Home Blog Page 4665

সিলেটে আরও ৩২ করোনা রোগী শনাক্ত

0

সিলেটে বিভাগে নতুন করে আরও ৩২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন সিলেট জেলার, ১১ জন হবিগঞ্জ, ২ জন মৌলভীবাজার ও একজন সুনামগঞ্জ জেলার।

শনিবার (১৬ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই তিন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

সিলেটে বিভাগে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ৩০ জনের মধ্যে সিলেটের ১৮ জনের খবর নিশ্চিত করেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

অন্যদিকে হবিগঞ্জে নতুন আক্রান্ত হওয়া ১১ রোগীর তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মখলিসুর রহমান।

এছাড়া সুনামগঞ্জে একজন আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন। একইদিনে মৌলভীবাজারে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

সিলেটের নতুন আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জনই জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার জানিয়ে ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, শনিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত লিমার চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়। যার মধ্যে ১৮টি পজিটিভ আসে। এদের বেশির ভাগই গোলাপগঞ্জ উপজেলার।

আর বাকিরা সিলেট নগরের স্বাস্থ্যকর্মী। এদের মধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই সেবিকা ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সেবাদান কেন্দ্র সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের ১ জন ব্রাদার রয়েছেন। তবে বাকী অন্য জনের তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে হবিগঞ্জে নতুন আক্রান্ত হওয়া ১১ রোগীর তথ্য নিশ্চিত করে জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মখলিসুর রহমান বলেন, রাতে ঢাকার আগারগাঁওস্থ ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি এন্ড রেফারেল সেন্টার থেকে এই ১১ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে বলে আমাদের নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে সদর উপজেলার ৯ জন ও বানিয়াচং উপজেলায় দুইজন করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ বলেও জানান তিনি।

এদিন সিলেট বিভাগের আরেক জেলা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন। কিন্তু তিনি কোন ল্যাবের পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

একইদিনে মৌলভীবাজার জেলায় নতুন করে দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হওয়া দুজনই জুড়ী উপজেলার। এদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।

সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত ৩৯১ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৩৪ জন, সুনামগঞ্জে ৬৯ জন, হবিগঞ্জে ১২৯ জন ও মৌলভীবাজারে ৫৯ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬৯ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৪১ জন।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

0

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম আমফান।

প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে এটি বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অভিমুখে এগোচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর প্রবল উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৬ মে) দিনগত মধ্যরাতে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নেয়।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’-এ পরিণত হয়েছে। এটি ১৬ মে রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৯০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি প্রথমে উড়িষ্যার দিকে থাকলেও অভিমুখ কিছুটা পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যাবে। আরও সরে গিয়ে বাংলাদেশের উপকূলে সরাসরি আঘাত হানবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তবে বর্তমানে যে গতিমুখ রয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে খুলনা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়।

করোনার প্রাদুর্ভাবে ৮০ টি দেশে চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে তুরস্ক

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | নাহিয়ান হাসান


বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে ৮০ টি দেশে চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে রজব তাইয়েব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন তুরস্ক।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ফুয়াত ওক্তাই’ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারী বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রচেষ্টায় অবদানের অংশ হিসাবে তুরস্ক ৮০ টি দেশে চিকিৎসা সহায়তা প্রেরণ করেছে।

এক অনলাইন ইন্টারভিউতে ‘ওক্তাই’ বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৮০ টি দেশকে সহায়তা করার সুযোগ পেয়েছি। সেই দেশগুলোর মূল চাহিদা ছিল ফেস মাস্ক,হ্যান্ড গ্লাভস এবং ভেন্টিলেটর।

তিনি বলেন, বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ দেশ বা প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি রাষ্ট্র তুরস্কের কাছ থেকে সহায়তা চেয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সহায়তা স্বরূপ তুরস্কের চিকিৎসা সরঞ্জামাদির দ্বিতীয় চালান লিবিয়ায় এসে পৌঁছেছে।

কূটনৈতিক সূত্র মতে, ত্রিপোলিতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ‘সেরহাত’ আকসেন ব্যক্তিগতভাবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের জরুরি অবস্থা প্রশাসনের ‘তৌফিক হরিশা’র কাছে মেডিকেল সরঞ্জামাদি হস্তান্তর করেছিলেন।

এছাড়াও তারা তুরস্কের সহায়তার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সহায়তা করার জন্য ‘হারিশা’ আঙ্কারাকে ধন্যবাদ জানায়।

১১ এপ্রিল ভাইরাসটির বিস্তার রোধে তুরস্ক যুদ্ধ-ক্ষতিগ্রস্থ উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে তাদের প্রথম চিকিৎসা সামগ্রীর চালান পাঠিয়েছিল।

আঙ্কারা, তিউনিসিয়ায় চিকিৎসা সহায়তা সম্বলিত তার দ্বিতীয় চালান ও পাঠিয়েছে। যা ৮ ই মে তিউনিসিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। সেই চালানের মধ্যে ছিল সার্জিক্যাল মাস্ক, পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট, জীবাণুনাশক, গগলস, ফেস মাস্ক এবং ফেসশীল্ড।

অন্যদিকে মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের যাতায়াত সহজ করার জন্য তুর্কি সরকার উগান্ডার ‘কোভিড-১৯ জাতীয় টাস্কফোর্সকে’ ১০০টি সাইকেলও অনুদান দিয়েছিল।

উগান্ডায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত কেরেম আল্প বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সাইকেলের চালানটি টাস্কফোর্সের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
উল্লেখ্য, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কোভিড -১৯ মোকাবিলার জন্য ত্রাণ ও বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম সামগ্রী জোগাড় করার জন্য টাস্কফোর্স নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

‘আল্প’ বলেছেন, মহামারীকে কার্যকরি ভাবে প্রতিহত করতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে উগান্ডার প্রেসিডেন্টের সহায়তার আহবানে তার রাষ্ট্র তুরষ্ক সাড়া দিয়েছে।

সাইকেলগুলি সেম্বাবুল এবং কিটগাম জেলাগুলিতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য যাতায়াত সহজ করবে কেনোনা সেখানে লড়াইয়ের সম্মুখভাগে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের হাসপাতালে পরিবহনের অভাব রয়েছে। ‘আল্পে’র তথ্যমতে, সাইকেল গুলো মহিলা ও পুরুষ উভয়ের উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী রুহাকানা রুগুন্দা কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে যে ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে তা সমর্থন করার জন্য ম্যাসেভেনির আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য তুর্কি জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উগান্ডায় বর্তমানে ১৬০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে ৬৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য।

তুরস্কের বেশ কয়েকটি মানবিক সহায়তা সংস্থা দুর্বল উগান্ডীয়দের জন্য খাদ্যসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী প্রদানে অবদান রেখেছে।

শুক্রুবার ন্যাটোর সহযোগী নেতৃত্ব তুর্কী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জাম বিতরণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে একটি টুইট বার্তা দিয়েছে। এই টুইট বার্তায় তারা আরো উল্লেখ করেছে যে, এধরণের গতিবিধি ন্যাটোকে সমর্থনের একটি বার্তা। এধরণের কার্যক্রম আমাদের সদর দফতরের মিশনটি সম্পাদন করার জন্য ব্যবহার যোগ্য পণ্যের মজুদ তৈরিতে সহায়তা করে।

গত ডিসেম্বরে চীনে এই মহামারীর উদ্ভবের পর কোভিড-১৯ ভাইরাসটি কমপক্ষে ১৮৮ টি দেশ এবং অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের কবলে পতিত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইউরোপ এবং আমেরিকা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকলিত পরিসংখ্যান অনুসারে মহামারীটি বিশ্বব্যাপী ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি লোককে আক্রান্ত করেছে এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ৩০০,০০০ এরও বেশি লোক এই মহামারীতে মৃত্যুবরণ করেছে এবং পুনরায় সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া লোকের সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।

তুরস্কে বর্তমানে করোনভাইরাস সংক্রান্ত ১৪৪,৭৪৯ জনেরও বেশি রোগী পাওয়া গিয়েছে। এবং মৃতের সংখ্যা ৪০০৭ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাভুয়েসালু সংহতি তুলে ধরে একটি বক্তব্য দিয়েছেন।

তুরস্কের বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বোর্ডের (ডিইআইকে) আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিয়েত সাভুয়েসালু বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বলেছেন যে করোনভাইরাস মহামারী চলাকালীন অন্যান্য দেশের সাথে দৃঢ় সংহতি, একটি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য তুরস্ক রাষ্ট্রের ধারণাকে একীভূত করেছে।

তিনি ডিইআইকে সদস্যদের বলেছিলেন যে, ইইউর সাথে দেশটির শুল্ক ইউনিয়নের একটি ধারা নবায়নের পাশাপাশি ভিসা উদারকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতির প্রত্যাশা করছে এখন আঙ্কারা।

তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি এবং রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়েব এরদোগান উভয়ই তাদের ইউরোপীয় সহযোগীদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

বাইরের দেশগুলিতে তুরস্কের সরবরাহ করা চিকিৎসা সহায়তার কথা উল্লেখ করে সাভুয়োসালু বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রথমবারের মতো আমাদের দেশ সম্পর্কে এই জাতীয় ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এটা বলছি না যে, এগুলোর দ্বারা সবকিছু সমাধান হয়ে গিয়েছে। হ্যা, তবে এটা বলতে পারি যে একটা ইতিবাচক আবাহ তৈরি হয়েছে।

তুরস্ক এমন এক রাষ্ট্র যারা তাদের মানবিক প্রচেষ্টায় গত দশকে নিজের নাম করে নিয়েছে। প্রতিদিন পৃথিবীর বহু কোণে চিকিৎসা সহায়তা প্যাকেজ প্রেরণ করে ইতোমধ্যে এই রাষ্ট্রটি রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

৩১ জানুয়ারিতে তুরস্ক চীনে প্রথমবার চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছিল। সেই সরঞ্জামাদিতে ছিল পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট, ৯৩,৫০০ মেডিকেল মাস্ক, ৫০০ চিকিৎসা প্রতিরক্ষামূলক চশমা এবং ১০,০০০ জীবাণুনাশক সরঞ্জামাদি সহ চীনকে প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহ করা হয়েছিল।

তুরস্কের সহায়তা প্যাকেজগুলির বেশিরভাগই ছিল মেডিকেল মাস্ক, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক-আশাক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং জীবাণুনাশক। সমস্ত সরঞ্জাম সামরিক মালিকানাধীন কারখানাগুলিতে এবং সেলাইয়ের ওয়ার্কশপগুলিতে তৈরি করা হয়েছিল যে কারখানা এবং সেলাইয়ের ওয়ার্কশপগুলো সেনাবাহিনীর জন্য সামরিক ইউনিফর্ম এবং অন্যান্য পোশাক তৈরি করে থাকে।

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে এই ঐতিহ্য পালন করে আসছে যে, তারা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রেরণ করছে, এমনকি যাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশও সমস্যার সম্মুখীন হলে তারা সেখানে মানবিক সহায়তা প্রেরণ করে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে দেশটির ভিত্তি স্থাপনের এক দশক পরে ১৯৩৮ সালে তুরস্ক সুদূর প্রাচ্যে কলেরার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চীনে ওষুধ পাঠিয়েছিল। একইভাবে ১৯৪১ সালে তুরস্ক গ্রীক সেনাবাহিনীর কাছে ওষুধ পাঠিয়েছিল গ্রিসের অনুরোধে। অথচ গ্রিস মুক্তিযুদ্ধের সময় তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।

আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সহ অন্যান্য বহু দেশে তুরস্ক কর্তৃক একই ধরণের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিপ্লব অনিবার্য: হামাস

0

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেছেন, দখলদার ইহুদিদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিপ্লব অনিবার্য এবং এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।

হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের উস্কানিমূলক তৎপরতা, তাদের হুমকি এবং সন্ত্রাসবাদ কোনো কিছুই ফিলিস্তিনিদেরকে প্রতিরোধ সংগ্রামের পথ থেকে দুরে সরাতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিশ্বের মুসলমানরা ফিলিস্তিন ইস্যুকে কখনোই ভুলে যাবে না এবং ইসলামের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদ তাদের হৃদয়ে থাকবে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রতি ইঙ্গিত করে মুখপাত্র বারহুম বলেন, এসব পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে প্রতিরোধ সংগ্রাম ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফিলিস্তিনের সব প্রতিরোধকামী শক্তিগুলোর সামর্থ্য ব্যবহার করে তাদের মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুখপাত্র ফুজি বারহুম।

সূত্র: পার্সটুডে

সৌদিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ালো

0

ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডটকম | আরিফ মুসতাহসান

সৌদি আরবে নোভেল করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৫২,০১৬ জন।

শনিবার (১৬ মে) সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায় গত ২৪ ঘন্টায় দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৪০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে শুরু থেকেই কঠোর পদক্ষেপ নেয় সৌদি প্রশাসন। তবে কোনোভাবেই আক্রান্তের পরিমাণ এড়াতে পারছেনা সৌদি সরকার। দেশটিতে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩০২ জন। এবং সুস্থ হয়েছে ২৩ হাজার ৬৬৬ জন।

বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ ৬০ হাজার। এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৯ হাজার। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে ১৭ লাখ ৭০ হাজার।

করোনা মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থ: ড. খন্দকার মোশাররফ

0

সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের সমর্থনে সরকার গঠন করতে পারলে বিএনপি স্বাস্থ্যখাতে মোট জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি বরাদ্দ রাখবে। বিএনপি তৃণমূল থেকে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাবে।

শনিবার (১৬ মে) বিএনপি আয়োজিত অনলাইন সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. মোশাররফ এসব কথা বলেন। বিএনপির কমিউনিকেশনস সেলের প্রধান সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

ড. মোশাররফ বলেন, জীবন প্রথম, বেঁচে থাকলে জীবিকা হবে। সামনে ঈদুল ফিতর। ঈদের কেনাকাটা করার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সরকার লকডাউন শিথিল করলেও জীবনটা আমার আপনার। তাহলে কেন আমরা অবিচকের মতো কাজ করছি? তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহবান জানান।

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দূরাবস্থার কথা তুলে ধরেন মোশাররফ বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীরা সেবা পাচ্ছে না। সেখানে আইসিউ, ভেন্টিলেটর অক্সিজেন পর্যাপ্ত নেই। রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন-এটা উদ্বেগের বিষয়।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরীক্ষা পরীক্ষা পরীক্ষা বলে জোর দিয়ে পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরাও সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। এই পরীক্ষার ব্যাপারেও সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে। ৪১ টি বুথে ১২ হাজার নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা থাকলেও তাও করতে পারছেনা সরকার।

সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পাশের দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই লকডাউন করেছে। কিন্তু আমাদের সরকার ঘোষণা করেছে সাধারণ ছুটি। লকডাউন ও সাধারণ ছুটি তো এক বিষয় নয়, অনেক পার্থক্য। এছাড়াও গার্মেন্টস শপিং মল খুলে দেওয়াসহ সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দোদুল্যমানতা ছিল। যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর হয়নি। এখান করোনা রোগীর সংখ্যা সীমিত পরীক্ষাও হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেছে দুই হিন্দু তরুণ

0

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মসজিদে নামাজ পড়া, মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে দুই হিন্দু তরুণ। এতে ওই দুই তরুণকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১৫ মে) রাত ১১টায় উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের লামচরী গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটক তরুণরা হলেন— সুমন চন্দ্র বিশ্বাস (২৬) ও অধীর চন্দ্র মল্লিক (২৭)। তাদের বাড়ি ওই উপজেলার লামচরী গ্রামে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচ।

তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে ‘পথিক সুমন’ নামে একটি আইডি থেকে সুমন চন্দ্র বিশ্বাস মসজিদে নামাজ পড়া, মসজিদের ইমাম, মৌলভী (হুজুর) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূ মন্তব্য লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিলেন। তার ওই স্ট্যাটাসের ওপর ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন অধীর চন্দ্র মল্লিক নামের আরেক তরুণ।

ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে নেতিবাচক স্ট্যাটাস ও মন্তব্য করার পর বিষয়টি ওই ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত হানে। গত শুক্রবার ওই ধর্মের একাধিক ব্যক্তি আমার কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের তদন্ত করে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর গত শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই তরুণকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে তার থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

সিলেটে অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে বিএনপির ঈদসামগ্রী বিতরণ

0

সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও মহানগর বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হযেছে।

শনিবার (১৬ মে) বিকেল ৪ ঘটিকায় সিলেট নগরীতে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকেই আমি আমার পারিবারিক উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। আগামীতেও চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। সিলেট মহানগরে শুধু আমি একা নই, শীর্ষ স্থানীয় নেতারা মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামীম সিদ্দিকী। সহ-সভাপতি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও ড্যাব সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আব্দুল ফাতাহ বকসি, সিলেট মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা সাইদুর রহমান ভুদুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আজিজ, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক নিজাম উদ্দিন জায়গিরদার, জেলা বিএনপির সহ-যুব সম্পাদক আব্দুল মালেক, জাসাস সহ-সভাপতি রফিকুল বারি রোমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সোহেল আহমদ প্রমুখ।

করোনা: কর্মহীন, দরিদ্রদের মাঝে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

0

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যেগে করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এ খাদ্যসামগ্রী দরিদ্রদের হাতে তুলে দেন।

শনিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ইংল্যান্ড শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা ফয়েজ আহমদের অর্থায়নে কেরানীগঞ্জ ঘাটারচরে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলনা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা রুহুল আমীন খান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা রিজওয়ান হোসাইন প্রমূখ।

জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করতে হবে: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক

0

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক বলেছেন, জাতীয় দুর্যোগ জাতীয়ভাবে মোকাবেলা করা দরকার। শুধুমাত্র সরকারী দলের দ্বারা এ দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব নয়। সকল রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে করোনাভাইরাস ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কমিটি করতে হবে।

শনিবার (১৬ মে) বিকাল ৩টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক ভিডিও কনফারেন্সে  তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগে অভাবগ্রস্থ কয়েক কোটি মানুষ নিদারুন কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এদিকে সরকারী ত্রাণ চুরি হয়ে যাচ্ছে। আর যতটুকু ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে তাও শুধু দলীয় লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আড়াই হাজার টাকার প্রণোদনার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানের তালিকার এক/ দেড়শ জায়গায় এক ব্যক্তির বিকাশ নম্বর। এভাবে সরকারী ত্রাণ লুটপাট বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত অভাবীদের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে হবে। আর সারাদেশের গ্রাহকদের অন্ততপক্ষে ৩ মাসের বিদ্যুত, গ্যাস ও পানির বিল মওকুফের দাবী জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুুতির ঘাটতির কারণে একদিকে কোভিড-১৯ এর রোগীরা যেমন সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ও মানসম্পন্ন সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসা কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। পরিস্থিতি এমন যে হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরাও সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মাদ মুনতাসির আলী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অধ্যাপক  আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, আলহাজ আবু সালেহীন, হাফেজ মাওলানা নোমান মাযহারী, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, ডাঃ রিফাত হোসেন মালিক, মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।