Home Blog Page 4651

হাঁটু গেড়ে বিক্ষোভে সংহতি জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো

0

আমেরিকার মিনিয়াপলিসে পুলিশি হেফাজতে কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যা ও বিশ্বজুড়ে বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে কানাডায় আয়োজিত একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

শুক্রবার রাজধানী অটোয়ায় পার্লামেন্ট হিলের বিক্ষোভে কালো মাস্ক পরে হাজির হন তিনি। এ

সময় তিনি মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন ট্রুডো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখবর জানিয়েছে।

ট্রুডোর সংহতি জানানোর ঘটনা ঘটলো যখন ওই দিন আগে তিনি বিক্ষোভে অংশগ্রহনের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বিক্ষোভে হাজির হন। এসময় তার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন।

শুক্রবারের বিক্ষোভ আয়োজন করে ‘নো পিস আনটিল জাস্টিস’ নামের একটি সংগঠন। প্রতিবাদকারীরা ৯ মিনিট নিরবতা পালন করেন। মিনিয়াপলিশের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌবিন ৯ মিনিট জর্জ ফ্লয়েডের গলায় হাঁটু চাপা দিয়েছিলেন।

এই নীরবতা পালনের সময় অনেক বিক্ষোভকারী হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে পড়েন। কানাডার প্রধানমন্ত্রীও তাতে যোগ দেন।

আমেরিকায় পুলিশের স্পেশাল টিম থেকে ৫৭ কর্মকর্তার পদত্যাগ

0

আমেরিকার নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে পুলিশের স্পেশাল টিম থেকে একযোগে পদত্যাগ করেছেন ৫৭ জন কর্মকর্তা।

পদত্যাগকারিরা বাহিনীর ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের সদস্য ছিলেন।

এর আগে একজন বয়স্ক নাগরিকের সঙ্গে নির্দয় আচরণের দায়ে দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। ওই বরখাস্তের পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ৫৭ কর্মকর্তা।

তবে তারা শুধু ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম থেকে পদত্যাগ করেছেন, পুলিশ বাহিনী থেকে নয়।

শুক্রবার এ বিষয়ে অবগত একটি সূত্র সিএনএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

৭৫ বছরের একজন শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ওই দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

একজন প্রবীণ নাগরিকের সঙ্গে দুই কর্মকর্তার ন্যাক্কারজনক আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন

0

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন।

আজ (শনিবার) সকালে নাসিমের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘উনার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে আছেন তিনি।

তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর উনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এরপর চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।

দেশবাসীর কাছে মোহাম্মদ নাসিমের জন্য দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।

করোনা আক্রান্ত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার ভোররাতে ব্রেইন স্ট্রোক করলে জরুরি-ভিত্তিতে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

ব্রেইন স্ট্রোক করায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।

রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ১ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

শুধু ঢাকাতেই করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৭ লাখের বেশি: ইকোনমিস্ট

0

শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট।

শুক্রবার আইসিডিডিআরবির বরাত দিয়ে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছে লন্ডনের এই সাময়িকী।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকারিভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের যে সংখ্যা জানানো হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভারত, পাকিস্তানেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি।

‘বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ইকোনমিস্ট বলছে, কম পরীক্ষার অর্থই হচ্ছে- প্রকৃত চিত্র আরও বেশি খারাপ হতে পারে।

ইকোনমিস্ট বলছে, আইসিডিডিআর,বির কর্মকর্তা জন ক্লেমেনসের অনুমান, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়ে থাকতে পারে। তবে সরকারের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৯১ জন; যাদের প্রায় অর্ধেকই ঢাকার।

ব্রিটিশ এই সাময়িকী বলছে, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত লকডাউনের বিধি-নিষেধের বেশিরভাগই গত সপ্তাহ থেকে তুলে নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারত। ১৭০ কোটি মানুষকে মুক্ত করে দেয়ায় বিপর্যস্ত অর্থনীতির এই অঞ্চলের এক পঞ্চমাংশ স্বস্তিতে ফিরবে। কিন্তু লকডাউন প্রত্যাহার করে নেয়ায় সংক্রমণ আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে।

ইকোনমিস্ট বলছে, তিন দেশে সরকারিভাবে প্রকাশিত সাড়ে ৩ লাখের বেশি আক্রান্ত এবং প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে পরিসংখ্যানকে অপেক্ষাকৃত পরিমিত দেখাচ্ছে। তবে এখনও অনেক মানুষ আক্রান্ত হলেও গণনার বাইরে রয়েছেন; লকডাউন প্রত্যাহারের আগে থেকেই তা নিয়ে ভয় ছিল। এখন সেই ভয় আরও বাড়ছে।

‘বর্তমান ধারায় প্রতি দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। তবে কিছু মডেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, এই অঞ্চলে করোনা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছাবে আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে সরকারি পরিসংখ্যানেও আক্রান্ত ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে এবং মৃত্যু ছাড়াতে পারে দেড় লাখ।’

পাকিস্তানে কর্মরত বিদেশি এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, সরকারিভাবে করোনায় মৃত্যুর যে সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে, বাস্তবে মৃতের সংখ্যা তার দুই থেকে তিনগুণ বেশি। এই অঞ্চলের মারাত্মক আক্রান্ত অংশগুলোতে ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তীব্র চাপের মধ্যে পড়েছে।

মুম্বাইয়ের থান শহরের ৪৬ বছর বয়সী নার্স মাধুরী এপ্রিলের শুরু থেকেই কোনও ধরনের ছুটি ছাড়াই হাসপাতালে টানা ১২ ঘণ্টা ডিউটি পালন করছেন। মে মাসে কোভিড-১৯ রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন।

ভারতে রাজধানী দিল্লিতে অন্তত ৬০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; যাদের মধ্যে ৩২৯ জনই দেশটির শীর্ষ মেডিক্যাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের। দেশটির সব অঞ্চলেই এখন দ্রুতগতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে।

পাকিস্তানের চিকিৎসকরা বলেছেন, দেশটির হাসপাতালে পর্যাপ্তসংখ্যক শয্যা আছে বলে সরকার যে দাবি করছে, তা একেবারে ভিত্তিহীন। পাকিস্তান মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের নেতা কায়সার সাজ্জাদ বলেন, পরিস্থিতি খুব, খুবই বাজে।

করোনা সঙ্কটের কারণে ইতোমধ্যে এই অঞ্চলের অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে। ভারতে প্রত্যেক বছর যক্ষায় প্রায় ৪ লাখ মানুষ মারা যায়; করোনা সঙ্কট শুরুর পর এই রোগের চিকিৎসাও থমকে গেছে।

অঞ্চলটির ধনীরা স্বাভাবিক সময়ে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু বর্তমানে সেই উপায় নেই। ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ইকোনমিস্টকে বলেছেন, একটু বেশি হাঁচি হলেই তারা (ধনীরা) থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর অথবা ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতেন। কিন্তু বর্তমানে কোভিড-১৯ বা অন্যান্য অসুস্থতা নিয়েও দেশের অভিজাত হাসপাতালগুলোতেও তাদের ভর্তি হওয়া প্রায় অসম্ভব।

মর্গে, কবর স্থানে এবং শ্মশানঘাটে জায়গা খুঁজে পাওয়াও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার উপকণ্ঠে নারায়ণগঞ্জের একটি পৌরসভার কবরস্থানে স্বাভাবিক সময়ে আড়াইশর মতো মানুষকে দাফন করা হয়। কিন্তু গত মাসে এই কবরস্থানে ৫৭৫ জনকে দাফন করা হয়েছে; যাদের মধ্যে মাত্র ৭০ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন বলে সরকারি হিসেবে বলা হয়েছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কবর খনন কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফরিদ উদ্দিন বলেন, কারণ যাই হোক না কেন, ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। অশ্রুসজল চোখে তিনি বলেন, গত চারদিন ধরে তিনি এবং তার দলের সদস্যরা ঘুমানোর সময় পাচ্ছেন না।

তিনি আরও বলেন, অনেক বেশি মৃত্যু। আমাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়েছে। দয়া করে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন যেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের ক্ষমা করে দেন এবং রোগটিকে তুলে নেন।

নাইক্ষ্যংছড়ির মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির উচ্চ সতর্কতা

0

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলিবর্ষণে ২ জন নিহতের ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তমব্রু ইউনিয়নে উচ্চ সতর্কতা দিয়েছে বিজিবি।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ গণমাধ্যমকে এতথ্য জানিয়েছেন ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার তুমব্রু সীমান্তের বাজাবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অপর পাশের ৫-৬ কিলোমিটার দূরে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দে নোম্যান্স-ল্যান্ডে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সংঘাতে ২ জন নিহত হয়। তবে তারা শসস্ত্র সন্ত্রাসী নাকি বিজিপির সদস্য সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ আরও বলেন, তাদের ঘটনার কোনো রিঅ্যাকশন আমাদের সীমান্তে না আসে সেজন্য সীমান্তেজুড়ে সবাই হাই এলার্টে আছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটলেও এসময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো গোলাবারুদ এসে পড়েনি।

জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরের রেংমং টিলা এলাকায় হারাকাহ আল ইয়াকিন এর বিরুদ্ধে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করছিল বিজিপি। সীমান্তে এ ধরনের অভিযানের সময় প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত বাহিনীকে আগাম তথ্য প্রদানের নিয়ম থাকলেও তা অবহিত করা হয়নি বিজিবিকে।

এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তজুড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

ভারত সীমান্তে নতুন সেনা কমান্ডার মোতায়েন করেছেন চীন

0

নিজ সীমান্তে সেনা উপস্থিতি জোরদার করেছে ভারত ও চীন। এরই মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নতুন সেনা কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছে চীন।

লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চীন উভয়ে সেনা মোতায়েন বাড়ালেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছিল। কিন্তু এরমধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছেন জেনারেল জু ওইলিং।

এই নিয়োগে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়বে বলে আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলের।

জু ওইলিং এর আগেও ওই অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার পদে ছিলেন। ফলে অনেক কিছুই তার পরিচিত এবং নখদর্পণে।

জেনারেল জু ওইলিং জেনারেল ঝাও জোংকির অধীনে কাজ করবেন। ঝাও এক সময় ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের কমান্ডার ছিলেন। তিনি পদাতিক, বিমান বাহিনী এবং রকেট ফোর্সের পুরো বিষয় দেখভাল করতেন। চীনা সেনাবাহিনীর পাঁচটি থিয়েটারের মধ্যে এই ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের ওপর ভারত-চীন সীমান্তের নিরাপত্তার ভার ন্যস্ত।

২০১৭ সালে যখন ডোকালাম সীমান্তে কয়েক মাস ধরে ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চলছিল তখনও ওয়েস্টার্ন থিয়েটারের দায়িত্বে ছিলেন এই জেনারেল ঝাও।

তিনি চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ভারত সীমান্ত নিয়ে জেনারেল ঝাও জোংকি এবং জেনারেল জু ওইলিং সিদ্ধান্ত নেবেন।

ধারণা করা হচ্ছে, কৌশলগত কারণে চীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের আগে জু ওইলিংয়ের নিয়োগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মত সামরিক বিশ্লেষকদের।

ভারত আগুন নিয়ে খেলছে, যার ফল তাদের ভুগতে হবে: চীন

0

লাদাখ সীমান্তে সৈন্য-সামন্ত সমাবেশ ঘিরে প্রতিবেশি দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশ চীন এবং ভারতের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে।

সীমান্ত বিবাদের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ এর অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বেইজিং৷

চীন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলছে, “ভারত আগুন নিয়ে খেলছে, যার ফল তাদের ভুগতে হবে।”

চীন সরকারের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত গ্লোবাল টাইমস এক প্রতিবেদনে বলছে, ভারত, রাশিয়া এবং অন্য কয়েকটি দেশকে জি-৭ এ অন্তর্ভুক্ত করে এই গোষ্ঠীকে জি-১০ বা জি-১১ হিসেবে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর লাভ হলেও ভারতের ক্ষতি হবে। ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনার সুযোগ নিয়ে বেইজিংকে আরও চাপে রাখতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও দাবি করেছে গ্লোবাল টাইমস।

এই সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতিতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম।

গ্লোবাল টাইমস ভারতের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতালোভী বলেও কটাক্ষ করেছে। পত্রিকাটি বলছে, এ কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের চক্রান্ত ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বুঝতে পারছে না। এছাড়া সীমান্ত বিবাদ নিয়ে দর কষাকষিতে নিজেদের আরও শক্তিশালী প্রমাণ করতেই আমেরিকার মতো দেশের সাহায্য ভারত নিতে চাইছে। ভারতে বেশ কিছু সংগঠন চীনের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ালেও বিজেপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এশিয়ায় চীনের প্রভাব যত বাড়ছে, দুনিয়াজুড়ে ততই দেশটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করে গ্লোবাল টাইমস বলছে, চীনের প্রভাব কমাতেই জি-৭ সম্প্রসারিত করার কূটকৌশল হাতে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চীনের সরকারি এই সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, বেইজিং ক্রমাগতভাবে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও নয়াদিল্লি তাদের শত্রু মনে করে। এ কারণে দু’দেশের মধ্যে থেমে থেমেই উত্তেজনা তৈরি হয়। বন্ধুত্বের বদলে চীনের সঙ্গে শত্রুতা করলে তার বড় ধরনের খেসারত ভারতকে দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

আমেরিকার সঙ্গে চীনের সংঘাত চূড়ান্ত রূপ নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধের দিকে গড়ালে ভারত যদি আমেরিকার পক্ষ নেয়, তাহলে তার ফল খারাপ হবে বলে কিছুদিন আগেও সতর্ক করে দিয়েছিল বেইজিং।

দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন সরকারের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত গ্লোবাল টাইমস।

পরিবারের ছয় সদস্যসহ করোনায় আক্রান্ত বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজ

0

চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও পরিবারের ছয় সদস্যসহ তার বাড়ির মোট ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

তারা চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ রহমান নগর এলাকার বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল জানিয়েছেন।

তারা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার জানতে পারলেও বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় শুক্রবার।

রাসেল বলেন, সাংসদ মোস্তাফিজুর, তার স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি ও এক জামাতা, তিন গৃহ পরিচারিকা ও তার নিজের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ এসেছে। আমরা সবাই এখনও সুস্থ আছি। কারো তেমন কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতে চিকিৎসা নিচ্ছি, স্যারও ভালো আছেন।

করোনা রিপোর্ট না থাকায় ভারতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফিরিয়ে দিল বিজিবি

0

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদন না পাওয়ায় ভারতের আসামে নিহত বাংলাদেশি যুবক রণজিৎ রিকমনের (৩৫) লাশ গ্রহণ করেনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তার লাশ হস্তান্তরের জন্য সিলেটের বিয়ানীবাজারের শ্যাওলা সীমান্তে নিয়ে আসে।

রণজিতের বাড়ি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা–বাগানের তাঁতীপাড়া এলাকায়। তিনি ওই বাগানের শ্রমিক ছিলেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১ জুন আসাম রাজ্যের পাথারকান্দি থানার পুতনিছড়া চা-বাগান এলাকায় ভারতীয়রা চুরির অভিযোগ এনে পিটুনি দেয়। এতে রণজিৎ ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তিনজন। এদের মধ্যে একজন হলেন জুড়ীর গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা মুলেম মুন্ডা (৩৬)। বাকি দুজন ভারতীয় নাগরিক।

পরে পুলিশ হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পাথারকান্দি থানায় মামলাও হয়।

ওই দিন রাতে বিএসএফের ১৩৪ ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশি দুই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সীমান্তের বিপরীতে অবস্থিত বিজিবির জুড়ীর লাঠিটিলা ক্যাম্পে একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে রণজিৎ ও মুলেমের নাম-ঠিকানা ভুল থাকায় প্রথমে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

পরে বিজিবি ও পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান চালিয়ে রণজিৎ ও মুলেম কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পায়।

এ ছাড়া আসামের ঘটনা নিয়ে সেখানকার গণমাধ্যমে হতাহত ব্যক্তিদের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় বিজিবি ও পুলিশ এসব ছবি সংগ্রহ করে। এরপর বুধবার সকালে তারা দুজনের ছবি নিয়ে তাঁদের বাড়িতে যায়। এ সময় স্বজনেরা তাঁদের শনাক্ত করেন।

বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিএসএফের একটি দল রণজিতের লাশ নিয়ে শ্যাওলা সীমান্তে পৌঁছায়। এ সময় সেখানে বিজিবি, বিএসএফ, পুলিশ, চিকিৎসক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত রণজিতের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটের বিয়ানীবাজারে অবস্থিত বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিএসএফের কাছে আগেই নিহত রণজিতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, মামলার এজাহারের কপি ও করোনা পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদন চেয়েছিলাম। গণপিটুনির সময় অনেক লোকের সংস্পর্শে আসায় রনজিতের করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএসএফের কর্মকর্তারা বলেন, রণজিতের লাশের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। প্রতিবেদন পেতে অন্তত দুই দিন সময় লাগবে। তাই লাশ গ্রহণ করিনি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা লাশ গ্রহণ করব। পরে বিএসএফ লাশ নিয়ে ফিরে যায়। আমরাও ফিরে আসি।’

সিলেটে বিনা চিকিৎসায় তৃতীয় ব্যক্তি মৃত্যুর পর সমালোচনার ঝড়

0

এবার চার হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে সিলেটে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (০৫ জুন) ভোরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি বন্দরবাজারের ব্যবসায়ী আরএল ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী সিলেট নগরের কুমারপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন খোকা (৫৪)।

এর আগে গত ১ জুন নগরীর ছয়টি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান কাজিরবাজার মোগলটুলা এলাকার লেচু মিয়ার স্ত্রী মনোয়ার বেগম (৬৩)। মারা যাওয়া ওই নারী অ্যাজমাজনিত রোগের কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

এছাড়া গত ৩১ মে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভোগা নগরীর কাজীটুলা এলাকার বাসিন্দা এক নারী অসুস্থ হলে নগরীর পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান।

সর্বশেষ ৫ জুন ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন খোকার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর পর নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হলেও প্রায় একই ধরণের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ আর উদ্বেগ।

ইকবাল হোসেনের মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে তার ছেলে তিহাম হোসেন বলেন, আমার মতো অন্য কেউ যেন তার বাবাকে বিনা চিকিৎসায় না হারান। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিহাম।

তিনি বলেন, কোটি টাকা খরচ দেব বলেছি। বাবার চিকিৎসা করতে চিকিৎসকদের কাছে মিনতি করেছি। বলেছি, আমার বাবা শ্বাস নিতে পারছেন না। তাকে দয়া করে একটু অক্সিজেন দেন। কোনো হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়নি। এমনকি এক বোতল অক্সিজেনও দেয়নি।

তিহাম আরও বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাবার বুকব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন সোবাহানীঘাট এলাকায় অবস্থিত আল হারামাইন হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কল করি। অ্যাম্বুলেন্স বাসায় আসার পর দেখি, অক্সিজেন সিস্টেম ভাঙা। এ অবস্থায় বাবাকে আল হারামাইন হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বার বার তাদের অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলেও রোগীকে রেখে নিয়মকানুন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান তারা। একপর্যায়ে জানান তারা রোগীকে রাখবেন না, নর্থ ইস্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। অনেক অনুরোধের পরও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেননি তারা।

“এরপর বাবাকে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট হাসপাতালে যাই। সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের হাসপাতালে সিট নেই, রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। তখন পরিচিত এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি পরামর্শ দেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য।” যোগ করেন তিনি।

“শামসুদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে সবকিছু বন্ধ দেখতে পাই। ১০-১৫ মিনিট পর এক নিরাপত্তাকর্মী গেটে এসে জানান হাসপাতালের সবাই ঘুমে। অন্য কোথাও রোগীকে নিয়ে যান। তখন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওনা হই। সেখানে জরুরি বিভাগে যাওয়ার পর রোগীকে সিসিইউতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তারা। সেখানে ওয়ার্ডের ভেতরে না নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় একটি ইসিজি করা হয়। এরপরই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।” বলছিলেন তিহাম।

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও রোগী ভর্তি করছে না সিলেটের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল।

এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করে ক্ষোভ ঝাড়ছেন অনেকে। বিনা চিকিৎসায় যেন আর কারো মৃত্যু না হয় সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন

৭ হাসপাতাল ঘুরে বিনা চিকিৎসায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেলেন সিলেটের আরও এক নারী