Home Blog Page 4574

কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে স্বাধীনতাকামী দল হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান নিহত

0

করোনা লকডাউনের মধ্যেও ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান কমান্ডার রিয়াজ নাইকু নিহত হয়েছেন।

বুধবার সকালের দিকে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধানসহ অন্তত দু’জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এনডিটিভি বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বেইঘপুরা এলাকায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশের কথিত সন্ত্রাস-বিরোধী যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছেন নাইকু।

গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী মুজাহিদ বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর মেজর-কর্নেলসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে পৃথক তিনটি যৌথ অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

বুধবার সকালের দিকে পুলওয়ামার প্যাম্পোর এলাকায় অন্য একটি অভিযানে আরও দুই স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে।

পুলওয়ামা জেলার বেইঘপুরা এলাকায় হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান কমান্ডার রিয়াজ নাইকুর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী যৌথ অভিযানে যায়। এ সময় কাশ্মীর উপত্যকার অন্তত ১০টি জেলায় মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।

এর আগে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী হিজবুল মুজাহিদীনের এই প্রধানের মাথার দাম ১২ লাখ রুপি নির্ধারণ করে।

হিজবুল প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান টার্গেটে ছিলেন তিনি। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সাবেক মহাপরিচালক এসপি ভেইড বলেন, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদীনের প্রধান বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর নাইকুকে মোস্ট ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছিল।

জরুরি বিমান পাঠিয়ে বাংলাদেশ থেকে করোনার ওষুধ নিল নাইজেরিয়া

0

জরুরি বিমান পাঠিয়ে বাংলাদেশ থেকে রেমডিসিভির ও রেমিভির সংগ্রহ করল নাইজেরিয়া। নাইজেরিয়ার একজন গভর্নর করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসার জন্য সে দেশের সরকারের পক্ষ একটি চাটার্ড বিমান পাঠিয়ে এসব ওষুধ সংগ্রহ করা হয়।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে ওনিয়ামা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে. আব্দুল মোমেনকে শনিবার গভীর রাতে ফোন করে বিমানটি ঢাকায় জরুরি অবতরণের বিষয়ে অনুমতিসহ এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করেন।

নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজা থেকে রওনা হয়ে বিমানটি জেদ্দা হয়ে রোববার বিকাল ৫টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তারা ঔষধ সংগ্রহ করে এবং বিমানটি অল্প সময়ের মধ্যে নাইজেরিয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রেমডিসিভির, রেমিভির, স্বল্পসংখ্যক পিপিই ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী নমুনা হিসেবে এ সময় সংগ্রহ করা হয়। কার্যকারিতা সাপেক্ষে নাইজেরিয়ার সরকার সে দেশে এসব ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে চায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গার্মেন্টস মার্কেটিং কোম্পানি ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনালের সিইও কবির আহমেদ ভুঁইয়ার মাধ্যমে এসব সামগ্রী বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করে নাইজেরিয়ার সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা কামরানকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে নেয়া হল সিএমএইচে

0

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হবে।

রোববার (৭ জুন) রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কামরানকে সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে।

রোববার করোনায় আক্রান্ত কামরানের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। এর পরপরই তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়ে।

কামরানের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় আনা হয়।

কামরানের স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। তিনি বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

সশস্ত্র বাহিনীর ২০৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত

0

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত মিলিয়ে মোট ২ হাজার ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরতদের পরিবারের ১৮৮ জন সদস্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও অন্যান্য মোট ৫৪৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

সব মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৮৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৩১০ জন বিভিন্ন সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৬১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

রবিবার ( ৭ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সিএমএইচ-এ ভর্তি সব রোগী সুস্থ রয়েছেন। আক্রান্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১৭ জন মারা গেছেন। মৃতদের ১৪ জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে। এই ১৪ জনই অবসরপ্রাপ্ত। ৩ জন কর্মরত সামরিক/বেসামরিক সদস্য মারা গেছেন। যাদের প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

আইএসপিআর-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত সকল সদস্য, তাদের পরিবারের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিসহ (এএফআইপি) সকল ‘ এ মোট ১৩টি আরটিপিসিআর মেশিন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। এছাড়া সকল সিএমএইচ-এ পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুত আছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সশস্ত্র বাহিনীর ১০ হাজার ৩৭৮ জন, পরিবারের সদস্য ২ হাজার ১২০ জন এবং বেসামরিকসহ অন্যান্য ৪ হাজার ৬৫৩ জন সদস্যের মোট ১৭ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

দেশে করোনার কারণে দারিদ্র্য বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে: সিপিডি

0

করোনার কারণে আয় কমে যাওয়ায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে সার্বিকভাবে দারিদ্র্যের হার ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এর পাশাপাশি আয় ও ভোগের বৈষম্যও বেড়েছে।

আজ রোববার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনায় করোনার প্রভাবের এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৬ অনুযায়ী তখন দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ২৪ শতাংশ। ২০১৯ সাল শেষে অনুমিত হিসাবে তা নেমে আসে সাড়ে ২০ শতাংশে।

সিপিডি বলছে, করোনার কারণে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, মানুষের আয় কমেছে। ফলে দারিদ্র্যের হারও বেড়ে গেছে।

সিপিডির মতে, করোনার কারণে গিনি সহগে ভোগের বৈষম্য বেড়ে দশমিক ৩৫ পয়েন্ট হয়েছে। ২০১৬ সালে এটি ছিল দশমিক ৩২ পয়েন্ট। একইভাবে আয়ের বৈষম্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫২ পয়েন্ট। ২০১৬ সালের হিসাবে এটি ছিল দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।

সাধারণত গিনি সহগে আয়ের বৈষম্য দশমিক ৫০ পয়েন্ট পেরোলেই উচ্চ আয়ের বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়।

সিপিডি আরও বলেছে, করোনার কারণে চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশ হতে পারে। তবে এই প্রবৃদ্ধিকে খারাপ বলছে না সিপিডি। কারণ ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পৃথিবীর অনেক দেশে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

সিপিডির মতে, এই করোনার সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে জোর না জীবন ও জীবিকার দিকে বেশি জোর দেওয়া উচিত।

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কিংবা সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেনি। এতে একদিকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে, অনেকে কম বেতন পেয়েছেন।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটকে বাস্তবসম্মত ভিত্তির ওপরে দাঁড় করতে না পারলে অর্থনীতির কাঠামো দুর্বল হয়ে যাবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, স্বাস্থ্য খাতে এমনিতেই কম বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবার করোনা মহামারির সময়েও এ খাতে বাজেট তেমন বাড়ছে না।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, একদিকে সংক্রমণ রেখে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। বাজেটের টাকা খরচের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা এমন অগ্রাধিকার খাতকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে সামষ্টিক অর্থনীতির রাজস্ব, রপ্তানি, উন্নয়ন প্রকল্প, প্রবাসী আয়, করোনা মোকাবিলার প্রণোদনা, বাজেটের অগ্রাধিকারসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান।

লকডাউনের খবরে সিলেটে হঠাৎ যানজট

0

রোববার সারাদিন সিলেট নগরীর রাস্তায় মানুষের চলাচল এবং যানচলাচল বেশিই ছিল।

বিভিন্ন মোড়ে ছিল যানজট। নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় ছিল।

জানা গেছে, সিলেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ‘রেড জোন’ ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য ঘরের আগাম বাজার-সদাই করতে বেড়িয়েছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। এর মধ্যে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোন এলাকায় করোনা ঠেকাতে থাকবে কঠোর ব্যবস্থাপনা।

নগরীর শেখঘাট, কাজীরবাজার, লামাবাজার, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, মহাজনপট্টি, কালীঘাট, রিকাবীবাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, বারুতখানা, নয়সড়ক এলাকায় দেখা গেছে যানজট।

এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১১ এপ্রিল থেকে সিলেট জেলা লকডাউন করা হয়। ‌জোনে বিভক্ত করে লকডাউনের ব‌্যাপারে আমরা এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি।

নির্দেশনা পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনেও বাঁচানো গেল না ছাত্রলীগ নেতাকে

0

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌফিক হোসেন এছাহাকের (৪২) মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (০৭ জুন ) সকালে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

তৌফিক হোসেন এছাহাকের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া এলাকায়। তার বাবা মৃত মোজাম্মেল হক সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন।

তিনি চাকরির সুবাদে পরিবার নিয়ে খুলনায় বসবাস করতেন। এ কারণে তৌফিক হোসেন এছাহাকের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে খুলনার খালিশপুরে।

তৌফিক হোসেন এছাহাক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জিএস ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। পাঁচ মাস আগে তিনি বিয়ে করেছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।

অসুস্থ আল্লামা আহমদ শফী

0

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ইনসাফকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসুন, আমরা আল্লাহর হেফাজতে থাকি

0

শায়েখ সাজিদুর রহমান | মুহতামিম : জামিয়া দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শায়খুল হাদিস : জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সহ সভাপতি : বেফাক


الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وصحبه ومن والاه، أما بعد،

ইমাম নববী রহ. – মৃত্যু: ৬৪৩ – তাঁর আরবাঈন কিতাবে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন, যেখানে তিনি সমগ্র হাদীস ভাণ্ডার থেকে চল্লিশটি হাদীস নির্বাচন করে উপস্থাপন করেছেন, যেসব হাদীসে দ্বীনের বিষয়ে মৌলিক, সারগর্ভ ও ব্যাপক মর্মসমৃদ্ধ শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা উল্লেখিত হয়েছে।

হাদীসটিতে প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই, বিশেষত বর্তমানে করোনার যে নজীরবিহীন দুর্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি, এই পরিস্থিতিতে হাদীসটির শিক্ষা হতে পারে আমাদের জন্য হেফাজতের ওসীলা, পরম রক্ষাকবচ। হাদীসটি এই,

عن عبد الله بن عباس رضي الله عنهما قال: كنت خلف النبي صلى الله عليه وسلم فقال: يا غلام، إني أعلمك كلمات: احفظ الله يحفظك، احفظ الله تجده تجاهك، إذا سألت فاسأل الله، وإذا استعنت فاستعن بالله، واعلم أن الأمة لو اجتمعت على أن ينفعوك بشيء، لم ينفعوك إلا بشيء قد كتبه الله لك، وإن اجتمعوا على أن يضروك بشيء، لم يضروك إلا بشيء قد كتبه الله عليك، رفعت الأقلام وجفت الصحف.

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন, একদিন আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে ছিলাম। তিনি আমাকে সম্বোধন করে বললেন, “বাছা, আমি তোমাকে কয়েকটি বাণী শিখিয়ে দিচ্ছি। (এক) তুমি আল্লাহর হেফাজত করো, আল্লাহ তোমার হেফাজত করবেন। (দুই) তুমি আল্লাহর হেফাজত করো, আল্লাহকে তুমি তোমার বরাবর পাবে। (তিন) যখন তুমি কিছু চাইবে, আল্লাহর কাছে চাইবে। (চার) তুমি যখন কিছু সাহায্য চাইবে, আল্লাহর কাছে চাইবে। (পাঁচ) জেনে রাখো, গোটা জাতি যদি কোনো কিছুর মাধ্যমে তোমার উপকারের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়, তারা কিছুতেই কিছু দিয়ে তোমার উপকার করতে পারবে না তোমার জন্য আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন তা ছাড়া। গোটা জাতি যদি কোনো কিছুর মাধ্যমে তোমার অপকারের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়, তারা কিছুতেই কিছু দিয়ে তোমার অপকার করতে পারবে না তোমার বিপক্ষে আল্লাহ যা লিখে রেখেছেন তা ছাড়া। কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং কাগজ শুকিয়ে গেছে।”
(সুনানে তিরমীযী, হাদীস ২৫১৬)

হাদীসটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত শিক্ষণীয়। অতীত যুগের একজন মনীষী বলেছেন, এই হাদীসটি নিয়ে আমি চিন্তা করেছি, গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেছি। হাদীসটি আমাকে বিমূঢ় করে দিয়েছে। আমার মধ্যে অদ্ভুদ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে চায়। কিন্তু আক্ষেপ, মানুষজন এই হাদীসটির বিষয়ে কী পরিমাণ উদাসীন! এর মর্ম ও শিক্ষা নিয়ে মানুষ কত অল্প চিন্তাভাবনা করে!

কয়েকজন মুহাদ্দিস এই হাদীসের ব্যাখ্যায় স্বতন্ত্র গ্রন্থও রচনা করেছেন। তন্মধ্যে একজন হলেন, ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহ. (মৃত্যু: ৭৯৫)।

এখানে হাদীসের কয়েকটি অংশ। প্রাসঙ্গিকতার কারণে আমরা এর প্রথম দুয়েকটি অংশ নিয়ে একটু আলোচনা করার প্রয়াস পাবো। দেখুন, এখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপস্থাপনা লক্ষ্য করুন।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি.কে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলছেন, إني أعلمك كلمات ‘আমি তোমাকে কিছু কথা শিখিয়ে দিচ্ছি।’ এভাবে ভূমিকা বলে তারপর বিষয়গুলো বলছেন। প্রসঙ্গত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. ছিলেন অল্পবয়স্ক সাহাবীগণের অন্যতম। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওয়াফাতের সময় তাঁর বয়স হয়েছিলো মাত্র তেরো বছর।

অতি মূল্যবান ও অতীব গুরুত্বপূণ কয়েকটি উপদেশ : احفظ الله يحفظك “তুমি আল্লাহকে হেফাজত করো, আল্লাহ তোমার হেফাজত করবেন।” আশ্চর্য, হেফাজত করা হবে আল্লাহর? এবং করবে তা বান্দা? তাহলে এর অর্থ কী? আল্লাহকে হেফাজত করো, অর্থাৎ আল্লাহর হকগুলোর হেফাজত করো, আল্লাহর হকসমূহ জেনে সেগুলো যথাযথ আদায় করার চেষ্টা করো। আল্লাহর সীমারেখারসমূহের হেফাজত করো, আল্লাহর সীমারেখা কখনো লঙ্ঘন করো না। আল্লাহর আদেশ-নিষেধগুলোর হেফাজত করো, আল্লাহর আদেশ-নিষেধগুলো যথাযথ মান্য করো, কখনো এর অন্যথা করো না। এসকল বিষয়ের হেফাজতই আল্লাহর হেফাজত। তাহলেই আল্লাহ তার হেফাজত করবেন। তার দুনিয়ার বৈষয়িক বিষয়াদি, তার নিজ ও পরিবার-পরিজন এবং স্বাস্থ্য-সম্পদ ইত্যাদিরও হেফাজত করবেন আবার তার আখেরাতে মুক্তির উপায় দ্বীন-ঈমানেরও হেফাজত করবেন।

বান্দা যদি আল্লাহর হকসমূহ ও তাঁর বিধিবিধানের হেফাজত করে তাহলে আল্লাহর রাসূলের যবানীতে আল্লাহর ওয়াদা যে, আল্লাহ দুনিয়াতে তাকে বিপদাপদ, বালামুসীবত থেকে হেফাজত করবেন। করোনার এই দুর্যোগে আমাদের রক্ষাকবচ হতে পারে আল্লাহর এই ওয়াদা।

আল্লাহর হকসমূহের মধ্যে, তাঁর বিধিবিধানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, নামাজের হেফাজত করা। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,

حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ

তোমরা সকল নামাজের বিষয়ে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাজের যথাযথ হেফাজত করো।
(সূরা বাকারা, আয়াত ২৩৮)

এক হাদীসে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

من حافظ على الصلاة ، كان له عند الله عهد أن يدخله الجنة.

যে ব্যক্তি যথাযথভাবে নামাজের হেফাজত করবে আল্লাহর কাছে তার জন্য প্রতিশ্রুতি আছে যে তিনি তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪২০)

তাছাড়া, নামাজের হেফাজতই হতে পারে দ্বীনের অন্যান্য সকল বিধিবিধান হেফাজতের মাধ্যম। আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রাযি. তাঁর খেলাফতের গভর্নরগণকে লিখে পাঠিয়েছিলেন,

إن أهم أمركم عندي الصلاة، فمن حفظها وحافظ عليها حفظ دينه ومن ضيعها فهو لما سواها أضيع.

নিশ্চিত জেনো, তোমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার কাছে হলো নামাজ। যে নামাজের হেফাজত করবে, নামাজের বিষয়ে যথাযথ যত্নবান হবে সে তার গোটা দ্বীনকে হেফাজত করলো আর যে নামাজের বিষয়ে হেলা-অবহেলা করবে সে অন্যান্য সব বিষয়ের মধ্যে আরো বেশি অবহেলাকারী সাব্যস্ত হবে।
(মুআত্তা মালেক হাদীস ৯)

বর্জনীয় বিষয়গুলো হেফাজতের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো, যবান ও লজ্জাস্থানের হেফাজত। জীবনে ও সমাজে যত অনিষ্ট, ঝগড়া-বিবাদ, মিথ্যা-প্রতারণা, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, ইত্যাদি সবগুলোরই মূলে হলো এই দুই জিনিসের হেফাজত না হওয়া।

এই জন্যই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীস শরীফে ইরশাদ করেছেন,

من حفظ ما بين لحييه ، وما بين رجليه ، دخل الجنة

যে ব্যক্তি তাঁর দুই চোয়াল মধ্যের অঙ্গের এবং দুই পায়ের মাঝের অঙ্গের হেফাজত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
(মুস্তাদরাকে হাকিম ৪/৩৫৭, সুনানে তিরমিযী ২৪০৯)

কোনো সন্দেহ নেই, যে ব্যক্তি এই দুই অঙ্গের হেফাজত করবে তার ও তার পরিপাশের্বর মানুষজনের জীবন হবে অত্যন্ত নির্মল, পবিত্র ও শান্তিময়।

হাদীসের দ্বিতীয় বাক্যটি আরো অসাধারণ এবং অনেক বেশি আশ্বাসময়। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার বলছেন, احفظ الله ‘তুমি আল্লাহকে হেফাজত করো’। এবার প্রতিদান বলছেন, تجده تجاهك ‘আল্লাহকে তুমি তোমার বরাবর পাবে’। অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে সর্বাবস্থায় তাঁর সাহায্য ও সুরক্ষা দিয়ে তোমাকে ঘিরে রাখবেন। তোমাকে সবরকমের অযাচিত-অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় থেকে আল্লাহ নিরাপদ রাখবেন। তোমার সকল উদ্যোগ-প্রচেষ্টায় আল্লাহ তোমাকে সফল করবেন।

হাদীসের অন্যান্য অংশগুলো প্রসঙ্গে আল্লাহ চাহে তো অন্য কোনো অবসরে আলোচনার ইচ্ছা রাখি। এখানে আমার সকল ভাইদের নিকট আবেদন, আমরা জীবনের সকল অঙ্গনে আল্লাহর বিধানকে আপন করে নিয়ে আল্লাহর সুমহান হেফাজতে প্রবেশ করি। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।

১৪.১০.১৪৪১ হিজরী

করোনায় আক্রান্ত স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ প্রধানের মৃত্যু

0

মারা গেলেন স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন।

রোববার বিকেলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্কয়ার হাসপাতাল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

জানাগেছে, ডা. মির্জা একমাস আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইতে চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।