জনগণের তথ্য জানার অধিকারের পাশাপাশি সত্য জানারও অধিকার রয়েছে। অথচ নানাবিধ কারনে গণমাধ্যম থেকে জণগনের এই অধিকার প্রাপ্তি বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
যখনই ইনসাফ কোন সংবাদ পরিবেশন করে, তখন সেই সংবাদের বস্তুনিষ্টতা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ থাকে না। কারন আমি বিশ্বাস করি, কোনরকম রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে আলেমদের এই মিডিয়া কখনও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করতে পারে না। তাই অল্প সময়ের মধ্যে ইনসাফ মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
আমাদের সবার উচিত সত্য ও ন্যায়ভিত্তিক মিডিয়াকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। প্রত্যাশা করছি, ইনসাফ কখনও সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হবে না। আল্লাহ এই সৎকাজকে সহজ করে দিন।
দেশের ইসলামী ধারার জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য প্রথম অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে অর্ধযুগ অতিক্রম করলো।
পত্রিকার মাধ্যমে ইনসাফ পরিবার দেশ, জাতি এবং বিশ্ববাসীর সঠিক চিত্র তুলে ধরতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের এই ত্যাগের বিনিময়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উপকৃত হবে, ইন শা আল্লাহ।
হলুদ সাংবাদিকতার ফলে মানুষ যখন সুখ, পরিবার এমনকি দেশ হারাচ্ছে। যুদ্ধের পৃথিবী যখন হারাচ্ছে শান্তি,সমৃদ্ধি, মানবিকতা, মনুষ্যত্ব। তখন সত্যিকারের মিডিয়া-শক্তি মিথ্যা প্রতিরোধে অসম্ভব ভূমিকা রাখতে পারে। ইনসাফ হয়ে উঠুক তেমনই এক সুস্থ মিডিয়া-শক্তি।
ইনসাফ এর অর্ধযুগ পূর্তি উপলক্ষে আমি কাজী আমীনুল ইসলাম ও কিব বাংলার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সেই সাথে আমাদের প্রত্যাশা ‘ইনসাফ’ আগামীতেও নির্ভরতার স্বাক্ষর রাখবে।
বাংলাদেশের ইসলামী ধারার প্রথম জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ‘ইনসাফ’ এর অর্ধযুগ পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সবার খবর পরিবার।
সবার খবর পরিবারের পক্ষ থেকে পাক্ষিক সবার খবর ও সবার খবর টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সম্পাদক মাওলানা আবদুল গাফফার শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, অর্ধযুগ আগে দেশের এক ক্রান্তিলগ্নে ‘ইনসাফ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে ইসলামী ধারায় অনলাইনে কোনো পত্রিকা ছিল না। ইনসাফই প্রথম যে, ইসলামী ধারায় পত্রিকা আকারে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করেছে। আত্মপ্রকাশের পর পরই ইনসাফ সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার- এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পত্রিকাটি আজ অর্ধযুগ পেরিয়ে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গিয়েছে। এ সময়ে উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে তিনজন দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, এরপর মাওলানা মুসা বিন ইজহার চৌধুরী। এবং সর্বশেষ মাওলানা সালাউদ্দীন জাহাঙ্গীর। আমি এই তিন উপদেষ্টা সম্পাদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই অর্ধযুগে ইনসাফ আমাদের যে আশার আলো দেখিয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। এক যুগ পেরিয়ে ইনসাফ এই জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারবে বলে আশা রাখছি।
সবিশেষ ইনসাফ পরিবারের প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে আগামী দিনগুলোতে প্রতিজনকে দ্বীনের যোদ্ধা হিসেবে কবুল করার দুআ করছি।
গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তথ্য-প্রযুক্তির সহজলভ্যতার এই সময়ে এসে সাংবাদিকতায় একটি নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। ফলে বলা চলে, এখন এই স্তম্ভ আরও শক্তপোক্ত। ছাপা পত্রিকার পাশাপাশি, টেলিভিশনগুলো দিনরাত সচিত্র খবর প্রচার করছে, অনলাইনগুলো মুহূর্তে মুহূর্তে খবরের আপডেট দিচ্ছে। কিন্তু এই খবর জনগণের উপকার করছে না অপকার- সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
কারণ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা বড় জিনিস। সমালোচকদের মতে, সেটা নাকি এই মুহূর্তে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনেকাংশেই অনুপস্থিত। এটা অবশ্য অনেক বড় বিতর্কের বিষয়। তার চেয়ে বরং সংবাদ মাধ্যমের চরিত্র, ধ্যান-ধারণা নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশের কথাই ধরুন। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া হাউজগুলো অনেকটাই কর্পোরেট। তারা সংবাদ প্রচারের প্রতিযোগিতার নামে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার করছে, নাকি মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করছে- সেটা বুঝা খুব কঠিন কিছু নয়। আগেভাগে খবর প্রচারের প্রতিযোগিতায় আমরা প্রায়ই তাদের বেহাল দশা দেখতে পাই। অনেকে সময় অবান্তর, অসত্য ও গুজবও তারা ব্রেকিংয়ের নামে প্রচার করে থাকে। জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে খবর প্রচারের মতো অর্বাচীন কাজও তাদের থেকে প্রকাশ পেয়েছে। অনেককে আবার খবর প্রত্যাহার করেও নিতে দেখা যায়।
একটি উদাহরণ দেই। ‘আলু’ একটি সহজলভ্য সবজি। এই আলু দিয়ে কোনো গৃহিনী ভর্তা বানান, কেউ ভাজি, ফাস্টফুডের দোকানে চটপটি, চাইনিজে ফ্রেঞ্চফ্রাই, কোম্পানীগুলো চিপস থেকে শুরু করে অনেকে এর গয়রহ ব্যবহার করেন। আলু আসলে কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে সে দায় আলুর নয়, দায় ব্যবহারকারীর। আমাদের দেশের মিডিয়া হাউজগুলোর দশা অনেকটা এমন। খবর প্রচার করে তারা জনগণকে সতর্ক করছে না ভীতি ছড়াচ্ছে, জনমত গড়ছে না কারো পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে, দেশের উপকার করছে না মালিকপক্ষের স্বার্থ উদ্ধার করছে- সেটা বুঝার জন্য অনেক বেশি জ্ঞান থাকার দরকার নেই।
অথচ ডিজিটাল যুগে আলোড়ন তৈরি করার মতো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটার দেখা নেই। কোনো এক অজানা কারণে মিডিয়ার অভূতপূর্ব ক্ষমতা যেনো পানসে হয়ে গেছে। সংবাদ প্রকাশের কৌশলে কোনো নতুনত্ব নেই। চমকে দেওয়ার মতো অনুষ্ঠান নেই। পড়ে তৃপ্ত হওয়ার মতো রিপোর্ট নেই। খবরের পেছনের খবর প্রকাশ হয় না। খবরে নেই কোনো মানবিকতার ছোঁয়া, রহস্য, রোমাঞ্চ। সব চলছে গৎ বাঁধা।
মানছি, মিডিয়া হাউসগুলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। অতএব এটা মুনাফা অর্জনের ওপর নির্ভরশীল। মিডিয়ায় যিনি টাকা ঢেলেছেন, তিনি তার বিনিয়োগ যেমন তুলে আনতে চাইবেন, তেমনি বিনিয়োগ থেকে মুনাফাও কামাতে চাইবেন। যদি সরাসরি মিডিয়া থেকে তার মুনাফা না আসে তাহলে মিডিয়া তাকে যে বিশেষ ক্ষমতা দেয় তা ব্যবহার করে তার অন্য ব্যবসা থেকে তিনি ফায়দা আদায় করবেন, এটাই স্বাভাবিক। আধুনিক বিপনন কৌশলে বাজার ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতার এটা অন্যতম দিক।
অতএব খবরে একটু তেল, দলবাজি, আদর্শের প্রচার না থাকলে চলে না। আর হ্যাঁ, বিজ্ঞাপনের জন্য মিডিয়াকে বড় দেশী কোম্পানি বা বহুজাতিক কোম্পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। সরকারের আনুকূল্য পেতে তদবির করতে হয়। এই নির্ভরশীলতা ছাড়া টেলিভিশন, পত্রিকা, রেডিও স্টেশন ও অনলাইন চালানো অসম্ভব। কোনো মিডিয়া টিকে থাকতে চাইলে টাকা আয়ের উৎসগুলোর বিরুদ্ধে তারা দাঁড়াতে পারে না।
কিন্তু গণমাধ্যম যখন নিজেদের ওপর নিজেদের সেন্সরশিপ প্রয়োগ করে গোলটা বাঁধে তখনই। অর্থাৎ কোন খবর ছাপা হবে, কোন লেখককে জায়গা দেওয়া হবে কাকে হবে না, কী ধরণের সম্পাদকীয় নীতি গ্রহণ করা হবে ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীনদের জন্য বিপজ্জনক খবর, বিশ্লেষণ, উপ সম্পাদকীয় ইত্যাদি পরিহার করা হয়। নিজেদের স্বার্থের খবরকে প্রধান্য দেওয়া হয় তখন আর সেটা রাষ্ট্রের স্তম্ভ বলে স্বীকৃতি পায় না। তখন মিডিয়া পরিণত হয় স্বার্থের অস্ত্রে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
কিন্তু হালের সাংবাদিকতায় আমরা অহরহ সেই চিত্রই দেখতে পাচ্ছি। এটা শুধু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে নয়, সব দেশেই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে জুথিড মিলারের কথা? না থাকলে একটু মনে করিয়ে দেই।
জুথিড মিলার নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ছিলেন। তিনি বিস্তারিত প্রমাণসহ (!) প্রকাশ করে দিয়েছিলেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তোলার কথা। সেকি ফিরিস্তি! যেন তিনি নিজ চোখে দেখে এসে রিপোর্ট করেছেন। এর বিনিময়ে পুলিৎজারসহ অনেক কিছু তার কপালে জুটেছিল। পরে মার্কিন বাহিনী বাগদাদে উপস্থিত হয়ে সাদ্দামের গোপন সেই অস্ত্রভাণ্ডারের খোঁজে চারদিক লণ্ডভণ্ড করেও সে রকম কোনো কিছুর সন্ধান পায়নি। সেই ফাঁকে জুথিড হাওয়া। পরে অবশ্য তার স্বদেশি আরেক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেইমুর হার্শ পুরো ঘটনার পেছনে সিআইএর খেলার ছক উন্মোচন করেছিলেন, ততদিনে জল অনেকটা গড়িয়ে গেছে। ইরাক রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত। সেই ইরাক আজও দাঁড়াতে পারেনি। মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গোটা ইরাক। কিন্তু ইরাক হামলার যৌক্তিকতার বিষয়ে জুথিডে দেওয়া তথ্যমতে পশ্চিমা গণমাধ্যমে যেভাবে ভরসা করেছিল, ঠিক সেভাবে ভরসা না করলেও বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও গণমাধ্যমকে সেভাবে বিশ্বাস করে। আর বারবার ধোঁকা খায়।
সাম্প্রতিক সময়ের আরেকটি প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দেই। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন প্রায় ২০ দিনের মতো লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। কিন্তু এই কুড়ি দিন ধরে পশ্চিমের সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষকেরা বিশ্লেষণে মেতে ছিলেন দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে। কেউ বলেছেন উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসনের জাঁতাকল থেকে মুক্ত হওয়া এটাই সুবর্ণ সুযোগ। কেউ বলছেন কিম পরিবারের যে কেউ ক্ষমতার হাল ধরুন না কেন, তার জন্য নতুন পরিস্থিতিতে দেশ শাসন করা সহজ হবে না। কতিপয় বিশ্লেষক আরও এক কাঠি এগিয়ে গিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আভাস খুঁজেছেন। বলেছেন চাচা-ভাতিজির লড়াইয়ে কে জেতে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অর্থাৎ পশ্চিমের সাংবাদিকরা ধরেই নিয়েছিলেন কিম জং-উন মারা গেছেন কিংবা মারা না গেলেও এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে, তার পক্ষে দেশ শাসন করা তো দূরের কথা, দুই পায়ে ভর করে দাঁড়ানোরই সুযোগ নেই। কিন্তু তিনি যখন সুস্থ অবস্থায় ফিরে এলেন, সংবাদকর্মীরা তখন হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেটা ছিলো ক্ষণিকের নীরবতা।
এই যে দু’টো দৃশ্যপটের কথা বললাম, তা আবারও দেখিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমের প্ররোচনায় কত সহজে আমরা প্রতারিত হই। শুধু পশ্চিমা নয়, আমাদের দেশেও আমরা প্রতারিত হই। সাম্প্রতিক বিশ্বে বারবার এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকলেও এর থেকে কোনো শিক্ষা আমরা পাইনি এবং পশ্চিমের সংবাদ মাধ্যমকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সংবাদের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে ধরে নিয়ে ব্যস্ত থেকেছি এবং থাকছি। তারা যা দেখাচ্ছে, দেখছি। যা পড়তে দিচ্ছে পড়ছি। যা পড়তে দিচ্ছে না, তা ধেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি, অনুসন্ধানের প্রয়োজন ভেতরে জাগরুক হচ্ছে না।
এখানেই সাংবাদিকতার নৈতিকতা জড়িত। কোন সংবাদ কিভাবে পরিবেশন করবো, কতটুকু প্রকাশ করবো- সেটার সীমারেখা থাকতে হবে। সেটা কিতাবে থাকলেও বাস্তবে নেই। কিম জং-উন ফিরে এসেছেন। আর সাদ্দাম? সাদ্দামের বিষয়ে বিশ্ববাসী প্রতারিত হয়েছে। বিনা ব্যাখ্যায় পশ্চিমাদের সংবাদ বিশ্বাস করে একটি দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। মানবিকতা, সতত্য, কল্যাণকামীতা, শান্তি প্রচেষ্টা পায়ে দলে আরও একবার আমরা ঠকে গিয়েছি সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা সামনে।
পশ্চিমের সংবাদমাধ্যম যে সবসময় ধোয়া তুলসীপাতা, তা একেবারেই নয়। বিশেষ করে বিতর্কিত অনেক প্রশ্নেই, এমনকি গোপনে সিআইএর হয়ে কাজ করতেও পিছপা হয় না তারা। আমরা জানি দূর বিদেশের সংবেদনশীল কোনো সংবাদের ক্ষেত্রে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সামর্থ্য আমাদের নেই। ফলে পশ্চিমারা যা আমাদের খেতে দিচ্ছে, তাই আমরা খেয়ে নিচ্ছি।
যেহেতু জবাবদিহিতামূলক সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝায় তা আসলে কোথাও শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি। তাই এই একচ্ছত্র নির্ভরশীলতা থেকে কীভাবে বের হয়ে আসা যায়, তা নিয়ে মনে হয় চিন্তাভাবনা করা দরকার। সেটা দেশ-বিদেশের সব ক্ষেত্রেই হতে পারে।
আমাদের দেশীয় প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতার নৈতিক গুণাগুণ, বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা, নিরপেক্ষতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। তার পরও নতুন নতুন মিডিয়া আসছে, কেউ কেউ মিডিয়া গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। এসব স্বপ্নের এক বাস্তবায়ন ‘ইনসাফ’।
২০১৪ সালের ৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় পত্রিকাটির। বয়স হিসেবে অর্ধযুগ পেরিয়েছে তারা। অনেক সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ছয় বছর টিকে থাকা বেশ কঠিন। প্রয়োজনীয় জনবল, সাপোর্ট, বাজেট ও পরিকল্পনার হয়তো অনেকে কিছু তারা করতে পারেনি। কিন্তু সীমিত পরিসরে হলেও সত্য উচ্চকিত করার কাজটি কিন্তু অনেকটাই করেছে বুক ফুলিয়ে। তাদের পথচলার এই সংগ্রাম চলতে থাকুক, ইনসাফ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাক; প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মাসে এটাই আমার আন্তরিক চাওয়া।
অর্ধযুগ পেরিয়ে সফলতার পথে এগিয়ে চলছে অনলাইন পত্রিকা ‘ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম’। এই কঠিন সময়ে একটি সত্য ধারার গণমাধ্যমকে কতগুলো বাধা অতিক্রম করে পথ চলতে হয়, টিকে থাকতে হয়। এটা কেবল তারাই বুঝেন, যারা কোনো-না-কোনোভাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।
সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আর আদর্শের পথে অবিচল থেকে এগিয়ে যেতে পারা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন বিষয় এবং সময়ের কষ্টিপাথরে লেখা সাফল্যের গল্প। এ গল্প ইতিমধ্যে ‘ইনসাফ’ রচনা করতে পেরেছে। এজন্য ‘ইনসাফ’ পরিবারকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক মোবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
তবে একটি কথা না বললেই নয়, সফলতার পথে যখন আপনি এগিয়ে যাবেন, আস্থা -দায়িত্ব ও পাঠকদের প্রতি আন্তরিকতার জায়গাটি, দায়বদ্ধতার জায়গাটি আরও শক্তিশালী হবে। তাই ‘ইনসাফ’ স্বপ্নের পথে, সাফল্যের পথে এগিয়ে যাবে সততার সাথে এবং দায়বদ্ধতার সাথে। আমরা ইনসাফ এর সকল কাজের শুভাকাঙ্ক্ষী। ইনসাফ পরিবারের প্রতি অনেক অনেক কল্যাণ ও মোবারকবাদ।
মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী | পরিচালক: শায়খ আবুল হাসান আলী নদভী ইসলামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, চেয়ারম্যান: ফিলিস্তিন সলিডারিটি কাউন্সিল, ও রিসার্চ ফেলো: ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া।
দেশের প্রথম ও সর্বাধিক জনপ্রিয় ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী চলমান মিডিয়া আগ্রাসন মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। হাজারো বাতিলপন্থী মিডিয়ার ভিড়ে ইনসাফ দীর্ঘ অর্ধযুগ ইসলামের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইনসাফের অর্ধযুগ পূর্তির এই মাহেন্দ্র ক্ষণে আমি তার দক্ষ ও নিষ্ঠাবান সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকারসহ পোর্টালের লেখক, সাংবাদিক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদেরকে অর্ধযুগ পূর্তির শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আমরা জানি বর্তমানে মিডিয়া কিভাবে আমাদের জীবনে স্থান করে নিয়েছে। মিডিয়ার হামলা আর আগ্রাসন থেকে আজ কেউই নিরাপদ নই। সবার ঘরে ঘরে মিডিয়া ঢুকে পড়েছে। প্রতিটি বাড়িতেই টিভি নামের আধুনিক আবিষ্কার জায়গা করে নিয়েছে। শুধু বাড়িতে কেন, প্রতিটি দোকানে দেখা যাচ্ছে টিভি। শহর বলেন আর গ্রাম বলেন- সর্বত্র আজ আধুনিক মিডিয়া থাবা বিস্তার করেছে। মোবাইল-কম্পিউটার এসে মিডিয়ার পালে আরও হাওয়া দিয়েছে। সবার ঘরে ঘরে ঢোকার পর মিডিয়া এখন ঢুকে পড়েছে সবার পকেটে পকেটে। পৌঁছে গেছে শিক্ষিত-অশিক্ষিতের হাতে হাতে। এসব মিডিয়ার কোনোটিই ইসলামের পক্ষের না।
এই পরিস্থিতিতে ইনসাফ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর পক্ষে আশার আলো প্রজ্বলিত করেছে।
ইনসাফ এগিয়ে যাক দুর্দমনীয় গতিতে! তাদের কাজগুলো হোক একমাত্র দ্বীনের স্বার্থে—এই কামনা করি।
মাওলানা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব | মহাপরিচালক, জামিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া জিরি মাদরাসা
ইসলামী ঘরণার প্রথম অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ তার অগ্রযাত্রায় অর্ধযুগ অতিক্রম করে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ইতিবাচক দৃষ্টভঙ্গিতে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে ইনসাফ জাহিলিয়াতের পরিবর্তে একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সবসময় নির্ভীক ভূমিকা পালন করবে- এটা আমার প্রত্যাশা।
সুন্দর, কল্যাণের পথে এর নিরন্তর অভিযাত্রা অবাধ, নিরপেক্ষ ও গতিশীল হোক।
ইনসাফ-এর এই অর্ধযুগ পূর্তি ও সপ্তম বর্ষে শুভপদার্পণ উপলক্ষে তার উদ্যোক্তা, কলাকুশলী ও সুধী পাঠকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক দুআ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে পত্রিকাটির বহুল প্রচার ও প্রসার কামনা করছি।
হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর | যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক : কক্সবাজার ইসলামী সাহিত্য ও গবেষণা পরিষদ
অনলাইন মিডিয়া অঙ্গনে বর্তমান সময়ের সাড়া জাগানো ও পাঠকসমাদৃত একটি নাম “ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম”। মিডিয়ার আগ্রাসন ও অপসংস্কৃতির সয়লাবে সত্য ও সুন্দরের অভিযাত্রা যখন বারবার ব্যাহত হচ্ছে এমতাবস্থায় হকের বলিষ্ঠ মুখপত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এ অনলাইন নিউজ পোর্টাল। একঝাঁক সাহসী কলমসৈনিক ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদকর্মীদের নিয়ে চরম প্রতিকূলতা মাড়িয়ে হাটি হাটি পা পা করে এ সংবাদমাধ্যম অর্ধযুগ পূর্ণ করলো আলহামদুলিল্লাহ।
সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন, সময়োপযোগী তথ্য সমৃদ্ধ প্রবন্ধ -নিবন্ধ প্রকাশ এবং আদর্শিক নেতা, শীর্ষ ওলামায়েকেরাম ও বিদগ্ধ লেখক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহনে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে সেমিনার, ‘ইনসাফ শো’ আয়োজন করে এ অনলাইন সংবাদমাধ্যমটি ইতিমধ্যে বিজ্ঞ মহলে সমাদৃত হয়েছে, অর্জন করেছে বহুল পাঠকপ্রিয়তা। সেই সাথে মিডিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় নবপ্রজন্মের আদর্শিকধারার তরুণদের সাংবাদিকতা অঙ্গনে প্রশিক্ষিত করে সাহসী কলমসৈনিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও ইনসাফের উদ্যোগ ভূয়সী প্রশংসার দাবী রাখে। এ ধারা উত্তরোত্তর বিকশিত হলে অনতিবিলম্বে তথ্যসন্ত্রাসীদের সকল চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং সুস্থ সংস্কৃতির উজ্জীবন ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
“ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম” অর্ধযুগ পূর্তির এ শুভ সন্ধিক্ষণে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জানাই হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে সত্য ও সুন্দরের অভিযাত্রায় “ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম” এগিয়ে যাক সমৃদ্ধির পানে।
ইনসাফ পত্রিকা! শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, একটি ইসলামী ঘরানার চেতনা গড়ার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে পত্রিকাটি অর্ধযুগ পেরিয়ে ৭ম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এজন্য তাদের অসংখ্য শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো।
ভাবা যায়? এদেশে যখন সব জায়গায় তথাকথিত হলুদ মিডিয়ার বিচরণ, ঠিক তখন তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে একেবারে নাকের ডগায় বসে ৬ বছর পার করে ৭ম বছরে চলছে তাঁদের যাত্রা!
ইনসাফ এদেশে প্রথম ইসলামী ঘরানার কোন মিডিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ৬ বছর আগে! ইনসাফ সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার স্যারের অতুলনীয় পরিশ্রমের ঘাম আর মেধায় ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম আজ লাখো পাঠকের পত্রিকা।ইনসাফের পরপরই এদেশে আরো কয়েকটি ইসলামী মিডিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারাও সুন্দর কাজ করে যাচ্ছে।
একটা সময় দেশে যখন হলুদ মিডিয়া প্রতিনিয়ত ইসলামকে ব্যঙ্গ-কটাক্ষ্য করে সংবাদ প্রকাশ করতো, তখন আমাদের মাঠে ময়দানে আন্দোলন করা ছাড়া কোন উপায় ছিলোনা। যেটা কখনো কখনো সুফলের পাশাপাশি কুফলও বয়ে আনতো।
তখন উলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বা তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো এমন কোন মিডিয়া ছিলোনা যে তাদের করা সংবাদের জবাব আরেকটা সংবাদের মাধ্যমেই দিবে। কিন্তু ইনসাফ আসার পর তাদের জবাব গুলো এখন সংবাদের মাধ্যমে আমরা দিতে পারি। যেটা ইনসাফের জন্য সম্ভব হয়েছে!
কোন প্রতিপক্ষ হয়ে নয়, বরং সত্যটা কে প্রকাশ্যে আনে ইনসাফ। তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করে তাঁরা। মিডিয়ায় যেখানে নাস্তিক মুক্তমনা গুলোর বসবাস সেখানে ইনসাফ আজ বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের সুন্দর কাজের মাধ্যমে।
আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ইনসাফের কী কী ভালো লাগে?আমি প্রথমের সম্পাদক সাহেবের কথা বলবো। যে মানুষটা না থাকলে হয়তো ইনসাফের আজ এই পর্যন্ত আসা হতোনা। হয়তো ইনসাফ নামে কোন অনলাইন পত্রিকার জন্মই হতোনা। এইতো বছরখানেক আগে ইনসাফে সাংবাদিকতার উপর ট্রেনিং করেছি তখন খুব কাছ থেকে স্যার কে দেখার সুযোগ হয়েছে, মিশেছি স্যারের সাথে, কথা হতো অনেক বিষয়ে, স্যারের প্রতিটা কথা থেকেই শেখার অনেক কিছু থাকে।
যদি কেউ জিজ্ঞেস করে ইনসাফের খারাপ লাগে কি কি? তাহলে একটা কথায় বলবো এখনো পর্যন্ত খারাপ লাগার মতো কিছু পাইনি। যদি কখনো পাই সেটা না হয় স্যার কে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিবো। তারপরও যদি বলে দেখেন কোন খারাপ দিক বের করা যায় কী না! তাহলে একটু রাগান্বিত হয়েই বলবো হ্যা অনেক খারাপ দিক আছে! তার মধ্যে কয়েকটা খারাপ দিক তুলে ধরি, ইনসাফ কখনো তৈলাক্ত খবর প্রকাশ করেনা। কাউকে খুশি করতে ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে কখনো খবর প্রকাশ করেনা। হ্যা আরোও খারাপ দিক হলো ইনসাফ নিয়ে কোন নেতিবাচক আলোচনা সমালোচনা হয়না।
আজকাল দেখা যায় মিডিয়াগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কীভাবে তারা সবসময় আলোচনা সমালোচনায় থেকে নিজেদের টিআরপি বাড়াবে। কিন্তু সেই জায়গায় ইনসাফ দেখিয়ে দিয়েছে যে নেতিবাচক আলোচনায় থাকা ছাড়াও একটা পত্রিকার র্যাংকিং বাড়ানো যায়। ভালো কাজের মাধ্যমে জনমানুষের পাঠক হওয়া যায়। তথ্যনির্ভর সংবাদ প্রকাশ করে মানুষের আস্থাশীল হওয়া যায়।
হ্যাঁ, আরো খারাপ দিক হলো ইনসাফের সম্পাদক সর্বমহলে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। যার গুণের মহিমায় ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম আজ ৭ বছরে পা দেয়া হাতেগড়া সন্তান।এরকম আরো অসংখ্য দিক তুলে ধরা যাবে যেগুলো কে আমি আমার ভাষায় খারাপ খারাপ বলতে পারিনা। বাকিটা লাখো পাঠকের বিবেচনায় ছেড়ে দিলাম।
আল্লাহ্ সুবহানু তাআ’লা যদি চান, ইনসাফ কে ভবিষ্যতে পাঠকের হাতে হাতে দেখতে চাই। যেখানে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও তাদের দৌড় থাকে বীরদর্পে। দৈনিক ইনসাফ ই-পেপার যেন প্রতিটা ঘরে ঘরে থাকে সেই স্বপ্ন দেখি।
পাঠকমহলে সমাদৃত পত্রিকা ইনসাফ তার সাফল্যমণ্ডিত অর্ধযুগ পেরিয়ে সপ্তম বর্ষে পদার্পণের এই শুভক্ষণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও তাদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।
বর্তমান বিশ্ব সত্য-মিথ্যার যে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের উত্তপ্ত রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে, মিডিয়া পলিটিক্স সে যুদ্ধের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বহু আগ থেকেই পশ্চিমা মিডিয়াগুলো সত্যকে মিথ্যা আর সাদাকে কালোরূপে উপস্থাপন করে ন্যায় এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার বিপরীতে তাদের নীল এজেন্ডা বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিশ্বজুড়ে তারা মানবতা,স্বাধীনতা ও সুস্থ সংস্কৃতির চেতনা বিকাশের ফাঁপা বুলি আওড়িয়ে ভালো-মন্দ সঠিকভাবে নিরূপণে মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলছে।
ধর্মান্ধতা, ইসলামভীতি ও জঙ্গীসহ কিছু নব্য উদঘাটিত শব্দের মাধ্যমে তাদের করা মিথ্যাচারে বিশ্বমানবতার প্রকৃত ঝাণ্ডাধারীরাই আজ নিষ্পেষিত। সংবাদ এবং সাংবাদিকতার মূল্যবোধ এমনকি নূন্যতম মনু্ষ্যত্ববোধকেও খুইয়ে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্দিষ্ট মত ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত।
দুঃখের বিষয়, পশ্চিমা মিডিয়ার লেজুড়বৃত্তিতে দেশীয় হলুদ মিডিয়াগুলোও তাদের পুঁজিবাদী নব্য প্রভুদের একনিষ্ঠ অনুসারী। তাই এই মিডিয়াযুদ্ধে আমাদের কিছু আপোষহীন সত্যান্বেষী সেনাব্যারাক প্রয়োজন ছিলো।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আশু বাধা-বিপত্তিকে তোয়াজ না করে হেফাজতসমর্থিত ঐতিহাসিক ইসলামী বিপ্লবের শিক্ষাকে পুঁজি করে ২০১৪ সালের ৫ই মে স্রোতের বিপরীতে দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের এই বর্ণাঢ্য পথচলা শুরু হয়। সময়ে সময়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেশী-বিদেশী বহু নিষিদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে;শৃগালের রক্তচক্ষু,শকুনের শ্যেন দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে আজকের এই দিনে ইনসাফের অবস্থান পাঠকের হৃদয়জুড়ে।ইনসাফের এই দীপ্ত পথচলায় উজ্জীবিত হয়ে আরো নতুন নতুন ইসলামী ঘরানার অনলাইন পোর্টালের যাত্রার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সুদৃঢ় প্লাটফর্ম গড়ে উঠছে।
একজন পাঠক হিসেবে আমার কাছে ইনসাফের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে নৈতিকতা, নিরীক্ষণ খুব মুগ্ধকর ও আস্থার বিষয়।আমি ইনসাফের উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। প্রত্যাশা করি আগামীর পথচলা নির্ঝঞ্ঝাট ও সুমসৃণ হোক।