গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ২৫৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ২৫৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক করোনা পরিস্থিতির সময় গণপরিবহনের ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
তিনি বলেন, গণপরিবহনে চলাচল করে মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই শ্রেণীর মানুষগুলো যে ব্যাপক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলা করছে এটা সকলেরই জানা। সুতরাং ভাড়া বৃদ্ধি করে জনগণের জীবনযাপনকে আরো সঙ্কটগ্রস্ত করবেন না।
আজ (৩১ মে) রোববার এক বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব আরো বলেন, পাঁচ মাস আগে ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের ব্যারেল প্রতি দাম ছিল ৬৪ ডলার, আর সেই তেল বর্তমানে ২৬ – ২৭ ডলারে নেমে এসেছে। সুতরাং গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি নয়, সরকারের কর্তব্য জ্বালানী তেলের দাম করোনাকালীন সময়ে অর্ধ্বেকে নামিয়ে এনে পরিবহন খাতের ব্যয় কমিয়ে আনা।
তিনি বলেন, যখন বিশ্ববাজারে ২০১৩-১৪ সালের দিকে ব্যারেল প্রতি ১০০ থেকে ১১০ ডলার ছিল, তখন দেশে জ্বালানী তেলের যে দাম ছিল, এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তার চেয়ে তিন চতুর্থাংশ দাম কমা সত্ত্বেও সেই ২০১৩-১৪ সালের সময়ের চেয়েও জ্বালানী তেলের দাম বেশি রয়ে গেল কেন? কেন তেলের দাম দ্বিগুণ, তিন গুণ বেশী নেওয়া হচ্ছে? রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের সেবা করা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা, জনগণ থেকে দ্বিগুণ তিনগুণ মুনাফা করা নয়।
আল্লামা কাসেমী বলেন, পরিবহনমালিকদের দাবির মুখে তড়িঘড়ি করে মাত্র এক ঘণ্টার বৈঠকে ব্যয়-বিশ্লেষণ এবং গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ না করেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা যাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কখনো যৌক্তিক আচরণ নয়। কারণ, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরিবহন খাতের মালিক-শ্রমিকেরা যেমন ক্ষতির মুখে পড়েছেন, সাধারণ মানুষও তো ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপ ও সঙ্কটের মুখে আছেন। পরিবহন মালিকদের সঙ্কট সরকার দেখবে না সেটা বলছি না, তবে তার আগে তো জনগণের পরিস্থিতি ও স্বার্থটা দেখতে হবে।
জমিয়ত মহাসচিব সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রথমত: পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখুন পরিবহনগুলো কতটা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে এবং এতে পরিবহন মালিকদের কতটা বাস্তবিক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। যদি বাস্তবিকই তাদের উপর আর্থিক চাপ পড়ে, তাহলে জ্বালানী তেল থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ মুনাফা না করে তেলের দাম অন্তত: করোনাকালে অর্ধেকে নামিয়ে এনে পরিবহন মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিন। এ পর্যায়ে বিভিন্ন সড়ক ও সেতুর টোল আদায় কয়েক মাসের জন্য স্থগিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি সড়কে দ্বিমুখী, ত্রিমুখী চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিন।
তিনি বলেন, কেবল পরিবহনগুলোর উপর থেকে সড়কের চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও বর্তমান ভাড়ায় লাভ করা সম্ভব বলে পরিবহনখাত সংশ্লিষ্ট অনেকেই পত্রিকায় অভিমত দিয়েছেন।
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
রোববার ঘোষিত ফল থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
এদিন বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর শূন্য শতাংশ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০৪টি, গত বছর যা ছিল ১০৭টি। কমেছে তিনটি। এটা ভালো খবর।
শূন্য শতাংশ পাস প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ওই সব প্রতিষ্ঠান কেন ফল খারাপ করল সেসব বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সেখানে ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ২২, আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৪৫ জন। দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৩, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩ জন।
এ ছাড়া সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ২৬২ জন, ময়মনসিংহে পাসের হার ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৪৩৪ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ, জিপিএস-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৮ জন। রাজশাহীতে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ১৬৭ জন।
এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ৩ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খুলে দেওয়া হবে না, আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা হবে।
রোববার (৩১ মে) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের ফল ঘোষণা শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে আমরা ধাপে ধাপে এগুতে চাচ্ছি। অফিস সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হয়েছে, গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই উন্মুক্ত করবো না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ধাপে ধাপে এগুতে চাচ্ছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই উন্মুক্ত করব না। এখন যে অবস্থা রয়েছে, এই অবস্থার উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করব।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাই মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। আমার বিশ্বাস, এই করোনাভাইরাসের আঘাত থেকে শিগগিরই বিশ্ব মুক্তি পাবে, বাংলাদেশও মুক্তি পাবে। যেকোনো সংকটে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাসটাই বড়। মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। করোনাভাইরাসসহ যেকোনো দুর্যোগে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো ঝড়-ঝাপটা আসুক, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমরা মোকাবিলা করব। এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাব।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারে গড় পাসের হার ৮২.৮৭ শতাংশ।
গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এবার তা বেড়ে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফেসবুক লাইভে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
এর আগে পরপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।
এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানানো হবে না। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।তবে পরীক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, ঢাকা বোর্ডের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট এবং এসএমএসে ফল জানতে পারবে। এসএমএসে দু’ভাবে ফল জানানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
ফল প্রকাশের পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল চলে যাবে। এই পদ্ধতিতে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ঝক্কিতে পড়ে বলে অভিযোগ আছে। এ কারণে এবার ফল প্রকাশের পরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএসে শিক্ষার্থীর বাসায় মোবাইল ফোনে তা (পরীক্ষার ফল) পৌঁছানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের রোলনম্বর প্রাক-নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
জানা গেছে, যে কোনো মোবাইল অপারেটরের নম্বর থেকেই প্রাক-নিবন্ধন করা যাচ্ছে। এজন্য টেলিটকের সিম বাধ্যতামূলক নয়। নিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীকে তার SSC পরীক্ষার Board-এর নামের প্রথম তিন অক্ষর (যেমন ঢাকা হলে DHA), এরপর পরীক্ষার Roll ও পরীক্ষার Year লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতি এসএমএসের জন্য দুই টাকা চার্জ নেয়া হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। সেই হিসাবে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে ফল তৈরির কাজ বন্ধ ছিল।
ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | আরিফ মুসতাহসান
বাহিরে থাকাকালীন সময়ে মাস্ক পরিধান না করলে ১০০০ রিয়েল জরিমানা ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার।
শনিবার (৩০ মে) সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেয়।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে শুরু থেকেই একের পর এক সচেতনতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে সৌদি সরকার। এতে বেশ সফল সৌদি। ইতিমধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে দেশটিতে।
সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৮৩,৩৮৪ জনের করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৫৮,৮৮৩ এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৪৮০ জনের। বর্তমানে সক্রিয় রোগী ২৪,০২১ জনের মাঝে ৩৮৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কোভিড ১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে এবার ইলেকট্রনিক মাস্ক তৈরি করেছেন তুরস্কের দুইজন চিকিৎসক।
তাদের দাবি, বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর পাশাপাশি এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের জীবাণুও ধ্বংস করা যাবে। খবড় আনাদোলু এজেন্সির।
ইলেকট্রনিক এই মাস্কে জীবাণু মারতে সক্ষম আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও ইলেকট্রিক্যাল সিলভার বেস ব্যবহার করা হয়েছে। এটি পরা থাকলে করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসযন্ত্র, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে জীবাণু ছড়াতে পারবে না।
সেন্ট্রাল তুরস্কের আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ডাক্তার তাদের চলমান প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই মাস্ক তৈরি করেছেন।
তাদের একজন ডাক্তার তারিক ইলমাজ মাস্কের বিষয়ে বলেন, মাস্কের মধ্যে আমরা একটা ফিল্টার তৈরি করেছি যেটা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করে পরিস্কার থাকবে। ফিল্টারে কোনো ভাইরাস ধরা পড়লে সেটাকে ধ্বংস করবে। ইতিমধ্যে আমরা এটার মেধাস্বত্ত্ব পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছি। তা পেয়ে গেলেই আমরা এটা উন্মুক্ত করবো।
সিলেট জেলায় আরও ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে দিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫শ’ ছাড়িয়েছে।
এনিয়ে এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৩৫ জনের।
শনিবার এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় শনিবার আরও ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনির সদস্যরাও রয়েছেন।
এছাড়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
শনিবার শাবির ল্যাবে ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ২৫ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শনাক্ত হওয়া সকলেই সিলেট জেলার।
ওসমানীর ল্যাবের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, শনিবার মোট ১৮০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৪৯টি পজেটিভ এসেছে। শনাক্ত হওয়ারা সিলেট নগরী, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
শনিবারের ৪৯ জন সহ সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ৮৪৮ জনের। এরমধ্যে সিলেট জেলার রোগী সংখ্যা ৫৩৫ জন, সুনামগঞ্জে ১৪৪ জন, হবিগঞ্জে ১৭১ জন ও মৌলভীবাজারে ৯৮ জন জন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ-এর এক জরুরি অধিবেশন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার এর সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী।
নির্ধারিত আলোচ্যসূচির উপর সারাদেশের বিভিন্ন থানা, জেলা ও মহানগরে অবস্থানরত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এতে সংযুক্ত হয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন।
নেতৃবৃন্দ দলের সকল নেতাকর্মী সহ দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
নেতৃবৃন্দ দেশের চলমান এই সংকট উত্তরণে সকলে কে সাস্থ্য বিধি মেনে চলারও আহবান জানান।
সভায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমূহের মাঝে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সর্বাত্মক সুষ্ঠু ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জোর দাবী জানানো হয়।
সমাপনী বক্তব্যে দলের আমীর অবিলম্বে সকল কওমী মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাদরাসাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
উক্ত মিটিয়ে আরও সংযুক্ত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল আবদুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ মাওলানা সালামত উল্লাহ, অধ্যক্ষ মনজুরুল কাদের চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব মাওলানাআজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ইলিয়াস খান, সংগঠন সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের খান, দফতর সচিব মুফতী দ্বীনে আলম হারুনী, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক, সাহিত্য বিষয়ক সচিব মুফতী শরীফুর রহমান, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সচিব মাওলানা এরশাদ বিন জালাল, কৃষি বিষয়ক সচিব মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, আরব আমিরাত শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব নজীর আহমদ, ছাত্রর বিষয়ক সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব মাওলানা মহামুদুল হক লোহাগড়া, মাওলানা আফতাবউদ্দীন, নির্বাহী সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেকুল মাওলা, মাওলানা কামরুল ইসলাম ফরিদপুরী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা সাইফুল মালেক, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি আতিকুররহমান সিদ্দিকী, মহাসচিব এহতেশামুল হক সাখী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | আফসার হোসাইন জুবাইর
নোয়াখালীতে দিনদিন বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
এদিকে সেনবাগের ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে একই পরিবারে ৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেব।
করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে মায়ের দোয়া ব্রিক্সের মালিক অলি কোম্পানি ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর মারা যান।
এরপর তার পরিবারের বাকি সদস্যদের করোনা টেস্ট করা হলে ৫জনের করোনা শনাক্ত হয়। নতুন করে যারা আক্রান্তরা হলেন- ফিরোজা, রাকিব, তাসমিনা, তৌহিদ, মর্জিনা।