Home Blog Page 3960

দূরপাল্লার বাস চালুর দাবি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের

0

ঈদে ঘরমুখো মানুষদের জন্য অর্ধেক যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।সেসঙ্গে শ্রমিকদের অনুদান-বেতন-বোনাস ও যানবাহন মেরামতের জন্য সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছেন তারা।

শনিবার (৮ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাংসদ শাজাহান খান।

শিমুলিয়ার ঘাটে শনিবার এই ফেরিতে উঠা বেপরোয়া মানুষের ঢেউ সামলাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই ফেরি চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও গাদাগাদি করে এই যাত্রীদের পার করতে বাধ্য হয়।

এসব দাবি মানা না হলে সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা ঈদের নামাজ শেষে নিজ এলাকার বাস ও ট্রাক টার্মিনালে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো আছে: ওবায়দুল কাদের

0

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পাশের দেশের বাসিন্দা হিসেবে আমরাও বিপজ্জনক বার্তা পাচ্ছি। অভিন্ন শত্রু করোনাকে বাদ দিয়ে এখনো এখানে রাজনীতির ‘ব্লেম-গেইম’ চলমান। যত দোষ কেবল নন্দ ঘোষ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের। অথচ বাংলাদেশ এখনো তুলনামূলকভাবে ভাল আছে শেখ হাসিনার মত সাহসী, দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের কারণে।

শনিবার (০৮ মে) সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে দেওয়া হলো:

‘করোনার মতিগতি বোঝার সাধ্যি কারো নেই। দুনিয়াজুড়ে বেপরোয়া গতিতেই ছুটে চলেছে অবিরাম। কভিডের এই ছুটন্ত মিছিলের শেষ কোথায় কেউ জানেনা।দ্বিতীয় তরঙ্গ ভীষণ ভয়ঙ্কর। বিশ্বব্যাপি স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস কাজে লাগছেনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেডিকশন কভিডের লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা অসহায়ভাবে কেবল নিষ্ফল প্রেসক্রিপশন দিয়ে যাচ্ছেন। প্রাণঘাতি করোনা কাউকে পাত্তা দিচ্ছেনা। অদৃশ্য শত্রু হার মানছেনা কিছুতেই।

বিশাল ভারত এখন করোনার তান্ডবে লন্ডভন্ড। বিখ্যাত অক্সিজেন উৎপাদক দেশে আজ অক্সিজেন সঙ্কট। হাসপাতালে একটি বেডের জন্য হাহাকার লেগেই আছে। কারপার্কিং, ফুটপাত এখন ভারতে শ্মশানঘাট। চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে সংক্রমণ। প্রতিদিন মরছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে আবার তৃতীয় তরঙ্গের আভাস। অক্সিজেনের অভাবে রাস্তায় মারা যাচ্ছে কত মানুষ! ভয়ঙ্কর ভাইরাস এখন ভারতে পূর্বমূখি গতিপথ নিয়েছে। পাশের বাংলাদেশে আমরা বিপদজনক বার্তা পাচ্ছি।

দ্বিতীয় তরঙ্গের আঘাতে এমনিতেই আমাদের উদ্বেগ-আতঙ্ক চরমে। বিশাল একটি অংশ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। সর্বত্রই মাস্ক ব্যবহারে চরম অনীহা। হাত ধোয়ার বালাই নেই। নেই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং। সংক্রমণের উর্ধ্বমূখি ধারা কিছুটা নিম্নমূখি হলেও বিপদ কিন্তু কাটেনি। ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটাতে শেখ হাসিনা সরকারের সর্বাত্মক আন্তরিক প্রয়াস আশা করি ব্যর্থ হবেনা। তবু মানুষ ছুটছে শহর থেকে গ্রামে। লকডাউনকে ফাঁকি দিয়ে গ্রামমূখি মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রাপথ থেকে এই সেদিনই সলিল সমাধি হল ২৬টি মূল্যবান জীবনের। তবু উদাসীন মানুষের ছুটন্ত যাত্রার যেন শেষ নেই! শহর থেকে গ্রামে; গ্রাম থেকে শহরে। ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রায় ভাইরাসের ভয়াল থাবা ওঁত পেতে আছে পথজুড়ে।

করোনার করাল গ্রাসে বদলে যাচ্ছে আজ সারা পৃথিবী। ধরিত্রী আজ ধুঁকছে ভাইরাসের ভয়ঙ্কর আঘাতে। বদলে যাচ্ছে দেশের চিত্র। বদলে যাচ্ছে মানুষের মন। দেশে দেশে শরণার্থীদের অসহায় আর্তনাদ। কর্মহীন বেকারের চিত্র সারা দুনিয়ায়। হু হু করে বাড়ছে গরীব মানুষের সংখ্যা। করোনা কাবু করে ফেলেছে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে। প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হচ্ছে অস্বাভাবিক গতিতে। ভ্যাকসিন সঙ্কটে উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। দেশে দেশে অশান্তি। সুখের সব শহর আজ অসুস্থ। শান্তির জন্যে নোবেল পেয়েও ইথিওপিয়া অশান্ত। গৃহযুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত সোমালিয়া। বিধ্বস্ত মোজাম্বিক। সুদানের যুদ্ধ আজো থামেনি। প্রচন্ড প্রতিবাদের মুখেও বেলারুশের আলেকজান্ডার লুকাসেঙ্কো পদত্যাগ করেননি। বিদেশি হস্তক্ষেপে ইয়েমেনের যুদ্ধ আরো ভয়াবহ। গৃহযুদ্ধের মধ্যে প্রাকৃতিক দূর্যোগের হানা । চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি বিতর্কিত নির্বাচনে বিজয়ের পরপরই বিদ্রোহীদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে নিহত। লিবিয়ার সন্ধি দীর্ঘস্থায়ী হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ফিলিস্তিনীরা এখন আরো অবরুদ্ধ, আরো অসহায়। কঙ্গোতে আবারো শুরু হয়েছে প্রাণঘাতি ইবোলার ছোবল। সাগরে মাছ ধরা নিয়ে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স মুখোমুখি। ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনারা প্রচুর সমরাস্ত্র নিয়ে হাজির। তাজিকিস্তান ও কিরগিজিস্তান পানি বিরোধে উত্তেজিত। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার বিরোধ চরম সীমায়। থাইল্যান্ডে গণতন্ত্রের দাবীতে জনতার বিক্ষোভ চলছে। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের জনতার বিক্ষোভ ফেব্রুয়ারি থেকেই রক্তাক্ত করছে রাজপথ। এত প্রাণের বিনিময়েও রক্তপাত কমছেনা।

শান্তি কি আছে আটলান্টিকের ওপারে আমেরিকায়! করোনায় ক্লান্ত আমেরিকায় এ কী ছবি গণতন্ত্রের। কী দেখালেন দোর্দন্ড প্রতাপের সদ্য পরাজিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনো থেমে থেমে বন্দুক হামলায় মানুষ মরছে বিভিন্ন শহরে। ভেনিজুয়েলার পর কলম্বিয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল। অর্ধশতাধিক ক্রু নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন ডুবে গেছে সাগরের গভীরে। দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার অধিকার নিয়ে শক্তিধরদের যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব থামেনি। স্বার্থের খেলায় মেরুকরণ জোরালো হয়েছে চীন-রাশিয়া এবং ইউরোপ-আমেরিকার। পরমাণু বোমা নিয়ে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সমঝোতার সম্ভাবনা সামান্যই। গৃহযুদ্ধে রক্তের হোলিখেলা চলছে আফগানিস্তানে। চীন-ভারত ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এখনো উত্তেজনা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার নিয়েও ব্রাজিলের বলসোনারোর ডোন্ট-কেয়ার ভাব। রাশিয়ার বিরোধি নেতা নাভালনির আশু কারামুক্তি বিক্ষোভ-আন্দোলনে অনিবার্য বলে মনে হয়না।

এদিকে আমাদের প্রতিবেশি ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। পাশের দেশের বাসিন্দা আমাদের তাহলে কী হবে? অভিন্ন শত্রু করোনাকে বাদ দিয়ে এখনো এখানে রাজনীতির ’ব্লেম-গেইম’ চলমান। যত দোষ কেবল নন্দ ঘোষ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের। অথচ বাংলাদেশ এখনো তুলনামূলকভাবে ভাল আছে শেখ হাসিনার মত সাহসী, দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের কারণে। জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় করে তিনি পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়েছেন। একথা তাঁর নিন্দুকেরাও স্বীকার করে। দেশ ও মানুষের কথা ভেবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনাকালে তাঁর নির্ঘুম রাত কাটে খেটে খাওয়া অসহায়, ভাসমান মানুষদের চিন্তায়।

করোনায় বদলে গেছে আমাদের চিরচেনা ঢাকা শহরের চিত্র। আনন্দ উৎসবের সেই চেনাসুর আজ অচেনা হয়ে গেছে। কোলাহল মুখরিত ক্যাম্পাসগুলোতে এখন কেবলই শূণ্যতার হাহাকার। চঞ্চল তারুণ্যের ছুটন্ত মিছিল এখন আর চোখে পড়েনা। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় আমাদের মায়াবী শহর আজ কাঁদছে অবিরাম। দিকে দিকে স্বজন হারানোর হাহাকার। দু:সময়ে মানুষ চেনা দায়। কত আপন মানুষ দূরে সরে গেছে কভিডের নিষ্ঠুর তাড়নায়। কত পরিবারে বিচ্ছেদের করুণ বীনা বাজছে। সহিংস তান্ডবে ভেঙ্গে গেছে কত সুখের সংসার। করোনাকালেই বিল গেটস-ম্যালিন্ডার ২৭ বছরের মধুর দাম্পত্যে হঠাৎ নেমে এসেছে বিচ্ছেদের বিষাদ ছায়া।

আমাদের সুন্দর গ্রামগুলি এখন হতাশায় হতশ্রী। পাখির গান, রিমঝিম বৃষ্টির শব্দ, নদীর কলতানের চিরচেনা সুর যেন হারিয়ে গেছে। পূর্ণিমার চাঁদ দেখার মতো সেই মনটাও আজ যেন মরে গেছে। করোনার স্রোতধারায় স্মৃতির মিছিলগুলো আজ যেন ছন্দহারা হরিণের মত পথহারা। কত বোবা কান্না মানুষের অন্তরে গুমোট বেঁধে আছে। না বলা বেদনায় কত মানুষ বিষাদসিন্ধুতে ভাসছে। কে রাখে তার হিসেব। কে দেয় কৈফিয়ত। সময়টা এখন সত্যিই বড় নিষ্ঠুর।’

করোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র পান করার নির্দেশ দিলেন বিজেপি নেতা

0

ভারতের উত্তর প্রদেশের এক বিজেপি নেতা করোনা ঠেকাতে গোমূত্র পানের পরামর্শ দিলেন। গোমূত্র পানের নিয়ম-কানুনসহ বাতলে দিয়েছেন এই নেতা। নির্দিষ্ট সময়ে গোমূত্র পানের জন্য সকলকে আহ্বান করেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নেতার দাবি, করোনা ঠেকানোর অব্যর্থ ওষুধ গোমূত্র। শুধু করোনাই ঠেকাবে না, শরীরকেও চাঙ্গা রাখবে ওই টোটকা।

শুক্রবার (৭ মে) একটি ভিডিওর মাধ্যমে এই কাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। পরামর্শক উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার বইরিয়ার বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র সিং এই ব্যাপারে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী বলেও জানান তিনি।

সুরেন্দ্রের কথায়, গোমূত্র করোনা সংক্রমণ রুখতে সক্ষম। দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করার পরও তিনি নাকি ওই গোমূত্র পান করেই সুস্থ রয়েছেন বলে দাবি তার।

ভিডিওতে সুরেন্দ্রকে বলতে শোনা গিয়েছে, সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে গোমূত্র সেবন করতে হবে। দু-তিন চামচ গোমূত্র এক গ্লাস জলে মেশাতে হবে। তারপর এক ঢোকে সেই জল উদরস্থ করতে হবে। তবে এই টোটকা সেবন করার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়মের কথা বলেছেন ওই নেতা।

তার দাবি, গোমূত্র পানের আধঘণ্টা পর্যন্ত কোনও কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না। সুরেন্দ্রর কথায়, বিজ্ঞানে বিশ্বাস করুন আর না করুন, গোমূত্র করোনা রুখতে সক্ষম।

ভিডিওতে তাকে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, শুধুমাত্র করোনা নয়, হৃদপিন্ডের রোগ সারাতেও গোমূত্রের জুড়ি মেলা ভার। এমনকী, তিনি রামদেবের সংস্থার গোমূত্র সেবনের পরামর্শ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার এই টোটকা ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকা শত শত যানবাহন

0

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে পারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে গোয়ালন্দ মোড় থেকে যাত্রী ও যানবাহন আটকে দিচ্ছে আহলাদীপুর হাইওয়ে পুলিশ।

শনিবার (৮ মে) ভোর থেকে পারের অপেক্ষায় রয়েছে এসব যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা।

শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটের তিনটি পল্টুনে ৯টি ফেরি নোঙ্গর করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পল্টুন থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক পর্যন্ত হাজার হাজার যাত্রী ও সহস্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আটকে থাকা যানবাহনগুলোর মধ্যে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, পণ্যবাহী ট্রাক ও মোটরসাইকেল।

আটকে পড়া মোটরসাইকেল চালক মো. আব্দুল কাদের বলেন, ফরিদপুর থেকে ঢাকায় চাকরির কাজে যেতে হবে। এখানে যারা এসেছে তারা কেউ গুরুত্বপূর্ন কাজ ছাড়া ঢাকায় যাচ্ছে না। প্রশাসনের উচিত কঠোর নজরদারীর মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে ঢাকামুখী যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী পরিবহন পারাপার করা।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আসুতোষ সাহা বলেন, ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের ব্যবস্থা রেখে অন্য ফেরিগুলো বন্ধ রাখা।

মদিনাগামী হাইওয়ের ট্রাফিক সাইনে অমুসলিমদের দিকনির্দেশনা চিহ্নে পরিবর্তন

0

ইনসাফ | নাহিয়ান হাসান


পবিত্র মদিনাগামী হাইওয়ের ট্রাফিক সাইনবোর্ডসমূহ থেকে ‘লিল মুসলিমীনা ফাক্বাত’ বা ইংরেজি ‘মুসলিমস অনলি’ (শুধুমাত্র মুসলিমদের প্রবেশাধিকার) লেখা বাদ দিয়ে ‘ইলা হদ্দিল হারাম’ বা ‘টু হারাম এরিয়া’ (পবিত্র অঞ্চল/সীমারেখায়) লেখাটি সংযোজন করা হয়েছে।

সর্বোচ্চ পবিত্রতা ও গুরুত্বের কারণে মুসলিমদের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান মক্কা ও মদিনাকে আরবিতে একত্রে হারামাইন শরীফাইন বলা হয়ে থাকে। যার অর্থ, মর্যাদাবান পবিত্র স্থানদ্বয়।

আরবি হারাম শব্দের শাব্দিক অর্থ, পবিত্র। তবে আরব ছাড়া ভিন্নভাষীরা হারাম শব্দের পারিভাষিক অর্থের সাথে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

তাছাড়া ব্যবহার ও অর্থগত পার্থক্য জানা না থাকায় হারাম বলতে তারা প্রথমেই বুঝে নেয় যা ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ।

পবিত্র শহর মদিনা মুনাওওয়ারা যেখানে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওজা মুবারক এবং মসজিদে নববী অবস্থিত সেখানে অমুসলিমদের প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই মদিনাগামী হাইওয়ের সাইনবোর্ডগুলোতে এতদিন খুব স্পষ্টভাবেই শুধুমাত্র মুসলিমদের প্রবেশের বিষয়টি লিখা ছিলো।

জানা যায়, অতি রক্ষণশীলতার খোলস ঝেড়ে ফেলে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে গৃহীত নতুন হাইওয়ে সাইন নীতিমালার আওতায়, সরাসরি মুসলিম-অমুসলিমের তফাৎ বাদ দিতে ‘ইলা হদ্দিল হারামের’(পবিত্র অঞ্চল/সীমারেখায়) মতো বাক্য হাইওয়ে সাইনে সংযোজন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

অনেক সৌদি সোশ্যালিস্ট তাদের সোশ্যাল একাউন্টগুলোতে নতুন হাইওয়ে সাইনের ছবি শেয়ার করে সৌদির এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে।

তারা একে অতিরক্ষণশীলতার পতন এবং অমুসলিমদের প্রতি সৌদির সহনশীলতার মূল্যবোধের জাগরণ হিসেবে বিবেচনা করছে।

কেননা পবিত্র মদিনার মসজিদে নববী এবং হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মুবারকে এতদিন শুধুমাত্র মুসলিমদেরই প্রবেশের অনুমতি ছিলো। অমুসলিমরা পবিত্র স্থান ও তার আশপাশে প্রবেশ করতে পারতো না।

অনেকে আবার বলছেন, ভিন্ন পরিচয় ও সংস্কৃতির লোকদের কাছে এই পদক্ষেপ সৌদিকে তাদের পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিতে সহায়তা করবে।

তবে ‘লিল মুসলিমীনা ফাক্বাত’ পরবর্তী মদিনা হাইওয়ের সাইনবোর্ডগুলোতে নতুন সংযোজিত ‘ইলা হদ্দিল হারাম’ লেখা শোভা পেলেও সৌদি সরকার এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা কিংবা বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

উল্লেখ্য, সৌদির অর্থনীতিতে তেল নির্ভরতা কমিয়ে আনতে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান বিভিন্ন শিল্প কারখানা, পর্যটন, যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ নানা ধরনের বিকল্প অর্থনৈতিক খাতকে টার্গেট করে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

উচ্চাভিলাষী ভিশন ২০৩০ প্রকল্পের আওতায় নিওমের মতো প্রায় অসম্ভব ও বিতর্কিত প্রজেক্টেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সৌদি আরবে তথাকথিত মধ্যপন্থী ইসলাম ফিরিয়ে আনা ও ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে যুবরাজ সালমানের প্রশাসন বহু ইসলামী স্কলারদের বিভিন্ন অজুহাতে এখনো জেলে আটকে রেখেছে এবং নিজেদের বহু ইসলামী রীতিনীতি বিসর্জন দিয়েছে!

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।

আজ সারা দেশে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা

0

সারা দেশে আজ শনিবার দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আজ শনিবার (৭ মে) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সপ্তাহের মাঝামাঝি সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার অফিস আরও জানায়, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। তবে শনিবার ও রবিবার এই দুইদিন আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আল-আকসায় ইবাদতরত মুসল্লিদের উপর ইসরাইলি বাহিনীর হামলা; আহত ১৬৩ ফিলিস্তিনি

0

জেরুসালেমে অবস্থিত মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদ আল-আকসায় ইবাদতরত ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের উপর ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হন।

শুক্রবার (৭ মে) জেরুসালেমে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় ফিলিস্তিনিদের ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে ৬ ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাও আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

আল-আকসায় নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের তাড়িয়ে দিতে চাইলে প্রথমে ইহুদি সেটেলারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয় ফিলিস্তিনিদের। এরপর ইহুদিদের পক্ষ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরাইলী বাহিনী।

ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে আহত ফিলিস্তিনিদের সেখানে চিকিৎসা দিচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে জেরুজালেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রাজধানীতে ডাস্টবিনের পাশ থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার

0

রাজধানীর চকবাজারের বেগমবাজার এলাকার একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে একটি নবজাতকের (মেয়ে) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজার থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।

চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কবির উদ্দিন মণ্ডল জানান, খবর পেয়ে রাতে ৫৩ নম্বর বেগম বাজারের ডাস্টবিনের পাশ থেকে আনুমানিক এক দিন বয়সী এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একটি লাল ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল নবজাতকটি।

শিক্ষক ও কর্মচারীদের ঈদ উপহার দিল সাবেক শিক্ষার্থীরা

0

করোনা ভাইরাসের মহামারিতে অনেক বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। এই অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাবেক শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৭ মে) জেলা শহরের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের শতাধিক শিক্ষক এবং কর্মচারীদের ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিনি, সেমাই ও দুধসহ বিভিন্ন উপকরণ। বিকেলে শহরের ট্যাংকের পাড় একটি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঈদ উপহার তুলে দেন বিভিন্ন স্কুলের ১৯৯৬-৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৯৬-৯৮’।

ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কিন্ডারগার্টেন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মুহাম্মাদ শামীম সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৯৬-৯৮ ফেসবুক গ্রুপের সদস্য আশরাফুল আলম খান, মতিউল কবির, এনায়েত খন্দকার রনি, মো. কায়েস, মো. মারুফ তিশান, মো. শিমুল, মো. মনসুর প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৯৬-৯৮ গ্রুপের সদস্য সাংবাদিক সুমন রায় বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়া ৯৬-৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের ফেসবুক গ্রুপটি করা হয়েছে। গ্রুপের সদস্যদের অর্থে শিক্ষক-কর্মচারী এবং অসহায় প্রতিবন্ধী ও কর্মহীনদের জন্য ঈদ উপহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড ও পথপ্রদর্শক। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সাধ্যমতো উনাদের পাশে দাঁড়াতে।’

সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা পাশা চৌধুরীর গ্রেপ্তারে জমিয়তের নিন্দা।

0

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীর গ্রেপ্তারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জমিয়ত।

আজ শুক্রবার (৭ মে) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, রমজান মাসে এতেকাফরত একজন আলেমকে গ্রেপ্তার করে পবিত্র মাহে রমজানের মাহাত্ম ভুলন্ঠিত করা হচ্ছে। ধর্মীয় নির্দেশানাবলী পালনের পরিবেশও সংকোচিত হতে চলছে। কোনোরকম বাছবিচার না করে আলেম-উলাম ও ইসলামী ব্যাক্তিত্বদের একের পর এক হয়রানি করে চলেছে সরকার। ইবাদতরত অবস্থায় মসজিদ থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে আলেমদের। এতে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ-অনুভূতি চরমভাবে আহত হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শাহিনুর পাশা চৌধুরী একজন সাবেক নির্বাচিত সংসদ সদস্য পাশাপাশি তিনি একজন আলেমে দীন। প্রতিবারের ন্যায় এবারো তিনি রমজানের শেষ দশকে মসজিদে এতেকাফের আমল করছিলেন। এ অবস্থায় অত্যান্ত ন্যাক্কারজনকভাবে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এবাদতরত অবস্থায় একজন আলমকে গ্রেপ্তার করা পরিস্কার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার শামিল।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরীহ, নিরপরাধ আলেম উলামাদের অব্যাহতভাবে যে হয়রানি করা হচ্ছে তা যদি অবিলম্বে বন্ধ না করা হয় তাহলে তা সরকারের জন্য শুভ পরিনাম বয়ে আনবে না। উলামায়ে কেরাম ও কুরআনের হাফেজদের নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে এবাদত-বন্দেগী ও কুরআন তেলাওয়াতের পরিবেশ নিশ্চিত করারও জোর দাবি জানান জমিয়ত নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী আলেমগণ হলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা শায়েখ জিয়া উদ্দীন, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া।