Home Blog Page 4669

শ্বাসকষ্ট নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি প্রধান বিচারপতি

0

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছেন।

গত দুদিন আগেই তিনি ভর্তি হন বলে জানা গেছে।

সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি পুরানো অ্যাজমা সমস্যার কারণে সিএমএইচএ ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে যথারীতি পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, তার শরীরে সোডিয়াম লেভেল যা থাকা দরকার তার থেকে কিছুটা নিচে নেমে গেছে। সে কারণেই তাকে হাসপাতালের কেবিনে পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্রামে রাখা হয়েছে।

মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আরও জানান, গত দুদিনে হাসপাতালে থেকেই তিনি অন্তত ১০০ ফাইলে স্বাক্ষরও দিয়েছেন। তিনি সুস্থ আছেন। তার স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।

শুধু আমাদের দেশে নয়, ভারতে দশদিন আগে গণপরিবহন চালু হয়েছে: হাছান মাহমুদ

0

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধু আমাদের দেশে কার্যক্রম খোলা হয়েছে তা নয়, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালসহ ইউরোপে প্রায় ১০-১২ দিন আগে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে অনেক আগেই সবকিছু খোলা হয়েছে, ভারতে আমাদের অন্তত দশদিন আগে গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে সেবাদান চলমান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি অফিস-আদালত সীমিত আকারে খুললেও এখানে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জনগণের জন্য কাজ চলছে, কেউ অফিসে না এলে বাসায় থেকেও কিন্তু কাজ করছেন। সুতরাং, জনগণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সেটি করা হচ্ছে।

আজ বুধবার (৩ জুন) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের দপ্তরপ্রধানদের সঙ্গে সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।

তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে পৃথিবীর কোনো দেশ এটি থেকে মুক্ত থাকেনি। শুধু তাই নয়, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হারও অনেক বেশি- বেলজিয়ামে ১৬, যুক্তরাজ্যে ১৪.০২, আমেরিকায় ৫.৮, ভারতে প্রায় ৩, পাকিস্তানে ২.১২ শতাংশের বেশি, সেখানে বাংলাদেশে ১.৩৫ শতাংশ। আমরা যদি মোকাবিলা সঠিকভাবে করতে না পারতাম, তাহলে মৃত্যুর হার অন্তত ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বেশি হতো।

সারা দেশ পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের দাবি জানিয়ে ৩৩৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

0

দেশে করোনা মহামারি ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় পুরো দেশকে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাগরিক সমাজের ৩৪৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী ২ জুন পর্যন্ত দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ আর মারা গেছেন ৭০৯ জন। ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে সম্প্রতি জানিয়েছেন, “কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা শনাক্তের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি” । সরকারি পর্যায়ে গত এক সপ্তাহ যাবত প্রতিদিনের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, মোট টেস্টের শতকরা ২০-২৫ ভাগ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত। তার মানে হলো টেস্টের সংখ্যা বাড়লে রোগীর সংখ্যা নিশ্চিতভাবে আরো বেশি বাড়বে। আমাদের টেস্টের সক্ষমতা প্রতিদিন ৩০ হাজার। অথচ এই সক্ষমতার অর্ধেকও আমরা এখনো কার্যকর করতে পারিনি।

অথচ এরকম অবস্থাতেই ৩১ মে থেকে “স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে” অফিস, গণপরিবহনসহ সকল কিছু খুলে দেয়া হলো।বিবৃতিতে বলা হয়, “সীমিত পরিসরে” গণপরিবহন চালুর খেসারত হিসেবে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আন্তঃজেলা পরিবহনে এবং গণপরিবহনে শতকরা ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। এ ধরণের সিদ্ধান্ত জনস্বার্থ বিরোধী এবং নিন্দনীয়। আর এদিনই দেশে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরেও সংক্রমণ বিপদজনকভাবে বাড়ছে । একজন শরণার্থী এরই মধ্যে মারা গেছে।

কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগী গত ৮ মার্চ চিহ্নিত হওয়ার পর সংক্রমণরোধে যথাযথ লকডাউনের পরিবর্তে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় রাষ্ট্রীয়ভাবে “সাধারণ ছুটি” ঘোষণা করা হয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পোশাক কারখানা খুলে দিলে রোগীর সংখ্যা দ্রুতই বাড়তে থাকে। এক মাসের মধ্যে রোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। আবারো মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঈদ উপলক্ষে দোকান-পাট, কারখানা খোলা এবং অন্যান্য ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেও রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এখন পরিস্থিতি আরো বিপদজনক হয়ে উঠেছে। তাই এ রকম পরিস্থিতিতে মহামারি মোকাবেলায় গঠিত ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি তাঁদের পরামর্শ ছিল আরো বেশি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। তাদের পরামর্শকে বিবেচনা না করে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে সচল করার সিদ্ধান্ত খুবই আত্মঘাতী হবে বলে আমরা মনে করছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান করোনা পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার কোনো রকম সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা কৌশল ছাড়া সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিসহ দীর্ঘমেয়াদে জীবন ও জীবিকার সংকটে শুধু দরিদ্র আর সাধারণ নাগরিকরাই পড়বেন না বরং সার্বিকভাবে সকলকেই মহাবিপদের দিকে ঠেলে দিবে। এতে দেখা যাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয়ে গেলেও অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবেও আমরা বিচ্ছিন্ন থাকবো। এতে এই করোনা পরবর্তী অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিও হারাবে।

বিবৃতিদারা বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আছে-

১) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত অতি জরুরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জরুরি জনসেবাভিত্তিক কর্মকাণ্ড বাদে সমস্ত অফিস আদালত ও শ্রমঘন কারখানা বন্ধ রাখা হোক। খাদ্য, ওষুধসহ জরুরি পণ্য পরিবহন বাদে সকল আন্তঃজেলা পরিবহন ও গণপরিবহন বন্ধ করা হোক।

২) লকডাউন কার্যকর করার প্রধান শর্ত হিসেবে সকল কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার ও নগদ অর্থ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত কল কারখানার শ্রমিক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখতে হবে এবং যেকোন ধরণের ছাটাই বন্ধ রাখতে হবে। একই সাথে লকডাউন তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কী হবে, সেজন্য একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে তা জনপরিসরে দ্রুতই প্রকাশ করা হোক।

৩) দেশের সকল পর্যায়ে টেস্টের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো হোক। প্রতিটি জেলার করোনা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হোক। করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া প্রতিটি রোগীর নমুনা শুরুতে সংগ্রহ করে দ্রুত নিকটবর্তী ল্যাবে পাঠানো হোক। সংগৃহীত নমুনাগুলোর জট কমাতে দৈনিক টেস্টের সক্ষমতা বাড়ানো হোক, নমুনা শনাক্তকরণে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব কমিয়ে আনা হোক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং গবেষণাগারের মধ্যে সমন্বয় করে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে করোনা টেস্ট সেন্টার স্থাপন করা হোক। উপরন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো ব্যবহার করার বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হোক।

৪) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহজলভ্য কিটের ট্রায়ালের ফল জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক। ট্রায়াল সফল হলে এই কিটের দেশব্যাপী ব্যাপক ব্যবহারের দ্রুত অনুমোদন দেয়া হোক।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন, রোবায়েত ফেরদৌস, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ রয়েছেন।

এবার তিব্বতের ভারত সীমান্তে চীনের সামরিক মহড়া

0

তিব্বতে ভারতের সঙ্গে যৌথ সীমান্তে চীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইরনা আজ জানিয়েছে চীনের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা তিব্বতে অনুষ্ঠিত ওই মহড়ায় ড্রোন, যুদ্ধাস্ত্র এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির সরঞ্জাম বিস্ফোরক সামগ্রি ব্যবহার করা হয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।

এমন সময় তিব্বতে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হলো যখন চীন এবং ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে সম্প্রতি ব্যাপক সংঘর্ষের খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। চীন ও ভারত ২০০৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বহুবার সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি নিয়ে বৈঠক করেছে। এখন পর্যন্ত সেইসব আলোচনা চূড়ান্তভাবে সফল হয় নি।

চীন অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বত হিসেবে মনে করে এবং ওই অঞ্চলকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করলেও নয়াদিল্লি তা মেনে নেয় নি। ওই অঞ্চলের যে নব্বুই হাজার কিলোমিটার এলাকাকে চীন নিজেদের বলে দাবি করে ভারত তাকে নিজেদের অরুণাচল প্রদেশ বলে অভিহিত করে।

করোনায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল করিমের মৃত্যু

0

চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল করিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ডা. এহসানুল করিম চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে প্রথম। তিনি ইউএসটিসির ৯ম ব্যাচের ছাত্র।

জানা যায়, গত চারদিন আগে ডা. এহসানুল করিমের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে ডা. এহসান ব্লাড ক্যান্সার রোগেও ভুগছিলেন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চট্টগ্রামের করোনা মনিটরিং সেলের সমন্বয়ক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘ডা. এহসানুল করিম করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সকালে আইসিইউতে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।’

চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওয়াই-স্যাব এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে করোনা দেখা দেওয়ার পরও ডা. এহসানুল করিম স্যার চেম্বার বন্ধ করেননি। একদিনের জন্যও তিনি রোগীদের বঞ্চিত করেননি। তিনি দেশের একজন লিজেন্ড মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। আজ আমরা মানবতার এমন ফেরিওয়ালা স্যারকে হারিয়ে ফেলছি।’

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে শিকদার গ্রুপের হত্যার হুমকিদাতারা বিদেশ যায় কীভাবে? প্রশ্ন রিজভীর

0

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যারা পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, অত্যাচার করছে-তারা বাংলাদেশ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে পালিয়ে গেছে। আর একটি ছেলে সরকারের সমালোচনা করে পোস্ট দিলে তাকে রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে আসে। আর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে আপনার শিকদার গ্রুপের হত্যার হুমকি দেওয়া দুই ছেলে কী করে চলে গেল? মেডিকেল ভিসা দিলো কী করে?

আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণের সময় এসব কথা বলেন রিজভী। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এ খাদ্য বিতরণের আয়োজন করা হয়।

রিজভী বলেন, তাদের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ সেখানে কী করলো। পুলিশ কিছুই করেনি। তার মানে শাসকগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত অপরাধীদেরকে নানাভাবে রেহাই দেওয়া হচ্ছে। তাদের সুযোগ করে দিচ্ছেন। কারণ দুই ভাই চেয়েছে ব্যাংকের টাকা লুট করতে। এমডিরা রাজি হয়নি, তাই তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলছে দেশে।

ব্যর্থ সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি বলেন, শুধু নিজেদের নেতাকর্মী ও শাসকগোষ্ঠীর পকেট ভারী করা, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করাই এই সরকারের মূল লক্ষ্য।

সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরকারি হাসপাতালে ২০-৩০ শতাংশের বেশি রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না। ঢাকার বাইরে তো চিকিৎসা পাচ্ছে না।

দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাসাসের সহসভাপতি আহসান উল্লাহ চৌধুরী, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, আরিফ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ফেরদৌস ফকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মাজহার আলী শিবা শানু, জাসাস নেতা খালেদ এনাম মুন্না, এনামুল হক জুয়েল, হারুন-অর-রশিদ, নবাব মাঝি, শরিফুল ইসলাম, মালেক রতন, ইব্রাহিম খলিলসহ জাসাসের নেতৃবৃন্দ।

লাশ থেকে করোনা ছড়ায় না: মৃত ব্যক্তিকে যেকোনো কবরস্থানে দাফন করা যাবে

0

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট কবরস্থানের প্রয়োজন নেই। ব্যাগ না পাওয়া গেলে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে দাফন কাজ করা যাবে। এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

বুধবার দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এই তথ্য জানান।

নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করে দাফন ও সৎকার করা যাবে। নিয়মানুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে মনোনীত কবরস্থান কিংবা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা যাবে। শুধু করোনা আক্রান্ত হিসেবে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের কোনো প্রয়োজন নেই। পারিবারিক কবরস্থানেও মরদেহ দাফন করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মৃতদের সৎকারে ৩-৪ ঘণ্টা লেগে যায়। ৩ ঘণ্টা পর এই ভাইরাসের কর্মক্ষমতা থাকে না। এজন্য ছড়ানোর কোনো আশঙ্কা নেই।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব‌্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের

0

গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব‌্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমি মালিক-শ্রমিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব‌্যবস্থা গ্রহণের জন‌্য আমি বিআরটিএর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিচ্ছি।

বুধবার রাজধানীতে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই নির্দেশনার কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আবার বেশ কিছু অভিযোগও আমরা পাচ্ছি। আমি প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ করছি ওই সব এলাকায়। অর্ধেক বা তার চেয়ে কম যাত্রী নিয়েও পরিবহন চলছে। আমি যাত্রীদেরকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে টার্মিনাল এবং বাসযাত্রা হতে পারে সংক্রমণ বিস্তারের কেন্দ্র।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের পদক্ষেপ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। সরকার সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার সময় এবং আগে পরে স্বাস্থ‌্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন‌্য জনগনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও কিছু কিছু মানুষ স্বাস্থ‌্যবিধি মানতে শৈথিল‌্য প্রদর্শন করছে, যা সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আক্রান্তের সংখ‌্যাও বাড়ছে। এ অবহেলা নিজের জন‌্য শুধু নয়, পরিবার, সমাজ তথ‌া অন‌্যদের জন‌্যও ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তা না হলে জনস্বার্থে এবং জনস্বাস্থ‌্য রক্ষায় সরকার আরও কড়াকড়ি, আরও কঠোর হতে বাধ‌্য হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতিতে সরকার সংক্রমিত এলাকা এবং এর নানা দিক বিবেচনায় নিয়ে এলাকাভিত্তিক বা জোনে বিভক্ত করার বিষয়টি ভাবছে বলে জানান তিনি।

দেশে একদিনে করোনায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬৯৫

0

দেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৬৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫১৪০ জনে।

এসময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২৫১০টি।

আজ বুধবার এক অনলাইন ব্রিফিং-এর মাধ্যমে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এছাড়া, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৪৬ জনের।

এদিকে এসময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে আরও ৪৭০ জন।

অগ্নিগর্ভ আমেরিকা: চলছে তুমুল বিক্ষোভ, নিহত ১০

0

আমেরিকাজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা কারফিউ ভেঙে নেমে এসেছেন রাস্তায়।

গত চারদিনের বিক্ষোভ চলাকালে ১০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে। ২ জুন ভোররাতে লুটের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ফিলাডেলফিয়া সিটিতে আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান ‘ফায়ারিং লাইন ইনক’এ প্রবেশকালে স্টোরের মালিকের গুলিতে এক ব্যক্তি মারা গেছে।

একইসিটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটিএম মেশিন উড়িয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে আরেক যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

সোমবার রাতে লাসভেগাসে একটি ফেডারেল ভবনে লুটের চেষ্টাকালে পুলিশের গুলিতে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে গত সপ্তাহে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডে নামে একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এর প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

চলমান এ আন্দোলনে গত তিনদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়েছে। ওরা মিছিলে হাটতে হাটতে সুযোগ বুঝে পার্শ্ববর্তী দামি পণ্যের স্টোরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ করেছে। রবিবার ও সোমবার রাতে বেশ কটি সিটিতে কার্ফিউর মধ্যেও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে ফিলাডেলফিয়া, লসএঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, মায়ামী, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটল, লাসভেগাস, সেন্টলুইস প্রভৃতি স্থানে। নিউইয়র্ক সিটিতে সোমবার রাতে কার্ফিউ সত্বেও বহু দোকানে হামলা, ভাংচুরের পর মূল্যবান সামগ্রি লুট করা হয়েছে।

অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটতরাজের অভিযোগে নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, লসএঞ্জেলেস, আটলান্টা, মিনিয়াপলিস প্রভৃতি স্থানের পুলিশ কর্তৃক মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনদিনে ৬৫০০ দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্ত শনাক্তের প্রক্রিযার পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও পুলিশ উল্লেখ করেছে।

ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্ক, আটলান্টা, লসএঞ্জেলেস সিটিতে লুটপাটের শিকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।