আমেরিকার লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে একটি ব্যক্তিগত বিমান বিধ্বস্ত হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। টেক্সাসের একটি পশু চারণভূমিতে জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে হিলটপ লেকের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
টেক্সাস পাবলিক সেফটি অথরিটি জানিয়েছে, বিমানের আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। ডেইলি ঈগল পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।
লিওন কাউন্টের শেরিফ কেভিন এলিস পত্রিকাটিকে জানান, জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় তবে সে সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেডিও কন্টাক্ট ছিল।
বিমানটি অস্টিনের পশ্চিমে অবস্থিত হর্স সু বে রিসোর্ট থেকে উড্ডয়ন করেছিল এবং এটি লুইজিয়ানার ন্যাচিটোচেস যাচ্ছিল। আমেরিকান ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ড জানিয়েছে দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আল-আকসার খতিব শায়েখ ইকরামা সাবরি বলেছেন, দখলদার ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাওয়া মুসলমানদের জন্য হারাম। কারণ এই সংগীতে বলা হয়েছে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড, বায়তুল মুকাদ্দাস শহর ও মসজিদুল আকসা হচ্ছে ইহুদীবাদীদের।
তিনি আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যারা ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাইছে তারা অজ্ঞতা থেকে অথবা ইহুদীবাদে প্রভাবিত হয়ে এ কাজ করছে। কিন্তু মুসলমানেরা এই সংগীত গাইতে পারবেন না। এটা তাদের জন্য হারাম।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন নাগরিক ইসরাইলি জাতীয় সংগীত গেয়ে এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
আর এই ভিডিও দেখার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছেন এবং এ ধরণের কাজে উৎসাহ যুগিয়েছেন। এরপরই শেইখ আকরামা সাবরি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন। তিনি ইসরাইলি সংগীত মুখে উচ্চারণ না করতে সব মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এবং ইসরাইলী সংগীত গাওয়া হারাম হিসেবে ফতুয়া দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে হেফাজতে ইসলামের সদ্যপ্রয়াত আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন জিহাদীকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
দেওভোগ এক মসজিদের খতিবের করা মামলায় রোববার সকালে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকা থেকে মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আল্লামা আহমদ শফীকে নিয়ে ফেইসবুকে কটূক্তি করার অপরাধে আলাউদ্দিন জিহাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। তাকে মাহমুদপুরের তার নিজবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে সঙ্কটের কথা বিবেচনায় রেখে ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠাতে চায় তুরস্ক। প্রতি কেজি এ পেঁয়াজের দাম পড়বে ২০-২৫ টাকা। বেসরকারিভাবে এ আমদানির বিষয়ে অবশ্য এখনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি বাংলাদেশ। তুরস্কের বাংলাদেশ মিশন থেকে এর মধ্যে এ প্রস্তাবনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরে সময় সংবাদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানান, “সে দেশে থাকা কালেই পেঁয়াজের সমস্যা জানান পর বাণিজ্যমন্ত্রীকে টেলিফোন করি। তার সম্মতিতে বাংলাদেশ মিশনকে দায়িত্ব দিই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করতে। সরকারীভাবে দুই দেশের মধ্যে না হলেও বেসরকারিভাবে আলোচনা এগিয়েছে৷ ”
বাংলাদেশ মিশনসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের চাহিদামতো পেঁয়াজ সরবরাহে প্রস্তুত তুরস্ক। দেশটিতে কয়েক রকম পেঁয়াজ আছে। স্বাদ এবং রং ভিন্ন ভিন্ন৷ তবে যেহেতু এর আগেও তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করেছে, তাই দেশটির ব্যবসায়ীরা জানে এ দেশের মানুষ কোন পেঁয়াজটি পছন্দ করে।
তুরস্কের ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কথা এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় আনতে পরিবহন খরচসহ প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়বে ২০-২৫ টাকা৷
রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের আমীর ও দারুল উলূম হাটহাজারি মাদরাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক শাযইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব ও দোয়া পরিচালনা করবেন আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
মাহফিলে হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.এর উপর স্মৃতিচারণ করবেন শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম।
দোয়া মাহফিলে শরীক হওয়ার জন্য জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার উলামায়ে কেরাম, মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম-খতীবদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছে কথিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন জেহাদীকে।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মামুদপুর এলাকা থেকে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, আলাউদ্দিন জেহাদীকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
উত্তর সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে জাতিসংঘের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে জাতিসংঘের অভিযোগকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে তুরস্ক । তুরস্ক এ ব্যাপারে তাকে জড়িয়ে জাতিসংঘের সমালোচনার নিন্দা জানাচ্ছে এবং এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, তুরস্ক কেবল রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকা বিদ্রোহীদের সমর্থন জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল বেসেলেট বলেছেন, উত্তর সিরিয়ার কিছু অংশে মানবাধিকার পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এসময় তিনি তুরস্ককে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির দ্বারা করা লঙ্ঘন যাতে আর না হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বার বার ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা করা পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সবাইকে বুঝতে হবে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের হৃদয়ে সমাসীন। যখন তাকে অবমাননা করা হয়, তখন আমাদের হৃদয়ে আঘাত লাগে। আর প্রত্যেক ব্যক্তিই জানেন হৃদয়ের আঘাত খুবই ভয়ানক। তাই যখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা করা হয় তখন মুসলিমরা প্রতিক্রিয়া দেখায়, কিন্তু পশ্চিমারা এটা বুঝতে পারে না।
তিনি বলেন, আমি কিশোর বয়সে ইংল্যান্ড থাকতে দেখেছি যীশু খৃস্টকে নিয়ে কমেডি ছবি নির্মাণ করতে। এটা আমাদের মুসলিম সমাজে অকল্পনীয় বিষয়। যে সকল বিষয় অন্য মানুষদের হৃদয়ে আঘাত করে সেসব আমাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
পশ্চিমাদের উদ্দেশ্য করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা সমাজে হলোকাস্টকে একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটি ইহুদী কমিউনিটিকে আঘাত করেছে। আমরাও একই শ্রদ্ধাবোধ প্রত্যাশা করি। আপনার বাকস্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে আমাদের পবিত্র নবীরাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা করে আমাদের আঘাত করবেন না।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বে ১৩০ কোটি মুসলমানের বাস। লক্ষ-কোটি মুসলমান ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছে। ৯/১১ এর পর হতে ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি বিপদজনক। এটি বিভাজন সৃষ্টি করছে।
মুসলিম নারীর হিজাব পরিধান করাকে সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। হিজাবকে দেখা হচ্ছে অস্ত্র হিসেবে। কিছু দেশে নারীর পোশাক খোলার স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু পোশাক পরিধান করার স্বাধীনতা নেই! এটা কেন ঘটছে? ইসলাম ফোবিয়ার কারণে এমনটা ঘটছে। এটা কখন শুরু হয়েছে? ৯/১১ এর পর ইসলাম ফোবিয়া শুরু হয়েছে। কেন?
কারণ, কিছু পশ্চিমা নেতা সন্ত্রাসবাদ আর ইসলামকে এক করে দেখেন। যেমন : ইসলামি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদী ইসলাম । মৌলবাদী ইসলাম কী? ইসলাম তো কেবল একটাই। আমরা তো কেবল হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসলামের অনুসরণ করি। এছাড়া আর কোন ইসলাম নেই। ইসলামি সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদী বলে তারা মানু্ষের কাছে কী মেসেজ দিতে চায়? কিভাবে তারা মডারেট মুসলিম আর মৌলবাদী মুসলিমের মাঝে পার্থক্য করে? সন্ত্রাসের সাথে কোনো ধর্মেরই কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বিদেশ ভ্রমণ এর সময় আমরা মুসলমানরা ইসলামোফোবিয়ার শিকার হই। ইউরোপিয়ান দেশসমূহে মুসলিম কমিউনিটিকে একঘরে করে রাখার প্রবণতা দেখা হচ্ছে। এসব প্রান্তিকতাই জন্ম দিচ্ছে চরমপন্থার।
আমাদের অবশ্যই এই ইস্যুটি স্পষ্ট করতে হবে। ইসলাম মৌলবাদী নয়, তেমনি ইহুদি, খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মও মৌলবাদী নয়। কোনো ধর্মইমৌলবাদ প্রচার করে না। সকল ধর্মের ভিত্তি হলো পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ন্যায়পরায়ণতা, যা মানুষকে পশুর থেকে আলাদা করে।
তিনি আরো বলেন, দুঃখজনকভাবে মুসলিম নেতারা মৌলবাদ নিয়ে কথা বলতে ভয় পান। কারণ তারা মডারেট হতে চান। মডারেট হওয়ার জন্য অনেকে পশ্চিমা পোশাক পরেন এবং এমনকি ইংরেজিতে দক্ষতা না থাকা সত্ত্বেও মডারেট হওয়ার জন্য ইংরেজিতে কথা বলেন।
আত্মঘাতী হামলাকে ইসলামের সাথে একীভূত করে দেখা হয়, অথচ ৯/১১ এর আগে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আত্মঘাতী হামলা করেছিল তামিল টাইগাররা। তারা হিন্দু। এজন্য কেউ হিন্দু ধর্মকে দোষারোপ করে না। হিন্দু ধর্মের সাথে আত্মঘাতী হামলাকে মিলানো হয় না।
সাবেক এই ক্রিকেট অধিনায়ক বলেন, আমি পশ্চিমে ক্রিকেট খেলেছি, অনেক সময় ব্যয় করেছি এখানে এবং এখানকার মানুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে আমার জানা আছে। তাদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচলিত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইসলামোফোবিয়া। ১৯৮৯ সালে আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অপবাদ দিয়ে, উপহাস করে অবমাননকার বই প্রকাশ করা হয়। তখন মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল।
পশ্চিমা দেশগুলো সমস্যা কোথায় বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের চোখে ইসলাম একটি অসহিষ্ণু ধর্ম। প্রতি ২-৩ বৎসর পর পর কেউ একজন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অবমাননা করে, মুসলমানরা প্রতিক্রিয়া দেখায় আর পশ্চিমে মুসলমানরা অসহিষ্ণু হিসেবে পরিচিত পায়। এজন্য পশ্চিমের গুটিকয়েক লোক দায়ী, যাদের আচরণ মুসলমানদের বিক্ষুব্ধ করে। কিন্তু পশ্চিমের অধিকাংশ লোক সেটা বুঝতে পারে না।
তিনি বলেন, মুসলিম নেতৃবৃন্দের ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন যে, মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কী বার্তা দিয়েছেন? মহানবী স্বর্গীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের সাক্ষ্যদাতা। পবিত্র কুরআন হচ্ছে সেই মহাগ্রন্থ যা মুসলমানদের জীবনের চলার পথনির্দেশনা। কুরআন আমাদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে মহানবী ছিলেন জীবন্ত উদাহরণ।
সুতরাং তিনিই ছিলেন আদর্শ যাকে আমরা অনুসরণ করতে পারি। হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই রাষ্ট্রের প্রকৃতি কেমন ছিল? ইসলামের একটি বিষয় আমাকে খুব আন্দোলিত করে। অভিযোগ করা হয় ইসলাম নারী ও সংখ্যালঘু বিরোধী, কিন্তু ইসলামি রাষ্ট্রের সূচনার প্রথম দিনই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ইমরান খান বলেন, ইসলামি রাষ্ট্র দুর্বল, বিধবা, এতিম, দরিদ্র, প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, দরিদ্রদের জন্য ট্যাক্স সংরক্ষণ করেছিল। রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল সকল আদম সন্তান সমান তাদের গায়ের রং যাই হোক না কেন। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করেছিলেন দাসদের সাথে পরিবারের সদস্যদের মতো আচরণ করতে। ফলে মুসলিম বিশ্বে এমন কিছু ঘটেছিল, যা অন্যান্য সভ্যতায় ঘটেনি। মুসলিম বিশ্বে দাস রাজ বংশের আবির্ভাব ঘটেছিল। দাসরা রাজা হয়েছিলেন। মামলুক দাসরা মিশর শাসন করেছিল। ভারতে দাসরা শাসন করেছিল।
সংখ্যালঘুর প্রশ্নে সকল ধর্মের উপসনালয়কে নিরাপত্তা দেয়া ইসলাম পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখে। ইসলাম ঘোষণা করেছে সকল মানুষ সমান। ইসলামের চতুর্থ খলিফা যিনি ছিলেন তখন মদিনা রাষ্ট্রের প্রধান, তিনি একজন ইহুদির বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে হেরে গিয়েছিলেন। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। যদি কোনো মুসলিম কমিউনিটি সংখ্যালঘুর উপর অন্যায় করে তবে সেটা আমাদের ইসলামের শিক্ষার বিপরীত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ধর্ষকদের জনসমক্ষে ফাঁসি অথবা ওষুধ দিয়ে বন্ধ্যা করে দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি দেশটিতে আলোচিত গণধর্ষণের ঘটনায় ইসলামাবাদে চলমান নারী আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়ে ইমরান খান এমন মন্তব্য করেছেন।
পাকিস্তানের ৯২ নিউজ এইচডি টেলিভিশনের সাংবাদিক মুয়িদ পীরজাদার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সোমবার এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদপত্র ডন তাদের অনলাইনে এ খবর জানিয়েছে।
পশ্চিমের সঙ্গে তুলনা করে ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক বন্ধন অনেক দৃঢ়। আমরা আমাদের বিচার ব্যবস্থায় রূপান্তর আনতে পারি, কিন্তু পরিবারপ্রথা ভেঙে পড়লে তা আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।’
বলিউড উন্মাদনার কবলে পড়ে ভারতের দিল্লি ধর্ষণের নগরীতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, ‘যারা ধর্ষিত হচ্ছে, তারা আমাদের মেয়ে বা বোন।’ তাই ধর্ষণ বন্ধে এমন উদ্যোগের পক্ষে অবস্থান নেবেন তিনি।
এ সময় পাকিস্তানে নারীর প্রতি সহিংসতার হার অনেক বেশি হলেও গণধর্ষণের মতো ঘটনা কম বলে দাবি করেন ইমরান খান। তবে প্রেমঘটিত বিয়ের কারণে প্রতিবছর হাজারো নারী আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছেন বলেও জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
শুধু পুলিশ নয়, সমাজের সবাই মিলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানান ইমরান খান।
তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাস বলে, সমাজে অশ্লীলতা বাড়লে দুটি জিনিস হয়। যৌনতাভিত্তিক অপরাধ বাড়ে আর পরিবার পদ্ধতি ভেঙে পড়ে। যুক্তরাজ্যের অশ্লীলতার মাত্রা বেশি থাকায় বর্তমানে সেখানে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ৭০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যদি সারা পৃথিবীও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় তাহলেও ইসলামাবাদ তা করবে না এবং কখনো ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছার সাথে সাংঘর্ষিক কোন সিদ্ধান্ত নেবে না।
ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে বাহরাইনের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
ইমরান খান স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান সরকার কখনো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে মৌলিক নীতির সঙ্গে আপোস করবে না। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাইরে যায়।
পাক প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “যখন ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো ইহুদীবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না তখন আমরা কিভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করি?”