০টি বিধানসভা আসনে মুসলিম ভোটারদের প্রভাব রয়েছে। বর্তমানে বিধানসভায় মাত্র ৭ জন মুসলিম বিধায়ক রয়েছেন এবং সকলেই কংগ্রেসের।

সূত্র : পার্সটুডে

আরব আমিরাতে রোজার মাসে ভিক্ষা করলে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

0

আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী, ভিক্ষা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ অপরাধ করলে তাকে তিন মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার দিরহাম জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় দেড় লাখ টাকার সমান। রোজা উপলক্ষ্যে সেই আইনকে আরও জোরদার করছে দেশটি।

পবিত্র রমজান মাস আসার পর ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। রমজান উপলক্ষ্যে দেশটি সতর্কতা জারি করে বলেছে, যারা ভিক্ষা করবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

আমিরাতের পাবলিক প্রসিকিউশন জোর দিয়ে বলেছে, যদি স্বাস্থ্যবান কেউ ভিক্ষা করেন, জীবন চালানোর উপায় থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করেন, আহত বা প্রতিবন্ধী সেজে করুণা পাওয়ার চেষ্টা করেন অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষকে সহায়তা করার নাম করে সাহায্য তোলার সময় ধরা পড়েন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে— সেটি সত্যিকারের ভিক্ষুকদের যে শাস্তি দেওয়া হয় তার চেয়েও কঠিন হবে।

এ সপ্তাহের শুরুতে ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে নিজেদের বার্ষিক ক্যাম্পেইন শুরু করে দুবাই পুলিশ। মূলত রমজান মাস আসলেই ভিক্ষাবৃত্তি বেড়ে যাওয়ায় এই সময়টায় এর বিরুদ্ধে বেশি তৎপর হয় আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।

গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে দুবাই পুলিশ জানায়, গত রমজানে ৬০৪ জনকে আটক করেছিলেন তারা। এরমধ্যে ৩৮২ জন ছিলেন ভিক্ষুক। ২২২ জন ছিলেন অবৈধ ব্যবসায়ী, যারা অনুমতি ছাড়া ফুটপাত বা রাস্তায় রমজান উপলক্ষ্যে ব্যবসা করার চেষ্টা করেছিলেন।

সূত্র: গালফ নিউজ

সুলতান আবদুল হামিদের স্বপ্নের সেই প্রকল্প আবারো চালু করতে চলেছেন এরদোগান

0

আরব অঞ্চলের সাথে পুনরায় স্থলপথে সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। বুধবার (২২ মার্চ) ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শাইয়া আল-সুদানীর তুরস্কে সফরকালে এই সম্পর্কীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, বসরা থেকে তুরস্কের সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ ও স্থলপথে পরিবহন করিডর স্থাপনে তুরস্কের সরকারের সাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ শাইয়া আল-সুদানি।

এরদোগান বলেন, তুরস্ককে আবার আরব উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোর সাথে সংযুক্ত করতে এই প্রকল্পটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। কেননা প্রকল্পটি মানবিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি তুর্কি-আরব আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যের বিকাশ ঘটাতেও সাহায্য করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, সকল ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর অংশগ্রহণই পারে ‘সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটিকে’ আমাদের সকলের অঞ্চলের ‘সিল্ক রোডে’ পরিণত করতে।

উল্লেখ্য; সড়কপথে তুর্কি-আরব সংযোগ স্থাপনে ১৯০০ সালের ১লা মার্চ মুসলিম বিশ্বের তৎকালীন খলিফা আব্দুল হামিদ খান সানী একটি রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন যা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ১৯০৮ সনে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পুরো মুসলিম বিশ্বকে একত্রকারী সেই দীর্ঘ রেলপথের ব্যপ্তি ছিলো দামেস্ক থেকে মদিনা পর্যন্ত, সংখ্যায় যার পরিমাপ ১ হাজার ৪ শত কিলোমিটার।

তবে আফসোসের বিষয় হলো, খলিফা আব্দুল হামিদ সানীর স্বপ্নের প্রকল্প ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক হামিদিয়া হেজাজ রেলওয়ে দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ গোয়েন্দা লরেন্সের ষড়যন্ত্রের ফলে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। স্বয়ং আরবরাই ১৯১৬-১৮ সনে লরেন্স অফ আরাবিয়া খ্যাত সেই কুখ্যাত গোয়েন্দার প্ররোচনায় রেলপথের বিভিন্ন অংশে বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়।

জানা যায়, সৌদি অংশে হামিদিয়া হেজাজ রেলপথ অচল থাকলেও দামেস্ক , ফিলিস্তিন ও জর্ডান অংশে স্থানীয়ভাবে এই রেলপথ এখনও সচল রয়েছে।

সূত্র: টিআরটি আরাবি