Home Blog Page 4573

সর্বোচ্চ: দেশে একদিনে ১০৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

0

দেশে ২৪ ঘন্টায় আরও ১০৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৬৯১ জনে।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এছাড়া, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩৯ জনে।

এসময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭২০৮টি।

এছাড়া নতুন করে ২৫২ জনসহ মোট ২ হাজার ৯০২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

নতুন গাইডলাইনে দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৪০ শতাংশ

0

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার যে নতুন গাইডলাইন দিয়েছে তা অনুযায়ী মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৭৩৮ জন।

সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে ১৪৬৫৭ জন। অর্থাৎ মোট আক্রান্তের চল্লিশ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন।

কী সেই গাইডলাইন
বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ডা: এম এ ফয়েজ জানিয়েছেন, আগের গাইডলাইন অনুযায়ী কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হতো তাহলে তার ১৪-২১ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট করা হতো।

সেখানে ফলাফল নেগেটিভ এলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা দুই-তিন দিনের মধ্যে আরেকটি টেস্ট করা হতো। সেখানেও ফলাফল নেগেটিভ এলে রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতো।

এবং বলা হতো তারা যেন আরো ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।

তবে নতুন নিয়মে রোগী যদি ক্লিনিক্যালি সুস্থ হয়ে ওঠেন অর্থাৎ পর পর তিন দিন যদি তার আর জ্বর না থাকে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট না হয় তাহলে তাকে হাসপাতালে না রেখে বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

বাড়ি থেকেই তার পরবর্তী দুটো পরীক্ষা করা হবে। যেটা কিনা আগে হাসপাতালে থেকে করা লাগতো।

হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র : বিবিসি

এক হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিলো মার্কিন পন্থী আফগান সরকার

0

তালেবান ও আমেরিকার মধ্যে সই হওয়া শান্তিচুক্তির আওতায় এক হাজার তালেবান বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে মার্কিনপন্থী আফগান সরকার। এ ছাড়া আরও ৫০০ তালেবান বন্দিকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে আফগান সরকার।

আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা এনএসসির দফতর শনিবার এক টুইটার বার্তায় তালেবান বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করার পাশাপাশি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনোযোগ দিতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির নির্দেশে তালেবান বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।

এনএসসি আরও বলেছে, কাবুল সরকার প্রত্যাশা করছে– এর বিনিময়ে তালেবানও আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনী বা এএনডিএসএফের সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দেবে এবং আন্তঃআফগান সংলাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নেবে। এ ক্ষেত্রে কোনো রকম বিলম্ব করা হবে চুক্তির বরখেলাপ।

বেশ কয়েকবার ভেস্তে যাওয়ার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবান ও মার্কিন সরকারের মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে সে চুক্তি ঝুঁকির মুখে পড়ে।

ওই চুক্তিতে ৫ হাজার তালেবান বন্দি মুক্তির কথা বলা হয়েছে; কিন্তু মার্কিনপন্থী  আফগান সরকার নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে বন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে বেঁকে বসে।

অন্যদিকে তালেবান বলছে– ওই ৫ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিলেই শুধু তারা আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবে।

করোনা পরবর্তী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় অনলাইন সেমিনার আগামীকাল

0

আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ মে)  সেমিনার করোনাভাইরাস পরবর্তী বেসরকারি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় অনলাইন অনুষ্ঠিত হবে।

সেমিনারটি আয়োজন করেছে মারসুস সহযোগিতায় দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর মহাপরিচালক অধ্যাপক মাওলানা যুবাইর আহমাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও ইসলামী বিশেষজ্ঞ শায়খ প্রফেসর ডঃ আ.ফ.ম.খালিদ হোসাইন।

আলোচক হিসেবে থাকবেন শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার এর মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ,  জামিয়াতুল আল ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদরাসা, চট্টগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক শায়খ মুফতী হারুন ইজহার, জামেয়া রহমানিয়া, ঢাকা এর শাইখুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক, বাইতুল মামুর জামে মসজিদ এর খতিব মাওলানা হাসান জামিল,  প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ খান (তামিরুল মিল্লাত), ড. আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক (দারুন্নাজাতের অধ্যক্ষ), প্রফেসর এ.কে.এম. আবদুল মান্নান, হেড মাওলানা,ঢাকা আলিয়া। সেমিনারে মডারেটর হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশেষজ্ঞ, ইংল্যান্ড শায়খ ড. আব্দুস সালাম আযাদী মাদানী।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ইবরাহিম খলিল, কোঅর্ডিনেটর , মারসুস। ধন্যবাদ জ্ঞাপন জামিয়া আশরাফিয়া কামরাঙ্গিচর, ঢাকা এর মুহাদ্দিস মাওলানা মুসা বিন ইজহার।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ.)এর সহধর্মীনির ইন্তিকালে আল্লামা কাসেমীর শোক

0

বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তীতুল্য সম্পাদক, লেখক, অনুবাদক, প্রাজ্ঞ ইসলামী রাজনীতিবিদ ও আলেম এবং জমিয়তের সাবেক সহসভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ.)এর মহীয়সী সহধর্মীনির ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

রোববার (১০ মে) এক শোকবার্তায় জমিয়ত মহাসচিব বলেন, মরহুম মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ.) শিক্ষা জীবন শেষে পুরো যিন্দেগীই বিভিন্ন পর্যায়ে ইসলামের খেদমতে ব্রত ছিলেন। এ সময় তাঁকে অনেক কঠিন ও জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। দ্বীনের প্রয়োজনে দেশ-বিদেশেও প্রচুর সফর করতে হয়েছে। অনেক সময় দিনের পর দিন ঘরের বাইরে কর্মব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মরহুম মাওলানা খান সাহেবের কাছ থেকে যতটা জেনেছি, এ সময়ে তার মরহুমা জীবনসঙ্গীনি সবসময় যেমন তাঁকে প্রেরণা ও সাহস যোগাতেন, তেমনি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সাথে পরিবার সামলানো ও সন্তানদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করেছেন। যার ফলে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ.)এর যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে তাঁর সন্তানরাও দক্ষতার সাথে কর্মজীবন ও জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। যে কারণে এই মহিয়সী নারী একজন ‘রত্নগর্ভা মা’ হিসেবেও সমাদৃত।

আল্লামা কাসেমী মরহুমাকে মাগফিরাত এবং জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে দোয়া করেন।

জমিয়ত মহাসচিব মরহুমার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শোকবাণীতে বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদের সকলকে এই কঠিন বেদনাকাতর শোকে সবরে-জামিল অবলম্বনের তাওফিক দান করুন।

উল্লেখ্য, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রাহ.)এর সহধর্মীনি আজ রোববার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গেন্ডারিয়ার নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর।

তিনি দীর্ঘদীন কিডনীর রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। পাঁচ সন্তানের জননী মরহুমার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ. এর সহধর্মীনির ইন্তিকাল করেছেন

0

বাংলায় সীরাত সাহিত্যের জনক মাসিক মদীনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ. এর সহধর্মীনি ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজ রোববার বিকেল ৪.২০ মিনিটে উনার নিজ বাড়ি গ্যান্ডারিয়াতে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালীন তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বৎসর।

মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ. এর ছোট ছেলে মাসিক মদীনার সম্পাদক মাওলানা আহমদ বদরুদ্দীন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পান্থপথের সমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১০ মে | গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৮৭ জনের করোনা শনাক্ত

0

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৮৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

১০ মে | গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু

0

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২২৮ জনে। আজ রবিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

মানুষ বেঁচে থাকা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় : রিজভী

0

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার লকডাউন খুলে দিয়ে গণসংক্রমণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।

আজ রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মানুষের কি হবে সরকার সে চিন্তা না করে লকডাউন খুলে দিয়েছে। দোকানপাট খুলে দিয়েছে। চার মাস মানুষকে খাওয়ানো যেতো। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতো। কিন্তু সরকার ওইদিকে যায়নি। সরকারের টাকা দরকার।

মানুষ বেঁচে থাকা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তিনি বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না হলে অবৈধভাবে ক্ষমতা থাকলে, জনসমর্থন না থাকলে মানুষের বেঁচে থাকার পরোয়া করে না। মানুষ বাঁচলো কি মরল, এটা সরকার দেখবে না। তার টাকা দরকার। টাকাই সব। এই টাকা দিয়ে কয়েকটি ফ্লাইওভার তৈরি করে উন্নয়ন দেখাতে চায়। কিসের উন্নয়ন। আজকে হাসপাতাল কই, স্যানিটাইজার তৈরি করেন না কেন? ডাক্তার মারা যাচ্ছে, যারা সেবা দিচ্ছে তারা মারা যাচ্ছে, তাহলে সরকারের উন্নয়ন কোথায়? সরকারের উন্নয়নের টাকা ক্যাসিনো থেকে পাওয়া যায়। বস্তা বস্তা টাকা পাওয়া যায় যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছে। এটাই হলো সরকারের উন্নয়ন।

শুভ হোক ভার্চুয়াল আদালতের নবযাত্রা

0

করোনা ভাইরাসকালীন সংকটকে সামনে রেখে আজ থেকে দেশের বিচার বিভাগের নবযাত্রা শুরু হলো ভার্চুয়াল কোর্ট সিস্টেম দিয়ে। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলেন।

ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালিত হবে ওয়েভ পোর্টাল দিয়ে। আবেদন, শুনানি সবই হবে এ পোর্টালে। ইমেইলে শুনানির সময় ও ভিডিও কনফারেন্সের লিংক পাঠানো হবে আইনজীবীকে। এসএমএসে দেওয়া হবে অ্যালারট। নির্দিষ্ট সময়ে বিচারক সহ সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা যুক্ত হবে ভিডিও কনফারেন্সে। শুরুতে এ পদ্ধতিতে শুধু জামিন আবেদন দাখিল, শুনানি, ও বেইল বন্ড দাখিলের সুযোগ পাবেন আইনজীবীরা। পরে যুক্ত হতে পারে অন্যান্য বিষয়ও।

বেশ কদিন ধরেই উচ্চ আদালতের একদল তরুণ মেধাবী আইনজীবীরা এনিয়ে গবেষণাধর্মী তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেছে সোস্যাল মিডিয়ায়। তারা তথ্যভিত্তিক প্রচুর ডিস্কাশন করেছে, যা সত্যিই অসাধারণ। সুপ্রিম কোর্ট বারের তরুণ সম্পাদক মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে এনিয়ে কনভিন্স করতে পেরেছে। বারের সভাপতির টিমটাও ভালো ছিল।

গত ২৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভায় ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় ভার্চুয়াল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক সংস্কারসংক্রান্ত বিশেষ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর প্রধান বিচারপতি এ-সংক্রান্ত আইনি জটিলতাগুলো দূরীকরণে উদ্যোগ নেন। ভার্চুয়াল কোর্ট সিস্টেম হাইকোর্ট রুলসে অন্তর্ভুক্ত করতে হাইকোর্ট রুলস সংশোধনে ৫ সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়। আর আজ রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলেন।

ন্যায়বিচারে প্রযুক্তির ব্যবহার নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এর পেছনের সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কেননা হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী মানুষ তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। মামলার জট ও দীর্ঘসূত্রিতায় নিস্পেষিত বিচারপ্রার্থীরা এর সুফল যেন পায়। গুটিকয়েক সুবিধাভোগী যাতে এই প্রযুক্তির একচ্ছত্র বেনিফিশিয়ারী না হয়। যারা প্রযুক্তি থেকে একটু দূরে আছেন, সেই সব আইনজীবীরাও যাতে এর সুফল পায়। সেজন্যে দ্রুতগতি, সহজলভ্য, নিরবিচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের জোগান দিতে হবে। জুনিয়র আইনজীবীদেরকে প্রয়োজনে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কেনার সহায়তা দিতে হবে। মামলার সিরিয়াল পেতে যাতে কোন দূর্নীতি না হয়, সেটা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।

যেহেতু এই ভার্চুয়াল কোর্ট অনেকটা ‘অ-উন্মু্ক্ত’, তাই সর্বাগ্রে এর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটা মামলার তথ্য জনগণের জ্ঞাতার্থে উন্মুক্ত রাখতে হবে। যাতে করে এই ‘অ-উন্মুক্ত’ বিচার কার্যক্রমের সুযোগে কোন দাগী, শীর্ষ সন্ত্রাসী কিংবা ক্ষমতাধর মহা-অপরাধীরা আইনের চোখে ধুলা দিয়ে বের না হয়ে যায়। আর এটা শুধু করোনাকালীন সময়েই নয়, বরং সবসময়ের জন্য প্রযুক্তির সুবিধার সংরক্ষণ করতে হবে। এই মহতি উদ্যোগ সফল হোক।