Home Blog Page 4622

৬ বছরের চ্যালেঞ্জ; ইসলামি মিডিয়ার অভাব পূরণে কতটুকু সফল ইনসাফ?

0

এইচ এম আদিব | মালয়েশিয়া প্রবাসী


২০১৩ সালে হেফাজতের সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। তখন আমাদের নিজস্ব কোনো মিডিয়া ছিল না। হেফাজতের প্রতিটা মূহুর্তের সংবাদ জানতে আমরা বিভিন্ন ফেসবুকভিত্তিক পেইজে নজর দিতাম। এক কথায় নিজেদের মিডিয়া বলতে আমাদের তখন কিছুই ছিল না। তখনকারদিনে মনে একটা হাহাকার ছিল নিজস্ব মিডিয়া না থাকার। সেই হাহাকার বর্ণনা করার মত ছিল না।

হেফাজতের সেই রক্তাক্ত শহীদি দিবসের ঠিক এক বছর পরই আত্মপ্রকাশ হয় ‘ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম’-এর। এই দেশের ইসলামি ঘরানার প্রথম অনলাইন পত্রিকা হিসেবে ইনসাফের উপর দাঁড়ায় বিশাল চ্যালেঞ্জ। ইনসাফ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কতটুকু কী করতে পেরেছে এখন সময় এসেছে তার যোগ বিয়োগ করার। আমি এই ক্ষেত্রে ইনসাফের কয়েকটা ভালো গুণের কথা উল্লেখ করছি।

(১) তাবলিগের দুটি গ্রুপের ইস্যুতে ইনসাফের ভূমিকা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। এই ইস্যুতে ই’তেদালি মেজায বজায় রেখে, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘরের নিউজ বাহিরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নিউজের মত হলেই নিউজ করতে হবে এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে উপকারী নিউজ প্রকাশ করাটা একটা বড় বিষয়।

(২) অনলাইন পত্রিকাগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হলো তারা কেবল নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দল ও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য প্রচার করে। সে জায়গাটাতে ইনসাফ এখনো নির্দলীয় ইসলামিক পত্রিকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই জায়গাটা আদল ও ইনসাফের সাথে ধরা রাখাটা হবে ইনসাফের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

(৩) টকশোর আদলে লাইভ সাক্ষাতকার একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ছিল ইনসাফের৷ জানিনা কী কারনে এটা অনেক দিন যাবত বন্ধ আছে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক মানের টকশো হতে যেই উপাদানগুলো দরকার, সেগুলোর অভাব ধীরেধীরে দূর করে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। এই জায়গাটাতে যদি ইনসাফ ভালোভাবে ফিরে আসতে পারে, সেটা হবে অনেক বড় কিছু।

একটা মিডিয়ার প্রাথমিক অবস্থায় বিভিন্নধরনের সমস্যা ও সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই সময়টাতে বিভিন্নভাবে তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আর নয়তো অংকুরেই অনেকে হারিয়ে যায়। মিডিয়া তৈরি নিয়ে আমাদের বড়দের অনেক চিন্তা-ফিকির ও চেষ্টা প্রচেষ্টার কথা জানতে পারি, আজ যেহেতু আমাদের মিডিয়া দাঁড়িয়ে গেছে তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে কোনো ভুল হলে, হুট করে প্রতিবাদী পাবলিক পোস্ট না দিয়ে পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত যে কাউকে জানাতে পারেন। আমি যতটুকু জানি, শরঈ বিষয়ের খেলাফ কোনো বিষয় তাদের মাধ্যমে হয়ে গেলে, তারা হাসিমুখে তা সংশোধন করে নেয়। সবার দোয়া ও ভালবাসাতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম। এই প্রত্যাশা-ই করি।

তথ্যের চাহিদা পূরণে ইনসাফের ভূমিকা প্রশংসনীয়

0

ওমর ফারুক সাহিল | পরিচালক : ঐশীস্বর


বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে সবসময় সচেতন থাকা দেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার জনপ্রিয় অনলাইন মিডিয়া ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম অর্ধ-যুগ পার করেছে। শুরুতেই জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ঐশীস্বর এর সকল কলাকুশলীর পক্ষথেকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন।

আদর্শের উপর অটল অবিচল থাকতে পারা নিঃসন্দেহে বড় একটি গুণ। যা সবসময় যথাযথ মাত্রায় ইনসাফে খুঁজে পেয়েছি। সততা সাহসীকতার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে থাকে। এ বিশ্বাস পূর্ণ মাত্রায় সকলে ধারণ করতে পারে না। কিন্তু তা থাকা আবশ্যক। তবেই মানুষের আস্থা স্থায়িত্বে রূপ নেয় খুব সহজে। ইনসাফ বরাবরই তার সাক্ষর রেখে চলেছে।

দেশে অসংখ্য সংবাদমাধ্যম থাকার পরও সচ্ছতার অভাববোধ করে প্রতিনিয়তই তাদের পাঠক ও দর্শক-শ্রোতাদের বেশ বড় একটি অংশ। যা সত্যিই দুঃখজনক। তাই কখনো কখনো খবরের পেছনের খবরও হতে দেখা যায়। যা অস্বাভাবিকভাবে চোখ চড়গগাছে ওঠার মতো। অথচ এমনটি কাম্য কেউ করে না। সে সারিতে দাঁড়িয়ে ইনসাফ তার স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারা কম কথা নয় মোটেই।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইনসাফ প্রতিদিন সাধারণ মানুষের তথ্য চাহিদা পূরণে যে ভূমিকা রেখে চলেছে তা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের সংবাদ এবং সংবাদের বিশ্লেষণ ইনসাফে ফুটে ওঠে।

শুভকামনা সবসময়। এ ধারা অব্যাহত থাকুক অনন্তকাল। উপকৃত হোক তার সকল পাঠক, শ্রোতা ও দর্শক বন্ধুরা। আল্লাহ ভালো কাজের উত্তম প্রতিদান দিয়ে ধন্য করুন ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক প্রিয় সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার সহ- সকল কলাকুশলী বৃন্দকে।

আমাদের মিডিয়া অঙ্গনের শূন্যতা কাটিয়ে তুলতে কাজ করছে ইনসাফ

0

আলমগীর বিন কবির | পরিচালক: নবজাগরণ শিল্পীগোষ্ঠী


ইসলামী অঙ্গনে মিডিয়ার শূন্যতা নতুন কিছু নয়। ইতিপূর্বে এ সমস্যাটা দূর করতে আমরা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের সে শূন্যতা কাটিয়ে তুলতে ইতোমধ্যে মিডিয়া অঙ্গনে বেশ কিছু ইসলামী মিডিয়া কাজ করছে। তার মধ্যে ইনসাফ অন্যতম। বহু চড়াই উৎরাই পার হয়ে ইনসাফ অর্ধযুগ অতিক্রম করে আজ সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।

বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইনসাফের সুদক্ষ কর্ণধার, ত্যাগী সম্পাদক জনাব মাহফুজ খন্দকারকে। তার দৃঢ় প্রচেষ্টার ফল আজকের দৃশ্যমান ইনসাফ।

ইনসাফের সকল পাঠক, কলাকৌশলী, প্রতিনিধি, সংবাদ দাতা ও স্পন্সরদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। তাদের এ বিপ্লবী পথচলা সহজ হোক, আরো গতিশীল হোক। এটাই প্রত্যাশা করি।

হলুদ সাংবাদিকতার যুগে ইনসাফের সাংবাদিকরা সত্য নিউজ প্রচার করছে

0

মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান | দেওভান্ডার, দৌলখাঁড়, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা


দেশের ইসলামী ঘরানার অনলাইন ভিত্তিক প্রথম পত্রিকা ইনসাফকে অর্ধযুগ অতিক্রম করায় পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন।

হলুদ সাংবাদিকতার যুগে ইনসাফের সাংবাদিকরা শক্তিশালী ও সত্য নিউজ প্রচার করছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অন্যদের মডেল হবে ইনশাআল্লাহ।

একইসাথে তাদেরকে আহ্বান করি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকার এবং সাধারণ মানুষের সাথে থাকার।

আমি আশাকরি ইনসাফ কখনও সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ এই সৎকাজকে সহজ করে দিন আমীন।

ইনসাফ ইসলাম, দেশ, মাটি ও মানুষের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর

0

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী | সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক : ইনসাফ


আলহামদুলিল্লাহ সাত বছরে পদার্পণ করল গণমানুষের আস্থার প্রতীক ইনসাফ। ইনসাফ দেশের অনলাইন সংবাদপত্র শিল্পে সত্যিই বিপ্লব ঘটিয়েছে। ইনসাফ ইসলাম, দেশ, মাটি ও মানুষের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর। সত্যিই আস্থার প্রতীক হয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের প্রতি অবিচল থেকে ছয় বছর অতিক্রম করল।

অনলাইনে নতুন এসে চলার পথ মোটেও কুসুমাসত্তীর্ণ ছিল না। ইসলামের দীপ্ত শিখায় উদ্ভাসিত ইনসাফকে চলার এই পথের বাঁকে বাঁকে নানান সংকট, বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। ইনসাফ সম্পাদক প্রিয় মাহফুজ খন্দকারের নিরলস প্রচেষ্ঠায় চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছে এগিয়েই চলেছে, কোন সময় থেমে থাকেনি। নানা সমস্যা ও টানাপোড়নের মধ্যেও ‘ইনসাফ তথা সামাজিক ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। ইসলাম দেশ ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায়, নাস্তিক্যবাদ, আধিপত্যবাদ, হিন্দুত্ববাদ ও ইসলামবিদ্বেষী গোষ্টীর মুকাবেলায় গণমানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করায় সচেতন পাঠকদের জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ইসলামী ভাবধারা ও মূল্যবোধের ব্যাপারে আপোষ না করেই খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সকল মত ও পথকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আরো সমাদৄত হয়েছে।

আমাদের প্রিয় মাতৄভূমি বাংলাদেশকে আজ বিজাতীয় সংস্কৃতিচর্চা এবং নাস্তিকতার উর্বর ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। সংস্কৃতিচর্চার নামে উলঙ্গপনা ও তথাকথিত আধুনিক প্রগতিশীলতার নামে দেশে যখন মহান আল্লাহ তা’য়ালা, প্রিয় নবীজী সা., পবিত্র আল কুরআন, ইসলাম ধর্ম-আলেম-ওলামা-মাদরাসা শিক্ষা, পীর-মশায়েখ-দাড়ি-টুপি পরিহিত মানুষকে জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও তুচ্ছজ্ঞান করাই ছিল যখন মিডিয়াগুলোর নিয়মিত প্রচারনার আয়োজন সেই ২০১৩ সালের এই দিনে জন্ম নেয় তরুণ সম্পাদকের ইনসাফ। এমন একসময় ইনসাফের প্রতিষ্ঠা যে সময় দেশ জাতি ইসলমপ্রিয় জনতার জন্য এটি খুব প্রয়োজন ছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত ইনসাফ তার লক্ষ্য পথে অবিচল রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।

দেশের হাজারো অনলাইন মিডিয়ার ভিড়ে অগণিত পাঠকের সিক্ত ভালোবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস ইনসাফের চলার পথে আরো সাহস ও প্রেরণা যোগাবে। সবার সহযোগিতায় ইনসাফ আরও সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে সে প্রত্যাশা রইল।

ইনসাফের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী’র শুভেচ্ছা

0

মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী | মহাপরিচালক : জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর


আমি প্রথমে মহান আল্লাহ পাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে, বাংলাদেশের তৌহিদী জনতার ধারক বাহক, সবসময় হক্বের আওয়াজ বুলন্দে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমাদের ইনসাফ কর্মক্ষেত্রে ৬ বছর অতিক্রম করে ৭ম বর্ষে পা দিয়েছে।

আমি শুরু থেকেই ইনসাফকে চিনি, জানি। ২০১৪ সালের ৫ মে হাটহাজারী মাদরাসায় ইনসাফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আলহামদুলিল্লাহ সে সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। ইনসাফ যে প্রতিজ্ঞা নিয়ে যাত্রা করেছিল, তারা তা করে দেখাতে পেরেছে। হেফাজত, ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব কেন্দ্রীক খবরগুলো ইনসাফ খুব গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে। বাতিল মিডিয়া যেখানে সর্বদা ইসলামকে কলুষিত করতে ব্যস্ত, ইনসাফের এমন কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
আমি ইনসাফ পত্রিকার জন্য, পত্রিকার সম্পাদক ও সকল কর্মীবৃন্দের জন্য দু’আ করি। এ প্রতিষ্ঠানটি যেনো শতবছর পেরিয়ে হাজার বছর ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দ্বীনের খেদমত করে যেতে পারে।

সর্বস্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্নকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে ইনসাফ

0

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী | নায়েবে আমীর : খেলাফত আন্দোলন


বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ ষষ্ঠ বছর পেড়িয়ে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই শুভক্ষণে ইনসাফ সম্পাদক, সংবাদকর্মী, পাঠক এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর এবং দলের ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী।

এক শুভেচ্ছা বাণীতে মাওলানা হামিদী বলেন, ইনসাফ সূচনাকাল থেকেই ইসলাম ও ঈমানী চেতনাকে ধারণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দ্রুত পরিবেশনের মাধ্যমে অল্পদিনেই পাঠকের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ইসলামের মৌলিক বিষয় সমূহের প্রচার-প্রসার মুসলিম উম্মাহর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব খবরাখবর পরিবেশন এবং দেশ থেকে সর্ব প্রকার জুলুম- বর্বরতা অন্ধকারচ্ছন্নতা, সামাজিক অবক্ষয় রোধ এবং সর্বস্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা তথা ইসলামী আদর্শ ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে ধারণ করে এগিয়ে চলছে ইনসাফ।
মাওলানা হামিদী মহান আল্লাহর দরবারে ইনসাফ-এর উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

ইনসাফ হোক মানবতাবাদী মানুষের আস্থার প্রতীক

0

সাইফুর রহমান | সভাপতি : ছাত্র জমিয়ত


সুন্দর একটি পৃথিবীর প্রত্যাশা প্রতিটি মানুষের। সকলেই চায় একটি সুন্দর ও শান্তিময় পৃথিবী। মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি আর সফলতা নির্ভর করে এই সুন্দর পৃথিবীর উপর। কিন্তু বর্তমান সমাজের বাহ্যিক অবস্থা এর বিপরীত।

মানুষের ঘরে শান্তি নেই। সমাজে ইনসাফ নেই। রাষ্ট্রে ন্যায় নীতি নেই। নীতি নৈতিকতা অনেকটা সোনার হরিণ। সামাজিক অস্থিরতা, হতাশা, পেরেশানি কারো পিছু ছাড়ছে না। এর পিছনে মূল খলনায়কের ভুমিকা পালন করছে তথ্য সন্ত্রাস বা হলুদ সাংবাদিকতা। তারা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ভাবে সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে মানুষে মানুষে দ্বন্ধ লাগাচ্ছে। দেশে দেশে সংঘাত সৃষ্টি করছে। সু

পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ও মুসলমাদের ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে। শান্তি ও সম্পৃতির ধর্ম ইসলামকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। তদের মোকাবেলায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম প্রয়োজন। অতি প্রয়োজন। যারা ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলবে। সত্য-সঠিক সংবাদ প্রচার করবে। তথ্য সন্ত্রাস ও হলুদ সাংবাদিকতার ঠোঁট চেপে ধরবে।

সেই প্রয়োজন উপলব্ধি করে বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ঘরানার অনলাইন পত্রিকা ইনসাফ যাত্রা শুরু করে। যোগ্য সম্পাদক ও সুদজ্ঞ স্টাফদের নিরবিচ্ছিন প্রচেষ্টায় ইনসাফ অল্পদিনেই বিজ্ঞজনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পত্রিকাটি ষষ্ঠবর্ষ পূর্ণ করে সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। আমি ইনসাফের সম্পাদক, পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী সকলকে মোবারকবাদ জানাই। ইনসাফ এগিয়ে যাক দূর বহুদূর। এদেশের ইসলাম-মুসলমান ও মানবতাবাদী মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠুক। এই প্রত্যাশা।

সমাজের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইনসাফ

0

আলীমুছ ছাদাত চৌধুরী | চেয়ারম্যান, আলীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ওডাইরেক্টর, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি


বাংলাদেশের ইসলামী ঘরানার সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা ইনসাফের ষষ্ঠ বছর পূর্তিতে প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক, প্রকাশকসহ সকল সংবাদ কর্মীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

সমাজের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ইনসাফ। পত্রিকাটির এ ভূমিকা আগামী দিনে অব্যাহত থাকবে, এটাই আমার বিশ্বাস।

গণমাধ্যমের কল্যাণে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। ফলে মানুষ এখন গুরুত্বপূর্ণ খবর দ্রুত পেতে চায়। শুধু তা-ই নয়, মানুষ এখন খবরের পেছনের ঘটনাও জানতে চায়। এ প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক এবং সংবাদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগের চেয়ে বেশি দায়িত্ব সচেতন হতে হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রমী সাফল্যের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ইনসাফ।

ইনসাফের এ অগ্রযাত্রা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকুক- ইনসাফের ৭ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এটাই আমার প্রত্যাশা। আমি ইনসাফের সাফল্য কামনা করি।

রাজকীয় নিউজপোর্টালের গল্প

0

মুহাম্মাদ আফজাল হুসাইন | চেয়ারম্যান : ক্যারিয়ার বাংলাদেশ


সংবাদ পরিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যার উপর নির্ভর করে জাতির উন্নতি-অগ্রগতি। তবে তা হতে হয় বস্তুনিষ্ঠ ও সততানির্ভর। অন্যথায় তা হয় জাতি ধ্বংসের হাতিয়ার। চলমান বিশ্বে যা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে বস্তুনিষ্ঠ সৎ সাংবাদিকতা মানেই পাহাড়সম চ্যালেঞ্জের বিষয়। সেই দুর্গম পথ পাড়ি দিতে এগিয়ে এসেছে কিছু সাহসী সত্যান্বেষী তরুণ সাংবাদিক বন্ধু। যাদের মেধা মনন ও রুচির ভিন্নতা, বিষয়বৈচিত্র্য ইতিমধ্যেই গণমানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে আস্থা অর্জন করেছে বোদ্ধামহলের, আলেমসমাজের। সেই সারির অনলাইন নিউজপোর্টালের অগ্রপথিক ইনসাফ।

সাহসী তরুণ সম্পাদক সাইয়্যেদ মাহফুজ খন্দকারের সাথে আমার পরিচয় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যার আয়োজক তিনি। পাক্ষিক আড্ডালাপে। তারপর বেশ কয়েকটি আয়োজনেই অতিথি আলোচক হিসাবে আমার যাবার সুযোগ হয়েছে। সমকালের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আয়োজিত তার প্রায় সবগুলো আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম। বিশেষ করে ইসলামি ঘরানার মাঝে এমন আয়োজন বিরল বলা যায়। বিষয়, অতিথি, আয়োজন, উপস্থাপনা, ব্যবস্থাপনা সবখানেই একটা রাজকীয় ভাব ও ভিন্নতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা তারা আন্তরিকভাবে করে থাকেন বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে। বিশেষ করে তাদের উপস্থাপিত সংবাদের ভিডিও দেখে আমরা বেশ আপ্লুত। টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত সংবাদ উপস্থাপক সম্ভবত ইনসাফেই প্রথম দেখিয়েছে। উপস্থাপক রায়হানুল কবীর ও ফটোগ্রাফার আলাউদ্দীনের কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। তারা সকীয়তা ধরে রেখে ইসলামি ঘরানায় একটা নজির স্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে একটা মানসম্মত নিউজপোর্টালের প্রতিষ্ঠা ও গতিশীল রাখার জন্য সম্পাদক মহোদয়কে এ জন্যই ক্যারিয়ার বাংলাদেশ গুণীজন সংবার্ধনার তালিকায় এনেছে। এবং সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানের ব্যবস্থা করেছে।

সাংবাদিকতায় অর্ধযুগ পাড়ি দেওয়া খুব সোজা কথা নয়। সেই কঠিন বিষয়টা ইতিমধ্যেই রপ্ত করেছে ইনসাফ পরিবার। অর্ধযুগ পূর্তির এই শুভক্ষণে আমাদের স্মরণ করেছেন সম্পাদক মহোদয়। তাঁর নিরলস মেহনত ও নিবিড় অধ্যাবসায় তাকে একটা স্তরে উপনীত করেছে বলেই আমার বিশ্বাস। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ইনসাফের স্বপ্ন ডানা মেলে পৌঁছে যাবে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে এটা জোর দিয়েই বলা যায়।

দেশ ও জাতির এই দুর্দিনে, নীতিহীন এই অবক্ষয়ের কঠিন দুর্যোগে ইনসাফ সর্বত্র ইনসাফের কথা বলে যাবে দৃপ্ত প্রত্যয়ে, অসীম সাহসে, সুচিন্তিত কৌশলে এটাই আমাদের হৃদয়বীণার গুঞ্জরিত অনুরণন। আশা করি ইনসাফের মাধ্যমে তা উচ্চকিত হবে যথার্থরূপে, তেজোদ্বীপ্ত কণ্ঠে, পরিশীলিত শব্দে, তথ্যবহুল সংবাদ উপস্থাপনার মাধ্যমে।

নিত্য সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি ইনসাফ আয়োজন করে চলুক জাতি গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানমালা। অর্ধযুগ পূর্তিতে এটাই আমাদের ঐকান্তিক প্রত্যাশা। সম্পাদক ও অন্যান্য দায়িত্বশীল সবার প্রতি শুভ কামনা। প্রতিটি ক্ষেত্রে ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বীরদর্পে এগিয়ে যাক ইনসাফ।