Home Blog Page 4554

সমাজের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইনসাফ

0

আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী | চেয়ারম্যান, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ওডাইরেক্টর, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি


বাংলাদেশের ইসলামী ঘরানার সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের ষষ্ঠ বছর পূর্তিতে প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক, প্রকাশকসহ সকল সংবাদ কর্মীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সমাজের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ইনসাফ। পত্রিকাটির এ ভূমিকা আগামী দিনে অব্যাহত থাকবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

গণমাধ্যমের কল্যাণে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। ফলে মানুষ এখন গুরুত্বপূর্ণ খবর দ্রুত পেতে চায়। শুধু তা-ই নয়, মানুষ এখন খবরের পেছনের ঘটনাও জানতে চায়। এ প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক এবং সংবাদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগের চেয়ে বেশি দায়িত্ব সচেতন হতে হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ইনসাফ।

ইনসাফের এ অগ্রযাত্রা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকুক- ইনসাফের ৭ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি ইনসাফের সাফল্য কামনা করি।

রাজকীয় নিউজপোর্টালের গল্প

0

মুহাম্মাদ আফজাল হুসাইন | চেয়ারম্যান : ক্যারিয়ার বাংলাদেশ


সংবাদ পরিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যার উপর নির্ভর করে জাতির উন্নতি-অগ্রগতি। তবে তা হতে হয় বস্তুনিষ্ঠ ও সততানির্ভর। অন্যথায় তা হয় জাতি ধ্বংসের হাতিয়ার। চলমান বিশ্বে যা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে বস্তুনিষ্ঠ সৎ সাংবাদিকতা মানেই পাহাড়সম চ্যালেঞ্জের বিষয়। সেই দুর্গম পথ পাড়ি দিতে এগিয়ে এসেছে কিছু সাহসী সত্যান্বেষী তরুণ সাংবাদিক বন্ধু। যাদের মেধা মনন ও রুচির ভিন্নতা, বিষয়বৈচিত্র্য ইতিমধ্যেই গণমানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে আস্থা অর্জন করেছে বোদ্ধামহলের, আলেমসমাজের। সেই সারির অনলাইন নিউজপোর্টালের অগ্রপথিক ইনসাফ।

সাহসী তরুণ সম্পাদক সাইয়্যেদ মাহফুজ খন্দকারের সাথে আমার পরিচয় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যার আয়োজক তিনি। পাক্ষিক আড্ডালাপে। তারপর বেশ কয়েকটি আয়োজনেই অতিথি আলোচক হিসাবে আমার যাবার সুযোগ হয়েছে। সমকালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আয়োজিত তার প্রায় সবগুলো আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম। বিশেষ করে ইসলামি ঘরানার মাঝে এমন আয়োজন বিরল বলা যায়। বিষয়, অতিথি, আয়োজন, উপস্থাপনা, ব্যবস্থাপনা সবখানেই একটা রাজকীয় ভাব ও ভিন্নতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা তারা আন্তরিকভাবে করে থাকেন বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। বিশেষ করে তাদের উপস্থাপিত সংবাদের ভিডিও দেখে আমরা বেশ আপ্লুত। টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত সংবাদ উপস্থাপক সম্ভবত ইনসাফেই প্রথম দেখিয়েছে। উপস্থাপক রায়হানুল কবীর ও ফটোগ্রাফার আলাউদ্দীনের কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। তারা সকীয়তা ধরে রেখে ইসলামি ঘরানায় একটা নজির স্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে একটা মানসম্মত নিউজপোর্টালের প্রতিষ্ঠা ও গতিশীল রাখার জন্য সম্পাদক মহোদয়কে এ জন্যই ক্যারিয়ার বাংলাদেশ গুণীজন সংবার্ধনার তালিকায় এনেছে। এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের ব্যবস্থা করেছে।

সাংবাদিকতায় অর্ধযুগ পাড়ি দেওয়া খুব সোজা কথা নয়। সেই কঠিন বিষয়টা ইতিমধ্যেই রপ্ত করেছে ইনসাফ পরিবার। অর্ধযুগ পূর্তির এই শুভক্ষণে আমাদের স্মরণ করেছেন সম্পাদক মহোদয়। তাঁর নিরলস মেহনত ও নিবিড় অধ্যাবসায় তাকে একটা স্তরে উপনীত করেছে বলেই আমার বিশ্বাস। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইনসাফের স্বপ্ন ডানা মেলে পৌঁছে যাবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে এটা জোর দিয়েই বলা যায়।

দেশ ও জাতির এই দুর্দিনে, নীতিহীন এই অবক্ষয়ের কঠিন দুর্যোগে ইনসাফ সর্বত্র ইনসাফের কথা বলে যাবে দৃপ্ত প্রত্যয়ে, অসীম সাহসে, সুচিন্তিত কৌশলে এটাই আমাদের হৃদয়বীণার গুঞ্জরিত অনুরণন। আশা করি ইনসাফের মাধ্যমে তা উচ্চকিত হবে যথার্থরূপে, তেজোদ্বীপ্ত কণ্ঠে, পরিশীলিত শব্দে, তথ্যবহুল সংবাদ উপস্থাপনার মাধ্যমে।

নিত্য সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি ইনসাফ আয়োজন করে চলুক জাতি গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানমালা। অর্ধযুগ পূর্তিতে এটাই আমাদের ঐকান্তিক প্রত্যাশা। সম্পাদক ও অন্যান্য দায়িত্বশীল সবার প্রতি শুভ কামনা। প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বীরদর্পে এগিয়ে যাক ইনসাফ।

ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ইনসাফ আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখুক

0

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী | লেখক, আলেম ও কলেজ শিক্ষক


বর্তমান সময়ে মিডিয়াকে আমরা কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারি না। আমরা যারা ইসলামকে ভালোবাসি এবং ইসলামের প্রচার ও প্রসার কামনা করি, তারা বর্তমান বাস্তবতায় মিডিয়ার প্রতি গুরুত্ব দিতে বাধ্য। মিডিয়া এখন আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায়। এ যুগে যে কোনো তথ্যের জন্য মানুষ ইন্টারনেটের শরণাপন্ন হচ্ছে। তাই বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সময়ের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ এদেশের মানুষের দ্বীনি চেতনাকে ধারণ ও লালন করে সামনে এগিয়ে চলছে। ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে একটি সমৃদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে লক্ষ্যে ইনসাফ এখনো অবিচল। এমনকি বর্তমানে করোনাভাইরাস সংকটকালীন সময়েও ইনসাফ কর্মীরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখে মানুষকে সঠিক তথ্য দিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে মূলধারার মিডিয়াগুলো যেখানে অপসংস্কৃতির বিষাক্ত স্রোতে গা ভাসিয়ে চলতে অভ্যস্ত, সেই সময়ে একজন তরুণ সম্পাদকের নেতৃত্বে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়েই ইনসাফ ইসলামী মূল্যবোধ তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে ইনসাফ ৭ম বছরে পদার্পণ করেছে। আমি মনে করি, যুগ যুগ ধরে ইনসাফ ইসলাম, দেশ ও জনগণের কথা সাহস ও ইনসাফের সাথে বলে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মিডিয়া পরিচালনা করতে অর্থের প্রয়োজন। এ অর্থ সংগৃহীত হয় প্রধানত বিজ্ঞাপন থেকে। কিন্তু অনেক বিজ্ঞাপনদাতাদেরই ইসলামী মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ কম। তাই আমি অনুরোধ করবো, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যাদের অর্থ দিয়েছেন, প্রভাব-প্রতিপত্তি দিয়েছেন, তাদের উচিত ইসলামি মিডিয়ায় পৃষ্ঠপোষকতা করা। যারা মানুষের মধ্যে সততা ও নীতি-নৈতিকতার প্রচার-প্রসারে প্রতিকূল পরিবেশেও কাজ করছে তাদেরকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন যোগানো।

পরিশেষে আমি ইনসাফ পরিবারের কাছে প্রত্যাশা করবো, ইসলামি মূল্যবোধের ব্যাপারে আপোষ না করেই সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সকল মত ও পথকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলামী ভাবধারা লালন করেই বিপরীতমুখী মতামতও অকৃপণতার সঙ্গে তুলে ধরতে হবে।

আশা করি, ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ইনসাফ আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। ইনসাফ পরিবারের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে তাঁর দ্বীনের কল্যাণে কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

মিডিয়ায় একশত ভাগের মাত্র পাঁচ ভাগে আমাদের বিচরণ

0

মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ | সম্পাদক : ইসলাম টাইমস


মানুষের মনস্তত্ত্ব নির্মান, সমর্থন এবং যে-কোন বিষয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পেছনে মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি। দেশের মূলধারার মিডিয়াগুলো ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ ও তাদের ইস্যুর প্রতি মনযোগী না। বিশেষ করে ধর্মপ্রাণ মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অধিকারের প্রতি। মূলধারার মিডিয়ায় নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাতের মতো ইস্যুতে প্রবন্ধ প্রকাশ করে। কিন্তু দ্বন্দ্বমুখর কোন ইস্যু অর্থাৎ ইসলামের সঙ্গে পশ্চিমের সংঘাত, ইসলামের সঙ্গে পৌত্তলিক সংস্কৃতির সংঘাতের পেক্ষাপটে তেমন ভূমিকা থাকে না। এক্ষেত্রে ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। ইসলামী মিডিয়াগুলো মুসলিম জাতির আবেগ ও ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। তাদের সোনালী ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই ইসলামী মিডিয়াগুলোর প্রতি আমাদের মনযোগ দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

তবে ইসলামী মিডিয়াগুলোর বর্তমান অবস্থান খুবই ক্ষীণ। শুধু পথ চলার মতো। মিডিয়ার অনেক শাখা-ই ইসলামী মিডিয়ায় অনুপস্থিত। আমরা যদি রেডিওর কথা বলি, তাহলে সেখানে ইসলামী কোনো মিডিয়া নেই। টেলিভিশন চ্যানেলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। মিডিয়ার একটি বড় শাখা হচ্ছে প্রিন্ট মিডিয়া বা দৈনিক পত্রিকা। এখানেও ইসলামী মিডিয়াগুলোর তেমন কোনো অবস্থান নেই। কিছু ইসলামী অনলাইন পত্রিকা আছে, যাকে আমরা ইসলামী মিডিয়া মনে করি। আমার দৃষ্টিতে মিডিয়ায় একশত ভাগের মাত্র পাঁচ ভাগে আমাদের বিচরণ।

এমতাবস্থায় ইসলামী মিডিয়ার প্রতি পাঠক এবং পৃষ্ঠপোষক শ্রেণী যদি মনোযোগী হোন, তাহলে এটি ভালো কিছু করতে পারবে। আমার বিশ্বাস, ইসলামী ঘরানার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যদি ইসলামী মিডিয়ার গুরুত্ব অনুধাবন করে ডোনেট করেন, তাহলেই ইসলামী মিডিয়ার উন্নতি হবে এবং মূলধারার মিডিয়ার উপর বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

আলহামদু লিল্লাহ্। দেশে ইসলামী ঘরানার যে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকা আছে, ইনসাফ তারমধ্যে প্রথম থেকে কাজ শুরু করেছে। আমি ইনসাফের পথচলা লক্ষ্য করছি। তারা নিউজগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে। নিউজে দৃষ্টিভঙ্গিগত ব্যাপার থাকে, ইনসাফ সেক্ষেত্রেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা নিউজের ভূমিকা ও শিরোনামে সুন্দর চমক রাখে। ইনসাফের এ বিষয়গুলো আমার ভালো লাগে। এছাড়াও ইনসাফের কিছু বাড়তি উদ্যোগ থাকে। বিভিন্ন লাইভ প্রোগ্রাম, টকশো, সেমিনার ইত্যাদি। আমার মনে হয়, ইনসাফ নিজস্ব গতিতে ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি পত্রিকাটির উজ্জ্বল, ইতিবাচক ও সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করি এবং দোয়া করি।

(শ্রুতিলিখন)

ইনসাফ : অর্ধযুগের গল্প

0

মারজান চৌধুরী | নির্বাহী সম্পাদক : ইনসাফ


অর্ধযুগ আগে শীতের শেষ দিকে শাহবাগে উত্তাপ ছড়িয়েছিল একটি গনজমায়েত। কিন্তু এর নেপথ্য কাহিনী জানতে বেশি সময় লাগেনি। তাই দেশ ও ইসলাম বিরোধী শক্তির নেতৃত্বে গড়ে উঠা সেই জমায়েত সাধারণ মানুষ বয়কট করা শুরু করে। শীতের শেষে দেখা মিলে বসন্তের। মুক্তিকামী জনতার ঢল নামে শাপলায়। ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল, স্মরণকালের বৃহৎ লংমার্চ দেখে দেশবাসী। দেশপ্রেমিক তৌহীদি জনতা দাবি আদায়ে আল্টিমেটাম দেয়। সেই দাবি আদায় না হওয়ায় ৫ মে বিশ্ববাসী দেখে এক নজিরবিহীন জনসমাবেশ। নতুন এক সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় যখন প্রহর গুনছিল মুক্তিপাগল জনতা, ঠিক তখন রাতের আঁধারে লাখো কোটি জনতার জোয়ার থামিয়ে দেয়া হয়।

এরপর থেকেই সবকিছু ঘোলাটে হতে থাকে। দেশের পরিস্থিতি থমথমে। চারিদিকে দালাল মিডিয়ার রাজত্ব। এভাবে কেটে যায় একটি বছর। ২০১৪ সালের ৫ মে মজলুমের আশার আলো হয়ে জন্ম নেয় ইনসাফ।

আমরা জানি মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। সেগুলো হল- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ। এই তিনটি বিষয় ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। পাকিস্তান অর্জনের জন্য একসময়ে যে জাতি সংগ্রাম করেছিল, সেই জাতি পাকিস্তানিদের মধ্যে ইনসাফ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধেই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তবে বর্তমানে বাংলাদেশেও ইনসাফের অনুপস্থিতি প্রকটভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব কিছুও ইনসাফের উত্থানে ভূমিকা রেখেছে।

ইনসাফ যাত্রা শুরুর পর অনুসরণ করার মতো কাউকে পায়নি। তাই আদর্শের উপর অটল থেকে ইনসাফের দীর্ঘ এই যাত্রা নতুন এক আদর্শিক ধারার জন্ম দিয়েছে বলা যায়। এখানে সবার প্রতি ইনসাফ করা হয়, কারো প্রতি জুলুম করা হয় না। নির্দিষ্ট দল বা ধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস বা বিদ্বেষ কোনটিই পোষণ করা হয় না। এখানে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়। ইনসাফ জুলুমের বিরুদ্ধে, মজলুমের পক্ষে সবসময়। ইনসাফ মানবতার কথা বলে, সাম্যের কথা বলে, ন্যায়ের কথা বলে। এখানে অন্যায়ভাবে কাউকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দেয়া হয় না, ভিলেনকে হিরো বানিয়ে দেয়া হয় না, হিরোকে ভিলেন বানিয়ে দেয়া হয় না। সংখ্যাগরিষ্ঠের মত ও সংখ্যালঘুদের মতকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখে ইনসাফ।

আজ অনেকেই ইনসাফকে অনুসরণ ও অনুকরণ করছে আলহামদুলিল্লাহ্‌। ইনসাফের আত্মপ্রকাশের পূর্বে দেশের গণমাধ্যমের অবস্থা সকলের মোটামোটি জানা আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে আক্রমণ করাও রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল গণমাধ্যম নামধারী এসব গণবিরোধী মাধ্যমের। কিন্তু অর্ধযুগ পরে এখন কথিত মূলধারার গণমাধ্যমের চরিত্র অনেকটাই পাল্টেছে। এতোটা পাল্টেছে যে, ইসলামী ঘরানার সংবাদকে অনেক ক্ষেত্রে ইসলামী মিডিয়ার চেয়েও গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করছে তারা। এটি নিঃসন্দেহে ইনসাফের সাফল্য, আলহামদুলিল্লাহ্‌। সেইদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের মিডিয়া বিপ্লবের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিবে।

বিশ্বের সব প্রভাবশালী মিডিয়ার নিজস্ব তহবিল রয়েছে। তারা এমনকি নিউজের মধ্যেও সাহায্যের ব্যানার যুক্ত করে দেয়। তাছাড়া নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা যে পরিমাণ পৃষ্ঠপোষকতা পায়, ইসলামী মিডিয়া পায় না, আমাদের ব্যর্থতা এই যায়গায়, এটি স্বীকার করতেই হবে।

আমি মারজান হোসাইন চৌধুরী। ইনসাফের সবচেয়ে পুরনো কর্মী। ২০১৪ সালে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠালগ্নেই ইনসাফে যুক্ত হয়েছি। শুরুতেই নির্বাহী সম্পাদক হওয়ার মত যোগ্যতা নিয়ে ইনসাফে যুক্ত হইনি। প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বার্তাবিভাগের দায়িত্ব, এরপর সহকারি সম্পাদক, সর্বশেষ নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি।

‘অর্ধযুগ’ এটা হয়তো যে কারো কাছে খুবই সাধারণ একটি শব্দ, কিন্তু আমার কাছে মোটেও তেমন নয়। আমার কাছে এটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ওজনদার একটি শব্দ। সময়ের কথা যদি বলি, ৬ বছর অনেকের কাছে চোখের পলক ফেলার মতো একটি সময়। কিন্তু আমার কাছে সময়টি দীর্ঘ। আমার কাছে এমন মনে হওয়ার কারণ হচ্ছে চলার পথ মসৃণ না হওয়া। এই দীর্ঘ সময়ে ইনসাফের উপর দিয়ে বয়েগেছে অসংখ্য ছোট-বড় ঝড়। কখনো অফিস কেন্দ্রিক, কখনো শুধু পত্রিকা কেন্দ্রিক, আবার কখনো প্রশাসনিক, এসবকিছুর সাক্ষী আমি।

জনাব সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার। তিনি ইনসাফের সম্পাদক ও প্রকাশক। নিজের সন্তানের মতো আগলে রেখেছেন ইনসাফকে। আমি তার কাছ থেকেই যোগ্যতা অর্জন করেছি, এতদূর আসতে পেরেছি। শুধু আমি নয় ইনসাফের সাথে সংশ্লিষ্ট বাকিরাও তাঁর কাছ থেকেই শিখেছেন, যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এরপর স্ব স্ব পদে আসীন হয়েছেন।

অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ তিনি। ইনসাফের জন্য তিনি সবকিছু উৎসর্গ করেছেন। কল্পানাতিত সুন্দরভাবে মোকাবিলা করেছেন সব সংকট। খেয়ে না খেয়ে, দিনকে রাত করে, রক্তকে পানি করে কাজ করেছেন এখনো করছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে যাবেন বলে আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইনসাফ পরিবারের বাহিরের কারো কাছে এসব কিছুকে বাড়িয়ে বলা মনে হতে পারে। কিন্তু আমি বলব, আল্লাহকে সাক্ষী রেখেই আমি এসব বলছি।

ইনসাফের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা বেশিরভাগই দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত। কেউ মাদ্রাসার শিক্ষক, আবার কেউ ছাত্র। ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্ররাও আছেন এখানে। রয়েছেন আলেম ও মুফতি। অসাধারণ সমন্বয় হয়েছে ইনসাফের টীমে, যা হয়তো আর কোথাও দেখা যাবে না। এখানে যারা কাজ করে তারা দ্বীনের জন্য কাজ করে, দেশের জন্য কাজ করে, এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশে নয়।

দেখতে দেখতে ৬বছর পেরিয়ে ৭ম বর্ষে পদার্পণ করলো বাংলাদেশের ইসলামী ঘরানার প্রথম ও জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ। আমি ভাবতাম ইনসাফ হবে ‘বাংলাদেশের আলজাজিরা’। কিন্তু এখন আর ভাবি না। এখন আমি যেটা ভাবি, সেটা হল, ইনসাফ ‘ইনসাফ’ই হবে। কারণ এর নিজস্বতা আছে। অন্যদের মতো জগাখিচুড়ি মার্কা আদর্শ বা ধার করা আদর্শ নিয়ে ইনসাফ চলে না। আর এজন্য এটা বলতে দ্বিধা নেই যে, সত্যিই ‘ইনসাফ আস্থার প্রতীক’।

সঙ্গত কারণে ৫ ও ৬ মে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে পারিনা। তবে মে মাসের কোন এক তারিখে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করি। কিন্তু এবার বিশাল প্রস্তুতি থাকার পরও বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা আড়ম্বরপূর্ণ কোন অনুষ্ঠান করতে পারিনি। তাই অনলাইনে অনাড়ম্বরপূর্ণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সহযোদ্ধাদের যারা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ছিলেন এবং আছেন। দর্শক ও পাঠকদের নিকট আমরা চিরকৃতজ্ঞ। আপনাদের ভালোবাসা না থাকলে এই লম্বা পথ পাড়ি দেয়া কোনভাবেই সম্ভব ছিল না।

বিপ্লবী ভূমিকায় ইনসাফ!

0

জুনায়েদ আল আবেদীন | শিক্ষার্থী, মাদরাসাতুর রহমান আল আরাবিয়া মাদানি নগর


আল্লাহ তাআলা আশরাফুল মাখলুকাতের হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন৷ অসংখ্য প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নবীগণ দাওয়াতি কাজ করেছেন৷ উম্মতকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন৷ ন্যায়-নীতি ও ইনসাফের কথা শিখিয়েছেন৷

প্রত্যেক নবীকেই আল্লাহ তাআলা কিছু অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে প্রেরণ করেছেন৷ তাদের এই মু’জেযা হতো যুগের চাহিদা অনুযায়ী৷ সমাজের রীতি অনুযায়ী৷

উদাহারণ হিসেবে উল্লেখ করলে যেমন হযরতে মুসা (আ:) এর যামানায় যাদু বিদ্যা বেশ সুখ্যাত ছিলো৷ এজন্য আল্লাহ তাআলা মুসা আ. এর মুজেযাকে যাদুর সাথে সাদৃশ্য করে দিয়েছিলেন৷ এমনিভাবে হযরতে সুলাইমান ও দাউদ (আ.) এর মুজেযার কথাও বেশ প্রসিদ্ধ৷ এখান থেকে একটা কথা পরিস্কার বুঝে আসে যে, বাতিল যখন যেরুপে আত্মপ্রকাশ ঘটায়, হককেও তখন সেরুপ ধারণ করে বাতিলকে প্রতিহত করতে হয়৷ এটাই পৃথিবীর নিয়ম৷
আজ যখন মিডিয়ার নাম শুনলে নাস্তিক্যবাদের আখড়ার স্বচিত্র মানুষের যেহেনে চলে আসে৷ বেহায়াপনা ও অশ্লিলতার দ্বিতীয় নাম যেন বনে গেছে মিডিয়া৷

৯০% মুসলমানের দেশে যখন ইসলামের বিরোধিতা করা এক নব্য ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে৷ অপর দিকে বর্তমান জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষ মিডিয়া দ্বারা এতোটা প্রভাবিত যে, মিডিয়াকে গুরত্বহীন স্থানে দাঁড় করাবার সুযোগ নেই৷ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না৷

ঠিক ইসলামের এমন এক ক্রান্তিকালে হক্কানী আলেমদের দাঁড়ানোর মতো কোনো মিডিয়া নেই৷ কথা বলবার স্থান নেই৷ হকের বাণী ছড়ানোর মতো হাজারো প্রতিভা যেন একটু আলোর অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত৷
এমনি একটি দুর্যোগকালে আমাদের প্রিয় ইনসাফ বিপ্লবী বেশে আত্মপ্রকাশ করেছে৷ নতুন দিগন্তে নব্য সূর্য উদয়ের আশা জাগিয়েছে সকলের অন্তরে৷ সদা ন্যায় নীতি ও সততার সঙ্গ দিয়েছে৷ হর হামেশা ইসলামের উপর ভেসে আসা আঘাতগুলোকে কঠোর হাতে প্রতিহত করে এক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে।

সকলের সতস্ফুর্ত ভালোবাসা ও নিঃস্বার্থ আত্ম প্রচেষ্টার বিনিময়ে ইনসাফ আজ মিডিয়া জগতের এক অনন্য নাম৷ সকলের নিকটে এক প্রিয় ও পরিচিত নিউজ পোর্টাল৷ হক্কানী আলেমদের কথা বলার একটি আস্থাপূর্ণ জায়গা৷ ঐক্যবদ্ধ এক প্লাটফর্ম। সবদিক থেকে মানুষকে একত্রিত করে। ইসলামি অঙ্গনের উপর আসা আঘাতকে ঢাল হিসাবে আটকিয়ে দেয়।

অর্ধযুগ পেরিয়ে মানুষের কল্যাণে ইনসাফ

0

নুরুসসালাম গালিব | হয়বতনগর, কিশোরগঞ্জ


আল্লাহ তায়ালা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাযিল করেছেন মানুষের হেদায়েতের জন্য৷ মানুষের মাঝে ন্যায়-নীতির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। তাঁর ওফাতের পর থেকে এ পর্যন্ত মানুষের মাঝে ন্যায়-নীতি, শান্তির আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কেউ না কেউ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তেমনি ইনসাফ পত্রিকা মানুষের কল্যাণের মাধ্যমে অর্ধযুগ পেরিয়েছে৷ আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমান সময়ে এরকম একটি পত্রিকা পাওয়া কষ্টসাধ্য।

আমার প্রিয় অন্যতম একটি পত্রিকা ইনসাফ। যেটি চব্বিশ ঘণ্টা নির্ভুল তথ্য দিয়ে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমার দুচোখে ইনসাফের নিউজ ভালোই লাগে৷ তবে পত্রিকাটিতে যদি বিভিন্নরকম অংশ থাকে তাহলে তরুণেরা বেশ উপকৃত হবে। যেমনঃ কবিতা, গল্প, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

সময়ের সাথে, পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামিক ক’টা পত্রিকা অর্ধযুগ পেরুতে পেরেছে? ইনসাফের সফলতা যুগযুগ যেন সত্যকে আঁকড়ে ধরে সেই কামনা৷ যারা ইনসাফকে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য শুভ কামনা। তাদেরকে আল্লাহ উত্তম জাযা দান করুন! ইনসাফের সফলতা আমাদের জন্য গৌরবের। সবসময় ইনসাফের পাশে থাকার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

সত্যকে জয় করে ইনসাফ প্রত্যেকটা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলেই আমাদের সফলতা।

সহজ ও সাবলীল ভাষায় স্বল্প কথায় ব্যাখ্যা করাটা সম্ভব না৷ তবুও আমি ছোট্ট মানুষটার অনুভূতি এখানে প্রকাশ করেছি৷

ইসলামী সমাজ ও সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এরকম পত্রিকা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। যিনি ও যারা ইনসাফের মাধ্যমে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছিল তাদের জন্য একবুক ভালোবাসা।

এগিয়ে যাক ইনসাফ, অর্ধযুগ পেরিয়ে যুগযুগ ধরে চলতে থাকুক ইনসাফ। প্রতিষ্ঠা হোক সত্য, বয়ে আনুক শান্তি। শুভ কামনা, শুভ হোক ইনসাফের পথচলা।

ইনসাফ এখন তৌহিদী জনতার বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যম

0

মুহাম্মাদ ইরফান সোলাইমান | সহকারী প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : আলোকিত মিডিয়া টোয়েন্টিফোর ডটকম


ইনসাফ বাংলাদেশের ইসলামী ঘরোনার প্রথম অনলাইন পত্রিকা। ইনসাফের অনুপ্রেরণায় এখন অনেক পোর্টাল তৈরী হয়েছে। শত শত নতুন সংবাদকর্মী তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে ক্বওমি অঙ্গনের অধিকাংশ ইনসাফের কারণে নিউজ পোর্টালের সাথে পরিচিত হয়েছে। এর আগে মানুষ মিডিয়া সমন্ধে তেমন কিছু জানতো না।

২০১৩ সালের হেফাজতের উত্থানকে ঘিরেই মূলত ইনসাফের পথচলা। যখন মিডিয়ার শূণ্যতা ওলামায়ে কেরাম প্রচণ্ডভাবে উপলব্ধি করলেন, ঠিক তখনই মাহফুজ খন্দকার এগিয়ে আসলেন মিডিয়া কার্যক্রম শক্তিশালীর করার জন্য। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অনেক আগ থেকেই মাহফুজ ভাইয়ের সম্পর্কের সুবাধে ইসলামী অঙ্গণের বিভিন্ন খবরা খবর পেতাম।

আলহামদুলিল্লাহ! সেই মাহফুজ খন্দকার থেকে এখন ইনসাফ বাংলার শত শত তরুণের অন্তরে। তিনি মিডিয়াতে তরুণদের আগ্রহী করেছেন। ইনসাফ থেকে উৎসাহীত হয়ে আমরা নিজেরাও আঞ্চলিক একটি পত্রিকা করেছি।

ভালবাসি মাহফুজ খন্দকার ও ইনসাফকে। অর্ধযুগ পূর্তি ও ৭ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে হৃদয় নিঙরানো ভালবাসা রইলো। মুরুব্বীদের আস্থার প্রতীক ইনসাফকে দৈনিক পত্রিকা হিসেবে দেখতে চাই।

নির্দিষ্ট ব্যক্তি গোষ্ঠী নয়, অর্ধযুগে ইনসাফ গণমানুষের মুখপত্র

0

মুফতী শামীম আল আরকাম | সভাপতি : মারকাযুস সাহাবা বাংলাদেশ


পাঠক সমাদৃত অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের অর্ধযুগ ফূর্তিতে সম্পাদক, সংবাদকর্মীসহ ইনসাফ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

প্রতিষ্ঠাকাল হতেই পত্রিকাটির সাথে আমার দারুণ সখ্যতা। ইনসাফের সবচেয়ে ভালোলাগা বিষয় হল- পত্রিকাটি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠীর না হয়ে গণমানুষের সংবাদ প্রকাশে নিজের অবস্থানকে সুস্পষ্ট করতে পেরেছে। যা একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে সংবাদ প্রিয় মানুষের প্রথম চাওয়া। একচেটিয়া, বুর্জুয়া ও তেলেসমাতি সংবাদ প্রচারকে পাশ কাটিয়ে গণমানুষের চাহিদা পূরণে ইনসাফ বরাবরই তাঁর এ সফল অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিবে এমনটাই আশা করছি।

দেশ ও জাতির সর্বাবস্থায় ইনসাফের কথা বলে যাবে ইনসাফ

0

ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী | চেয়ারম্যান : বোর্ড অব ট্রাস্টিজ মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, সিলেট।


সংবাদমাধ্যম সমাজের দর্পণ। দেশ ও জাতির সমস্যা-সম্ভাবনা, সংকট-উত্তরণ সব প্রতিফলিত হয় সংবাদমাধ্যমে। রাষ্ট্রের পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে সংবাদমাধ্যম তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে যাচ্ছে ইনসাফ। হাঁটি হাঁটি পা পা করে এই সংবাদমাধ্যম ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে, এটি নিশ্চয়ই আনন্দের।

বর্তমানে আমরা খুব কঠিন সময় পার করছি। মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। প্রতিদিন প্রাণ ঝরছে মানুষের। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই সংকটময় সময়ে ইনসাফ অনাড়ম্বরভাবেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে বলেই মনে করছি। যে সংবাদমাধ্যমের সাথে ইনসাফ শব্দটি যুক্ত, সেই সংবাদমাধ্যম নিশ্চয়ই বেইনসাফের মতো এই দুঃসময়ে জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে না।

ইনসাফের কথা বলছিলাম। আমাদের সমাজে, আমাদের সকল ব্যবস্থায় এখন ইনসাফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, খুবই জরুরি। কারণ, আমরা দিনে দিনে অমানবিক হচ্ছি; মনুষত্ববোধ হারাচ্ছি। সমাজে ইনসাফ করতে পারছি না আমরা। মানুষের হক আদায় করছি না। আমরা ডুবে আছি পাপ-পঙ্কিলতার সাগরে। ফলে আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা এসে হাজির হচ্ছে, মহাবিপদে পড়ছি আমরা।

এরকম সময়ে দেশ ও জাতির সর্বাবস্থায় ইনসাফের কথা বলে যাবে ইনসাফ, সে প্রত্যাশাই করছি। ইনসাফকে শুভেচ্ছা, শুভকামনা।