চলতি মাসের শুরুতেই পর্তুগালে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় জরুরি অবস্থা তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। বর্তমানে উন্মুক্ত রয়েছে দেশটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এবার আসছে ঈদে মুসলমানদের জন্য সুখবর দিলো পর্তুগাল। গত ঈদে করোনা নিয়ন্ত্রণে অনুমতি না দিলেও এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের সবচেয়ে বড় জামাতের অনুমোদন দিয়েছে পর্তুগাল সরকার।
জানা গেছে, এ বছর বায়তুল মোকাররম ইসলামী সেন্টার এবং জামে মসজিদের যৌথ উদ্যোগে ঈদের দিন সকাল ৮টায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মার্তৃমনিজ পার্কে এই জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, মহামারী করোনার তাণ্ডবে গত বছর এই ঈদ জামাতটির অনুমোদন দেয়নি পর্তুগাল। ফলে লিসবনের প্রতিটি ঘরই যেন হয়ে উঠেছিল এক একটি ছোট্ট মসজিদ। তখন ঘরোয়াভাবেই ঈদ উৎসব পালন করা হয়।
মাস্ক ব্যবহার না করে ঘোরাঘুরি করায় পথচারীদের ৩০ মিনিট রোদে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন শপিংমলে মাস্ক না পরে আসায় তাদেরকে বের করে দেয় পুলিশ।
শনিবার (৮ মে) চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা পুলিশ এই অভিযান চালায়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আজ আগ্রাবাদ এলাকার বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান পরিচালনা ও সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এ সময় মাস্ক না পরায় অন্তত ১০ জনকে মার্কেট থেকে বের করে দেয়া হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি না মানায় কয়েক দোকানিকে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগ্রাবাদ মোড়ে মাস্ক না পরায় পথচারীদের ৩০ মিনিট রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। মাস্ক পরতে বাধ্য করতে আরও কঠোর হবো আমরা। পরে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দোকানও বন্ধ করে দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ৬ জনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ ধরন শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, গ্লোবাল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে ছয়টি ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। চারটি কাছাকাছি মিল রয়েছে, আর দুটি নিশ্চিত পাওয়া গেছে। নমুনাগুলো দুটি আলাদা জায়গায় করা হয়েছে। একটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যটি আইইডিসিআরে। দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাতেই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
করোনার ডাবল মিউট্যান্টে আক্রান্ত ছয়জনই যশোরের বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আসা বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কোনো করোনা রোগী যশোরে আছে বলে আমার জানা নেই।আমাকে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি।
ভারতফেরত যে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তারা সবাই যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আছেন।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিস নেতা জয়নুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ মে) বিকেলের দিকে জকিগঞ্জ শহরের একটি লাইব্রেরী থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশের একটি দল। পরে নাশকতার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মাওলানা জয়নুল ইসলাম জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাসেম।
তিনি জানান, ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় করা পুলিশের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে ওই মামলায় আরও ১১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ভারতের জনগণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্গো উড়োজাহাজে করে ১৮ টন ওজনের তিনটি অক্সিজেন জেনারেটর ও এক হাজার ভেন্টিলেটর পাঠিয়েছে যুক্তরাজ্য।
শুক্রবার (৭ মে) নর্দান আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্ট থেকে কার্গো ফ্লাইটটি ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলে ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়। যা আগামী রোববার ভারতের সময় সকাল ৮টায় বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে এবং ইন্ডিয়ান রেড ক্রস এসব সরঞ্জাম হাসপাতালে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক মালবাহী উড়োজাহাজ আনতোনভ ওয়ানটুফোর-এ জীবন রক্ষাকারী এসব সরঞ্জাম তুলতে রাতভর কাজ করেছেন বিমানবন্দরের কর্মীরা।
১৮ টন ওজনের প্রতিটি অক্সিজেন উৎপাদন ইউনিটে একটি করে ৪০ ফুট দীর্ঘ ফ্রেইট কনটেইনারে বহন করা হচ্ছে- প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন উৎপাদনে সক্ষম, যা একই সময়ে ৫০ জন মানুষের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের নর্দান আয়ারল্যান্ডে থাকা অতিরিক্ত অক্সিজেন উৎপাদন ইউনিটগুলো সেখান থেকে ভারতে পাঠানো হচ্ছে। প্রাণ রক্ষাকারী এসব সরঞ্জাম ভারতের হাসপাতালগুলোতে সংকটাপন্ন রোগীদের কাজে আসবে বলে আশা করছি আমরা।’
সবশেষ এই সহায়তার বিষয়ে আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো এবং গত মাসেই যুক্তরাজ্য থেকে ২০০ ভেন্টিলেটর ও ৪৯৫টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ভারতে পাঠানো হয়। এই সহায়তা প্যাকেজের সঞ্জামাদির যোগনদাতা যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সামাজিক সুরক্ষা বিভাগ (ডিএইচএসসি)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, ‘ভারতের পরিস্থিতি হৃদয়-বিদারক এবং চরম সংকটময় এমন মুহূর্তে আমরা আমাদের বন্ধুর পাশেই আছি।’
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় এবং দৈনিক মৃত্যুর রেকর্ড চার হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জাম ও সরবরাহ নিয়ে ভীষণ সংকটে রয়েছে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ এরইমধ্যে তাদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।
তুরস্কের সুরক্ষিত যোগাযোগ মাধ্যম বিপ সম্প্রতি নতুন এক ফিচার নিয়ে এসেছে।
এখন থেকে ব্যবহারকারীরা অন্য অ্যাপের গ্রুপ চ্যাট বিপে স্থানান্তর করতে পারবেন। বিশ্বের ৮ কোটি মানুষ এখন বিপ ব্যবহার করেন।
বিপ উদ্ভাবনী বিনিয়োগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাট সহজে স্থানান্তরের সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ও গ্রুপ চ্যাটের অন্তর্গত সকল ভিডিও ও ছবি একত্রে স্থানান্তর করে নিয়ে আসা যাবে।
বিপে গ্রুপ স্থানান্তর করতে হলে একেকজন অংশগ্রহণকারীকে আলাদাভাবে সংযুক্ত করার প্রয়োজন পড়ে না, বিপ সরাসরি সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের একত্রে স্থানান্তর করে দেয়।
বিপের প্রধান নির্বাহী বুরাক আকিনসি বলেন, ‘ডিজিটাইজেশন ধীরে ধীরে রীতিতে পরিণত হচ্ছে। মেসেজিং অ্যাপ এখন আর নিছক মেসেজিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় না, এটা এক ধরণের অপরিহার্য ইকো সিস্টেমে পরিণত হয়েছে, যার মাধ্যমে আমরা যোগাযোগ করার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্র ও বাণিজ্যেও ব্যবহার করছি। তবে ব্যবহারকারীদের সেই ইকো সিস্টেমে নিরাপদ বোধ করতে হবে। সাইবার হুমকির এই যুগে ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন সেখানে গ্রাহকদের সুরক্ষা এবং সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশে বিপ ডাউনলোড হয়েছে ২৫ লাখ বার। বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা বিপের এইচডি মানের ভিডিও ব্যবহার করে থাকেন। ১০ জন নিয়ে এই ভিডিও কল করা যায়। কল করার ক্ষেত্রে বিপের আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ সেরা।
সাধারণত সপ্তাহের সোমবারে সবচেয়ে বেশি বিপ ডাউনলোড হয়। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে সর্বাধিক ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ঢাকা সবার চেয়ে এগিয়ে।
স্থানীয় সংস্কৃতিতে বিপ বিশেষ মনোযোগ দেয়। সেজন্য বাংলাদেশে ক্রিকেট ও রমজান চ্যানেল চালু করা হয়েছে। রমজান মাস জুড়ে বাংলাদেশে বিপ ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন স্থানের ইফতার ও সেহরির সময় অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারছেন, যদি তারা চান। এ ছাড়া রমজানের চ্যানেলে আধ্যাত্মিক বাণী, মেন্যু ও খাবারের রেসিপি প্রচারিত হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিকেট চ্যানেল চালু করা হয়েছে, যেখানে খেলার স্কোর, দলের তথ্য, সরাসরি স্কোর ও মূল্যায়ন প্রচার করা হয়।
গুগল প্লে অ্যাপ স্টোর, গুগল প্লে ও হুয়াওয়ে অ্যাপ গ্যালারি থেকে বিপের হালনাগাদ অ্যাপ ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন- http://onelink.to/bip-bd
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে দূরপাল্লার সব গণপরিবহন চালুর করার দাবি জানিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতি।
অন্যথায় ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ শেষে সারা দেশের মালিক–শ্রমিকেরা নিজ নিজ এলাকায় বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সব ধরনের গণপরিবহন চালু করে ৫ দফা দাবি পেশ করে মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো।
সম্মেলনে মূল লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান ওরফে রাঙা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ (শ্যামলী পরিবহনের মালিক) ও সাধারণ সম্পাদক আবু রাহয়হান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘লকডাউন–সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞরা মাঠের সেন্টিমেন্ট বোঝেন না। শ্রমিকের সেন্টিমেন্ট বোঝেন না। এ জন্যই ফেরিতে মানুষ গাদাগাদি করে যাচ্ছে। শ্রমিকেরা না খেয়ে থাকছে।’
শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সরকার যেসব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছে, তাঁদের নয় বরং আমাদের পরামর্শ নেয়া উচিত।’
দূরপাল্লার বাস চালুর বিষয়ে সরকার কোনো আশ্বাস দিচ্ছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি দেননি। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলেছেন। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, কিন্তু এখনো কোনো ফলাফল পাইনি।’
কয়েক দিন ধরে ফেরি ও দূরপাল্লার কিছু বাস কীভাবে চলছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা প্রশাসনের দায়িত্ব। আমরা কী করব।’
পাঁচ দফা দাবি:
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহনের সুযোগ
২. (ক) লকডাউনের কারণে কর্মহীন পরিবহনশ্রমিকদের ঈদের আগে আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান
(খ) যানবাহন মেরামত, পরিবহনশ্রমিকদের বেতন, ভাতা ও ঈদ বোনাস দেওয়ার জন্য পরিবহনমালিকদের নামমাত্র সুদে ও সহজ শর্তে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া
৩. সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোয় পরিবহনশ্রমিকদের জন্য ঈদের আগে ও পরে ১০ টাকায় খোলাবাজারে চাল বিক্রির ব্যবস্থা
৪. ঋণ করে পরিবহন খাতে বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফসহ কিস্তি ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্থগিত এবং শতকরা ২ ভাগ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ‘ক্ল্যাসিফায়েড’ ঋণ ‘আনক্ল্যাসিফায়েড’ করা
৫. লকডাউনে কারণে গাড়ির ট্যাক্স-টোকেন, রুট পারমিট ফি, আয়কর, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের ফি, কর ও জরিমানা মওকুফ করে কাগজপত্র হালনাগাদ করার সুযোগ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত রাখা
ইতালির ভূপৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে চীনের রকেট লং মার্চ ৫বি’র ধ্বংসাবশেষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে এরইমধ্যে ইতালির মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ ১০ বিভাগের জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ ও ৯ মে শনিবার ও রোববার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার জনগণকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৭ মে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি জরুরি বৈঠক করেন জাতীয় জননিরাপত্তা সংস্থা সিভিল প্রটেকশন ডিপার্টমেন্টে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চীনা রকেট লং মার্চের ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় ৯ মে রোববার ইতালির স্থানীয় সময় ভোর ২টা ২৪ মিনিট অর্থাৎ ৮ মে শনিবার দিবাগত রাতে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে ধেয়ে আসা খণ্ডিত রকেটের সঙ্গে বায়ুমন্ডলের ঘর্ষণ এবং সূর্যের প্রভাবজনিত প্রাসঙ্গিক কারণে সম্ভাব্য অঘটন ৬ ঘন্টা আগে-পরেও হতে পারে।
এর ফলে ইতালির মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সবকটি বিভাগে সতর্কতা জারি করে শনি ও রোববার জনগণকে যার যার আবাসস্থলে ও অফিস ভবনে বদ্ধ জায়গায় থাকতে সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়। তবে চীনা রকেট ঠিক কোথায় আঘাত হানতে পারে তা এই মুহূর্তে সঠিক বলা যাচ্ছেনা।
দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। এ ধরনটিকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার।