Home Blog Page 4593

করোনা মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থ: ড. খন্দকার মোশাররফ

0

সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের সমর্থনে সরকার গঠন করতে পারলে বিএনপি স্বাস্থ্যখাতে মোট জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি বরাদ্দ রাখবে। বিএনপি তৃণমূল থেকে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাবে।

শনিবার (১৬ মে) বিএনপি আয়োজিত অনলাইন সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. মোশাররফ এসব কথা বলেন। বিএনপির কমিউনিকেশনস সেলের প্রধান সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

ড. মোশাররফ বলেন, জীবন প্রথম, বেঁচে থাকলে জীবিকা হবে। সামনে ঈদুল ফিতর। ঈদের কেনাকাটা করার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সরকার লকডাউন শিথিল করলেও জীবনটা আমার আপনার। তাহলে কেন আমরা অবিচকের মতো কাজ করছি? তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানান।

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দূরাবস্থার কথা তুলে ধরেন মোশাররফ বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীরা সেবা পাচ্ছে না। সেখানে আইসিউ, ভেন্টিলেটর অক্সিজেন পর্যাপ্ত নেই। রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন-এটা উদ্বেগের বিষয়।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরীক্ষা পরীক্ষা পরীক্ষা বলে জোর দিয়ে পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরাও সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। এই পরীক্ষার ব্যাপারেও সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। ৪১ টি বুথে ১২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা থাকলেও তাও করতে পারছেনা সরকার।

সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পাশের দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই লকডাউন করেছে। কিন্তু আমাদের সরকার ঘোষণা করেছে সাধারণ ছুটি। লকডাউন ও সাধারণ ছুটি তো এক বিষয় নয়, অনেক পার্থক্য। এছাড়াও গার্মেন্টস শপিং মল খুলে দেওয়াসহ সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দোদুল্যমানতা ছিল। যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর হয়নি। এখান করোনা রোগীর সংখ্যা সীমিত পরীক্ষাও হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছে দুই হিন্দু তরুণ

0

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মসজিদে নামাজ পড়া, মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে দুই হিন্দু তরুণ। এতে ওই দুই তরুণকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১৫ মে) রাত ১১টায় উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের লামচরী গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক তরুণরা হলেন— সুমন চন্দ্র বিশ্বাস (২৬) ও অধীর চন্দ্র মল্লিক (২৭)। তাদের বাড়ি ওই উপজেলার লামচরী গ্রামে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচ।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ‘পথিক সুমন’ নামে একটি আইডি থেকে সুমন চন্দ্র বিশ্বাস মসজিদে নামাজ পড়া, মসজিদের ইমাম, মৌলভী (হুজুর) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূ মন্তব্য লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিলেন। তার ওই স্ট্যাটাসের ওপর ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন অধীর চন্দ্র মল্লিক নামের আরেক তরুণ।

ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে নেতিবাচক স্ট্যাটাস ও মন্তব্য করার পর বিষয়টি ওই ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে। গত শুক্রবার ওই ধর্মের একাধিক ব্যক্তি আমার কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের তদন্ত করে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই তরুণকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে তার থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

সিলেটে অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে বিএনপির ঈদসামগ্রী বিতরণ

0

সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও মহানগর বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হযেছে।

শনিবার (১৬ মে) বিকেল ৪ ঘটিকায় সিলেট নগরীতে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকেই আমি আমার পারিবারিক উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। আগামীতেও চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। সিলেট মহানগরে শুধু আমি একা নই, শীর্ষ স্থানীয় নেতারা মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামীম সিদ্দিকী। সহ-সভাপতি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ড্যাব সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল ফাতাহ বকসি, সিলেট মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা সাইদুর রহমান ভুদুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জায়গিরদার, জেলা বিএনপির সহ-যুব সম্পাদক আব্দুল মালেক, জাসাস সহ-সভাপতি রফিকুল বারি রোমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সোহেল আহমদ প্রমুখ।

করোনা: কর্মহীন, দরিদ্রদের মাঝে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

0

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যেগে করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এ খাদ্যসামগ্রী দরিদ্রদের হাতে তুলে দেন।

শনিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইংল্যান্ড শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা ফয়েজ আহমদের অর্থায়নে কেরানীগঞ্জ ঘাটারচরে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলনা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা রিজওয়ান হোসাইন প্রমূখ।

জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করতে হবে: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক

0

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক বলেছেন, জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করা দরকার। শুধুমাত্র সরকারী দলের দ্বারা এ দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কমিটি করতে হবে।

শনিবার (১৬ মে) বিকাল ৩টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক ভিডিও কনফারেন্সে  তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগে অভাবগ্রস্থ কয়েক কোটি মানুষ নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এদিকে সরকারী ত্রাণ চুরি হয়ে যাচ্ছে। আর যতটুকু ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে তাও শুধু দলীয় লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আড়াই হাজার টাকার প্রণোদনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানের তালিকার এক/ দেড়শ জায়গায় এক ব্যক্তির বিকাশ নম্বর। এভাবে সরকারী ত্রাণ লুটপাট বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত অভাবীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। আর সারাদেশের গ্রাহকদের অন্ততপক্ষে ৩ মাসের বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির বিল মওকুফের দাবী জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুুতির ঘাটতির কারণে একদিকে কোভিড-১৯ এর রোগীরা যেমন সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। পরিস্থিতি এমন যে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরাও সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মাদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক  আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, আলহাজ আবু সালেহীন, হাফেজ মাওলানা নোমান মাযহারী, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।

সম্পাদকের কথা

0

সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার | সম্পাদক ও প্রকাশক : ইনসাফ


আলহামদু লিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদু লিল্লাহ। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ ষষ্ঠবর্ষ অর্থাৎ অর্ধযুগ পূর্ণ করে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

পাঠকদের ভালোবাসা আর সহযোগিতায় ইনসাফের আজ এতদূর আসা। দীর্ঘ এ পথচলাতে পাশে থাকায় ইনসাফ পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আপনাদের ভালোবাসা এবং আস্থার কারণেই ইনসাফ আজ ‘আস্থার প্রতীক’ হয়ে উঠেছে।

প্রিয় পাঠক, গত ৫ মে আপনাদের প্রিয় ইনসাফ ষষ্ঠ বর্ষ পূর্ণ করে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। অনিবার্য কারণে শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন আমরা ৫ মে’র পরিবর্তে মে মাসের যেকোনো একটি তারিখে করে থাকি। এবারও বড় আয়োজনে অর্ধযুগ পূর্তি অনুষ্ঠানের ইচ্ছে ও পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আর সম্ভব হয়নি। তাই ছোট পরিসরে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শত শত বছর ধরে স্বীয় অধিকারের প্রত্যাশায় লড়ে যাচ্ছে মুক্তিকামী জনতা। যে ধারা অব্যাহত ছিলো ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ হয়ে ১৯৭১-এ। কোটি হৃদয়ের সেই আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করার চূড়ান্ত সংকল্প এবং ২০১৩ সালের ৫ মে’র চেতনাকে ধারণ করে তার ঠিক এক বছর পর ২০১৪ সালের ৫ মে ‘ইনসাফ’ যাত্রা শুরু করে।

২০১৩ সালের ৫ মে ও তার পরবর্তী ঘটনা প্রবাহে দেশের ইসলামপন্থী দেশপ্রেমিক জনতার মধ্যে নতুন বোধোদয়ের সৃষ্টি হয়। সেই বোধোদয়ের ফসলই আজকের ইনসাফ।

২০১৪ সালে ইনসাফ যখন গণমাধ্যম জগতে আত্মপ্রকাশ করে; তখন কার্যত এ দেশে হলুদ সাংবাদিকতার রাজত্ব চলছিলো। শাহবাগে কথিত জাগরণের প্রতিক্রিয়ায় শাপলা চত্বরে ইসলাম ও দেশপ্রেমী জনতার উত্থান এবং পরবর্তীতে তাদের উৎখাতে সাঁড়াশি অভিযানের ‘সাফল্য’ দেশের ইসলাম বিরোধী চক্রকে অভাবনীয় শক্তিশালী করে তুলে।

ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট বিষয়কে কটূক্তি বা হেয় প্রতিপন্ন করাকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে নেয়া হতো গণমাধ্যমগুলোতেও। নামে গণমাধ্যম হলেও কার্যত গণবিরোধীমাধ্যম এর মতোই ছিলো তাদের কার্যক্রম।

আর এসব প্রতিকূলতাই ইনসাফের জন্ম ও বেড়ে উঠার মূল প্রেরণা ছিলো বললে ভুল হবেনা।

প্রতিকূলতাকে যে প্রতিষ্ঠান প্রেরণা হিসেবে নেয়, স্বভাবতই সেই প্রতিষ্ঠানের পথ চলা সহজ হবার নয়। সমস্যা বহুমুখী হলেও সমাধানের রাস্তা ছিলো একেবারেই অজানা। ইনসাফ যাদের নিয়ে কাজ শুরু করে, তারা ইতিপূর্বে এ জগতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি। এছাড়াও গণমাধ্যম জগতের নানা বিষয়ে ছিলো তাদের প্রচণ্ড আপত্তি। তাই সহযোগিতা পাওয়া তো দূরের কথা, সহমর্মিতা আশা করাও বেশ কঠিন ছিলো।

এছাড়াও ইনসাফের পক্ষে দেশ ও বিশ্বে চলমান গণমাধ্যমের ধারাগুলোর আদর্শের মধ্যে কোনোটাকেই পূর্ণ অনুসরণ সম্ভব হচ্ছিলো না। বরং ইনসাফকে বেশির ভাগ সময় পথ চলতে হতো তথাকথিত মূল ধারার গণমাধ্যমের পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে।

এজন্য ইনসাফকে কঠিন প্রতিকূলতায় যেমন কদম বাড়াতে হয়েছে; সাথে ইনসাফের মাধ্যমেই তৈরী হয়েছে নতুন এক আদর্শিক ধারার। যাকে বলা যায় গণমানুষের ধারা, মাজলুমের পক্ষের ধারা, ইনসাফ, সাম্য ও মানবিকতার ধারা। এই ধারায় হলুদ সাংবাদিকতার জোরে নির্দোষকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দেওয়া হয়না। এ ধারায় সত্যকে সত্য হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়, মিথ্যে এবং অন্যায়কে জনতার সামনে তুলে ধরা হয়। এধারায় সেক্যুলারিজমের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মবিশ্বাসের সাথে তিরস্কার করা যেমন হয়না, তেমনি সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকেও পূর্ণ সম্মানের সাথে দেখা হয়। এধারায় কোনও সংঘ বা গোষ্ঠী কাওকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে দিলেই তাকে মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করা হয়না, আবার ধর্মের নামে চালিয়ে দেওয়া অন্যায়কেও সমর্থন করেনা। এই ধারা ইনসাফের কথা বলে। ন্যায়ের কথা বলে। মজলুমের পক্ষে বলে।

ইনসাফ দেশের গণমাধ্যম জগতে দুইভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে। আলহামদু লিল্লাহ। প্রথম হচ্ছে ইনসাফ যে ধারার, অর্থাৎ ইসলামী ধারার গণমাধ্যমের একটি রাস্তা খুলে দিতে পেরেছে। ফলে এই ধারার নতুন নতুন গণমাধ্যম বাজারে এসেছে।একটি বাড়ি যত বড়ই হোক না কেন, কেউ গ্রাম বলবে না। তেমনি একটি ধারার একক গণমাধ্যম যতই সমৃদ্ধ হোক না কেন, তাকে ‘ধারা’ হিসেবে গ্রহণ করা হবেনা। তাই নতুন নতুন ইসলামী ধারার গণমাধ্যমের জন্ম হওয়ায় এই ধারাটিকে ‘ধারা’ হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হয়।

দ্বিতীয় প্রভাবের বিষয়টি একটু ভিন্ন। এটি আদর্শিক প্রভাব। ইনসাফের আত্মপ্রকাশকালীন দেশের গণমাধ্যমের চরিত্র কেমন ছিলো, তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। ইনসাফের প্রধানতম কাজ ছিলো দেশীয় গণমাধ্যমে চূড়ান্ত অবহেলিত ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে তুলে ধরা। আলহামদু লিল্লাহ। ইনসাফ আদর্শিক জায়গায় অবিচল থেকে সামর্থ্যের সবটুকু শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে গেছে।

ইনসাফের কাজের এই ধরনটা ইসলামী ঘরানার গণমাধ্যমগুলো অনুসরণ করা ছিলো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে বড় সাফল্যের বিষয় হলো, এই প্রভাব শুধু ইসলামী ধারার গণমাধ্যমেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে মূল ধারার গণমাধ্যমেও। যেখানে ইসলামী ধারার কোনও সংবাদ মূল ধারার গণমাধ্যমে আনতে এক সময় হাজার চেষ্টাতেও ব্যর্থ হতো, সেখানে ইসলামী ধারার গণমাধ্যমগুলোর চেয়েও এখন মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো ইসলামী ধারার আইটেমগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে! এটাই ইনসাফের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আলহামদু লিল্লাহ।

তবে একথা ঠিক যে, তারা ইসলামী ধারার সেটুকুকেই গুরুত্ব দেয়, যেটুকু তাদের পোষায়। যদিও তাদের অনেক বেশি আদর্শিক বলি দিতে হয়।

ইনসাফ ও পরবর্তী ইসলামী ঘরানার গণমাধ্যমগুলোর বর্তমান অবস্থান ও মূল ধারার গণমাধ্যমে এর প্রভাব দেখে আমরা আশা করতে পারি যে, ইন শা আল্লাহ খুব বেশি সময় লাগবেনা, অচিরেই দেশের গণমাধ্যম জগতে আমূল পরিবর্তন আসবে, এবং গণমাধ্যম গণমানুষের মাধ্যমে পরিণত হবে।

আমাদের এতো এতো সম্ভাবনার পরেও সংকটও কিন্তু কম নয়। সবচেয়ে বড় সংকটের জায়গা হচ্ছে পৃষ্ঠপোষকতা না থাকা। এতে আমরা যা করতে চাই, সামর্থ না থাকায় তার খুব সামান্যই করতে পারি। সামর্থের জন্য দরকার পৃষ্ঠপোষকতা, যা একেবারে নেই বললেও ভুল হবেনা। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ইসলামী ধারার অনেক গণমাধ্যমকে ইতিমধ্যেই বিতর্কিত পথে পা

বাড়াতে হয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ইনসাফসহ ইসলামী ধারার গণমাধ্যমগুলো অনেকদূর যেতে পারবে, ইন শা আল্লাহ।

ইসলামী ঘরানার একটি গণমাধ্যম অর্ধযুগ অতিক্রম করা অনেক বড় বিষয়। মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতেই কেবল তা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে আমাদের কোনও যোগ্যতাই ছিলো না এতো প্রতিকূলতার মধ্যে একটি ২৪ ঘন্টার গণমাধ্যমকে টিকিয়ে এতদূর নিয়ে আসার।

আজকের এই আনন্দের দিনে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সকল সহকর্মী ও সহযোগীদের। যাদের সহযোগিতা না পেলে ইনসাফকে এতদূর নিয়ে আসা সম্ভব হতো না। যারা এখনো কর্মরত আছেন এবং এই দীর্ঘ পথে অতীতে আমাদের সাথে যারা ছিলেন, তাদেরও স্মরণ করছি।

প্রিয় পাঠক। আপনাদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, আপনাদের জন্যই আমাদের কাজ করে যাওয়া। আপনাদের দুআ ও ভালোবাসায় আমরা অর্ধযুগ অতিক্রম করে সপ্তম বর্ষে পা দিয়েছি। আমরা আশা করছি অতীতের মতো আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা পাবো। আমাদের জন্য দুআ করবেন, ইনসাফের জন্য দুআ করবেন। আল্লাহ হাফিজ।

ইনসাফের উপদেষ্টা সম্পাদক হলেন সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর

0

দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের উপদেষ্টা সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তিনি গত ২ বছর যাবত পত্রিকার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আজ (১৫ মে) ইনসাফের পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে প্রকাশক তাঁকে এই পদে মনোনীত করেন।

ইনসাফের সম্পাদক ও প্রকাশক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারের পরিচালনায় বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শায়েখ মুফতী হারুন ইজহার, মাওলানা গোলাম রাব্বানী ইসলামাবাদী, সদ্য সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক ও পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মুসা বিন ইজহার, মাওলানা কামরুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী ও নির্বাহী সম্পাদক মারজান হুসাইন চৌধুরী।

উল্লেখ্য, ইনসাফের উপদেষ্টা সম্পাদক পদে মাওলানা মুসা বিন ইজহারসহ ইতিপূর্বে তিনজন দায়িত্ব পালন করেছেন। মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী (এপ্রিল ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭), মাওলানা মুসা বিন ইজহার (জুন ২০১৭ থেকে মে ২০২০)। এছাড়াও ২০১৪ সালে কিছুদিন এই দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা মীর ইদরীস নদভী।

রমজানের শেষপ্রান্তে কদর তালাশে ব্যাপক ইবাদতে মশগুল হতে হবে: চরমোনাই পীর

0

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, রমজান মাসের শেষপ্রান্তে আমরা উপনিত। তাই সবাইকে কদর তালাশে বেশি বেশি ইবাদতে মশগুল হতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে রমজান মাস এসেছিলে আমাদের মাঝে। দেখতে দেখতে বরকতপূর্ণ মাসের শেষ দশকে এসে হাজির। বাকি দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে ইবাদতে কাটানো উচিত সকলের।

তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস দিন দিন আরও ব্যাপক হচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে আমরা আল্লাহর কাছে নিজেদেরকে পরিপূর্ণরূপে সমর্পণ করতে পারিনি। এজন্য করোনাও যাচ্ছে না। তিনি সকলকে ধৈর্যধরাণ করে আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে তওবা ও ইস্তেগফার করার আহ্বান জানান।

চরমোনাই পীর বিবৃতিতে আরও বলেন, হাদীস শরীফে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও নিজেদের গোনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারেনি, তার চেয়ে হতভাগা আর কেউ হতে পারে না। তাই রমজানের বাকি দিনগুলোতে সবাইকে ইবাদতে মশগুল থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

নাটোরে ৪৫০ পরিবারের মাঝে বিএনপির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ

0

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৪৫০ পরিবারের মাঝে বিএনপির উদ্যেগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব দুস্থ মানুষের মাঝে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে বাগাতিপাড়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ভিপি লেনিনের উদ্যোগে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, আহবায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, দেওয়ান শাহিন প্রমুখ।

মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীকে বি-বাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের অভিনন্দন

0

ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান, বি-বাড়িয়ার প্রাণ পুরুষ মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ. এর সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় জেলার শীর্ষ উলামা মাশায়েখদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুর ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বি-বাড়িয়ার শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে এ অভিনন্দন জানানো হয়।

বিবৃতিতে জেলার শীর্ষ উলামা মাশায়েখগণ বলেন, মুফতি আমিনী রহ. ছিলেন দেশের রাজনৈতিক ও ইসলামি আন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি সাধারণ মানুষ অধিকার ও ইসলামের পক্ষে দাবি আদায়ের আন্দোলন করে গেছেন আমৃত্যু। দেশ ও ইসলামের স্বার্থে মুফতি আমিনী রহ. যে আদর্শিক রাজনীতির রূপরেখা তৈরি করে গেছেন, আমরা আশা করবো তার সন্তান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী সেই রূপরেখার পথ ধরে এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি দেশের আপামর জনগণের সেবা, ইসলাম ও মসজিদ মাদ্রাসার কল্যাণে আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রাখবে ইনশাআল্লাহ।

বিবৃতি দাতাগণ হলেন, জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম ভাদুঘর মাদ্রাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মনিরুজ্জামান সিরাজী, জামিয়া ইউনুছিয়ার ছদর ও শাইখুল হাদিস আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী, জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ ,জামিয়া ইউনুছিয়ার শাইখুল হাদিস ও জামিয়া দারুল আরকাম-এর মুহতামিম মাওলানা সাজিদুর রহমান, জামিয়া ইউনুছিয়ার সহকারী শিক্ষা সচিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী, জামিয়া দারুল আরকাম মাদ্রাসার সহকারী মুহতামিম, মাওলানা আলী আজম কাসেমী, জামিয়া কুরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা দারুল কোরআন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস, জামিয়া ইসলামিয়া সোনারামপুর আশুগঞ্জ মাদরাসার শাইখুল হাদিস, মুফতি বুরহান উদ্দিন কাসেমী, জামিয়া আইয়ুবিয়া দারমা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মেরাজুল কাসেমী, জামিয়া হুসাইনিয়া দারুল উলুম উচালিয়া পাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।