Home Blog Page 917

সুলতান ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার নতুন রাজা

0

মালয়েশিয়ার নতুন রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন সুলতান ইব্রাহিম। বুধবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শপথ নিয়েছেন তিনি, অভিষেক অনুষ্ঠানও হয়েছে সেখানেই। আগামী ৫ বছর এই পদে থাকবেন সুলতান ইব্রাহিম।

মালয়েশিয়ায় এক ধরনের ব্যতিক্রমী রাজতন্ত্র চালু আছে। দেশটির ১৩টি প্রদেশের ৯টি’র প্রত্যেকটিতে এক একটি প্রাচীন রাজনৈতিক পরিবার রয়েছে। এসব পরিবার থেকেই চক্রাকারে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য বেছে নেওয়া হয় রাজা।প্রত্যেক পরিবারের সর্বজ্যেষ্ঠ সদস্য এই পদে আসীন হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এই প্রথা চালু রয়েছে দেশটিতে। মালয়েশিয়ার রাজতন্ত্রকে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম রাজতন্ত্র বলে গণ্য করা হয়।

বর্তমান রাজা সুলতান ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ জোহোরের সুলতান। স্পষ্টভাষী বক্তা হিসেবেও খ্যাতি রয়েছে তার। মালয়েশিয়ার ১৭ তম রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন ইব্রাহিম।

৬৫ বছর বয়স্ক সুলতান ইব্রাহিম যে রাজপরিবার থেকে তিনি এসেছেন, সেটি ১৬ শতক থেকে ক্ষমতাসীন রয়েছে জোহর প্রদেশে। এই প্রদেশটি একসময় স্বাধীন ছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের ৯ বছর পর ১৯৫৭ সালে মালয়েশিয়া কনফেডারেশনে যোগ দেয় জোহর। বস্তুত, মালয়েশিয়ার ১৩টি প্রদেশের মধ্যে জোহরই একমাত্র প্রদেশ, যেটির নিজস্ব সেনাবাহিনী রয়েছে। ১৯৫৭ সালে মালয়েশিয়ায় যোগ দেওয়ার সময়ই এ ইস্যুতে সমঝোতা করে নিয়েছিল জোহর।

জোহোরের সালতানাত পরিচালনার পাশপাশি সুলতান ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যেও একজন। রিয়েল এস্টেট, খনিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা রয়েছে তার। সুশাসনে আস্থাশীল সুলতান ইব্রাহিমের সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সম্পর্কও বেশ ভালো।

দামী গাড়ি ও মোটরবাইকের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে সুলতান ইব্রাহিমের। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে বেশ কিছু দামী গাড়ি-মোটরবাইক রয়েছে।

এবার লোহিত সাগরে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য

0

লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত হুথি যোদ্ধাদের আক্রমণের বিরুদ্ধে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী জেমস হেপ্পি।

বৃটেনের হোম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়টি জানান তিনি।

সাক্ষাৎকারে জেমস হেপ্পি বলেন, মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার’ এই অঞ্চল ত্যাগ করে আমেরিকায় ফিরে গেলে তার পরিবর্তে একটি ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরি প্রতিস্থাপন করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতে ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগ দিয়েছে ব্রিটেন। কারণ গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিলে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে ব্রিটেনের যুদ্ধজাহাজ ‘এইচএমএস ডায়মন্ড’ লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক পথ সুরক্ষারও চেষ্টা করছে।

এদিকে, হুথি কমান্ডার মোহামেদ আল আতিফি এই যুদ্ধের সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, “লোহিত সাগরীয় অঞ্চলে দীর্ঘ সংঘাত মোকাবেলায় পূর্ব থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হুথিরা।”

সূত্র: দি টেলিগ্রাফ

গাজ্জায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শাসন চায় তেল আবিব: অর্থমন্ত্রী বেজালেল

0

অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেখানে সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের উগ্রপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা ‘ইউএনআরডাব্লিউএ’কেও বহিষ্কার করার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) ইসরাইলি পার্লামেন্টে (নেসেট) একটি বৈঠকে এসব কথা বলেন স্মোট্রিচ।

কট্টর এই মন্ত্রীর মতে, গত ২ মাস ধরে গাজ্জায় যুদ্ধ চালিয়ে আসছে ইসরাইল। আর এই মুহূর্তে যুদ্ধ থেকে সরে আসার অর্থ হলো ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এতদিনের অর্জনগুলো হারিয়ে ফেলা। যার ফলে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস পুনরায় অবরুদ্ধ ছিটমহলে তাদের শাসন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করবে।

প্রসঙ্গত, ইসরাইলের উগ্রপন্থী এই নেতার মন্তব্যটি এমন সময় এসেছে ঠিক যখন, তেল আবিব ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধ বিরতিতে পৌঁছানোর আলাপ চলছে। ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর মতে এই যুদ্ধবিরতির শর্ত সমূহের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

স্মোট্রিচ আরো বলেন, “সেখানে অবশ্যই ইসরাইলি সামরিক বাহিনী শাসনকার্য পরিচালনা করবে। কারণ এটি আমাদের সকলের দ্বারা সর্বসম্মত হয়েছে।”

ইউএনআরডাব্লিউএ’র বিষয়ে তিনি বলেন, অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকা ও দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে এই সংস্থাকে অবশ্যই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে হবে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

এবার তোশাখানা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে

0

তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর কারাবাসের সাজা এবং ৭৮ কোটি ৭০ লাখ রুপি জরিমানা করেছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।

বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালত (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট)। রায়ে জেল-জরিমানা ঘোষণার পাশাপাশি ইমরান খানকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন আদালত।

জাতিসংঘের ত্রাণ ও সহায়তা তহবিল স্থগিত করায় ইউরোপ-আমেরিকা নিন্দা জানালো হামাস

0

জাতিসংঘের ত্রাণ ও সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএর (UNRWA) তহবিল স্থগিত করায় ইউরোপ-আমেরিকার নিন্দা জানালো ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত উদ্বাস্তুদের সহায়তায় ইউএনআরডাব্লিউএর সক্ষমতা ও আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

হামাস প্রধান আরো বলেন, তাদের এই সিদ্ধান্ত গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত প্রদত্ত ঐতিহাসিক রায়ের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। ফিলিস্তিনি জনসাধারণদের অবরুদ্ধ ও অনাহারে রেখে জাতি নিধনের ইসরাইলী পরিকল্পনার রাজনৈতিক সমর্থন।

আমেরিকা ও পশ্চিমাদের এই অবস্থান বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নিধনযজ্ঞকে দীর্ঘায়িত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এছাড়া ইউএনআরডাব্লিউএর ১২ সদস্য ৭ অক্টোবরের তুফানুল আকসা অভিযানের সাথে জড়িত মর্মে ইসরাইলের যে অভিযোগ আমলে নিয়ে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো জাতিসংঘের তহবিল বন্ধ করেছে তাও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। একে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের উপর চাপ প্রয়োগ করতেই এমন অভিযোগ সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে দাবী করেন। কেননা গণহত্যা ও জাতি নিধনের অপরাধের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসের বিবৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিবৃতিতে ইসমাইল হানিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন রায়কে ঐতিহাসিক বিজয় বলে উল্লেখ করেন এবং দেশটিকে অভিনন্দন জানান।

সূত্র: হামাস

গাজ্জায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখছে হামাস

0

ফিলিস্তিনের গাজ্জা উপত্যকায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং আমেরিকা তা হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া পর্যালোচনা করে দেখছেন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম।

সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আমেরিকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস, ইসরাইলি গুপ্তচর সংস্থার মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়া এবং কাতার ও মিশরের কর্মকর্তারা। বৈঠকে কাতার ও মিশর মধ্যস্থতা করছে।

প্যারিস বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে খবর বের হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির বিষয়টি ইসমাইল হানিয়াসহ হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতারা পর্যালোচনা করে দেখছেন। এর আগে হামাস বারবারই জোর দিয়ে বলেছে, গাজ্জায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ এবং গাজ্জা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারে তারা কোনো আলোচনা করবেন না।

হামাস মনে করে, যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরাইলি বন্ধুদের মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতির শেষে ইসরাইল আবার যুদ্ধ শুরু করবে। এখন যুদ্ধবন্দীদের ব্যবহার করে হামাস যে রাজনৈতিক ও সামরিক সুবিধা আদায় করতে পারে, বন্দিদের মুক্তি দিলে সেই সুযোগ তাদের হাতছাড়া হবে। ফলে হামাসকে অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যেতে হবে। সে কারণে সংগঠনটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয় বরং স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান চায়।

অন্যদিকে, ইসরাইল মনে করছে হামাসকে নির্মূল করা ছাড়াই যদি তারা যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি করে তাহলে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরাইলের জনগণকে একথা বলতে পারবে না যে, তারা আমাকে ধ্বংস করেছে। বরং নেতানিয়াহু উল্টো প্রশ্নের মুখে পড়বে- হামাসকে যদি ধ্বংস করা সম্ভব নাই হয় তাহলে কেন এই দীর্ঘ যুদ্ধ চালানো হলো এবং এত লোকের প্রাণহানির কী প্রয়োজন ছিল।

এ অবস্থায় ইহুদিবাদী ইসরাইল উভয় সংকটে পড়েছে। সে ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে চাওয়া, হামাসের চাওয়া প্রকৃতপক্ষে তার সম্পূর্ণ বিপরীত। এমন অবস্থায় দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি হওয়া সত্যিই কঠিন এবং বিষয়টি অনিশ্চিতও বটে।

পার্সটুডে

জাতিসংঘের ত্রাণ ও সহায়তা সংস্থাকে নিশ্চিহ্ন করতে চায় ইসরাইল

0

জাতিসংঘের ত্রাণ ও সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএকে (UNRWA) নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায় বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

ইসরাইলী সংসদ অধিবেশনের বক্তৃতায় অবৈধ রাষ্ট্রটির সাবেক পররাষ্ট্র কর্মকর্তা নোগা আরবেল আন্তর্জাতিক সংস্থাটিকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।

ফিলিস্তিনি নিধনযজ্ঞের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের এই সংস্থাটিকে কৌশলগত বাঁধা হিসেবে উল্লেখ করে নোগা আরবেল বলেছিলেন, “ইউএনআরডাব্লিউএকে ধ্বংস না করে এই যুদ্ধে জেতা আমাদের জন্য অসম্ভব। এই ধ্বংস ও নিশ্চিহ্নকরণ অবশ্যই এখন থেকে শুরু হতে হবে।”

এছাড়া সংস্থাটির কার্যক্রম ও নীতি ইসরাইলী স্বার্থের বিরুদ্ধে ও ফিলিস্তিনের পক্ষে ঝুকে যাওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

গাজ্জা গণহত্যায় বিশ্ব মানবতার শত্রু অবৈধ রাষ্ট্রটিকে প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে যাওয়া আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর সাম্প্রতিক পদক্ষেপেও ইসরাইলের এই ধ্বংসাত্মক মনোভাবের সাথে মিলে যায়। গত ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার আমেরিকা, ব্রিটেনে সহ ইউরোপ-আমেরিকার বহু দেশ ইউএনআরডাব্লিউএকে তহবিল না দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এক্ষেত্রে ইসরাইলের অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানায় দেশগুলো। বলা হয়, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করতে চায় না তাদের সরকার।

শরণার্থী ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে বিশেষত ফিলিস্তিনের উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদানে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটির বিরুদ্ধে ইসরাইলের অভিযোগ হলো, ইউএনআরডাব্লিউএর ৩০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ১২জন হামাস পরিচালিত ইসরাইল বিরোধী অভিযানের সাথে সম্পৃক্ত, যা গত ৭ অক্টোবর থেকে তারা শুরু করেছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

নিরীহ ৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যায় ছদ্মবেশে সন্ত্রাসী অভিযান; উল্লাসে মাতলেন ইসরাইলী মন্ত্রী বেন গাভীর

0

নিরীহ ৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যায় ছদ্মবেশে সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনা করলো বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

পশ্চিম তীরের ইবনে সিনা হাসপাতালে এই সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ রাষ্ট্রটির ১০ সদস্যের এক আন্ডার কভার সেনা ইউনিট।

নাটকীয় এই সন্ত্রাসী অভিযানে চিকিৎসা সেবা নিতে থাকা মুহাম্মদ, বাসিল আয়মান আল গাজ্জাবী ও মুহাম্মদ ওয়ালিদ জালামনা নামের ৩ রোগীকে হত্যা করা হয় বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় পশ্চিম তীরে পরিচালিত এই সন্ত্রাসী অভিযানের ঘটনায় উল্লাসে মাতেন অবৈধ রাষ্ট্রটির নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভীর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযানের একটি সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করেন তিনি। সেনাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “আইডিএফ ও শিন বেটের সমন্বয়ে জেনিন শরনার্থী এলাকায় গত রাতে অসাধারণ অভিযান পরিচালনা করেছে ইসরাইলী আন্ডার কভার পুলিশের নৌ-কমান্ডোরা। তাদের এই অসাধারণ অভিযানের ফলে ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১০জনের একটি দল চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ ও সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশে হিজাব পড়ে, কেউ হুইল চেয়ার আবার কেউ বাচ্চা বহনের গাড়ি টানতে টানতে ইবনে সিনা হাসপাতালে প্রবেশ করে। ৩য় তলায় এসে সাইলেন্সার লাগানো গুলি দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে থাকা ৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে।

হৃদয় বিদারক এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাইউল কাইলাহ। আজ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের বক্তৃতায় গাজ্জা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলের নিত্যদিনের জঘন্য অপরাধ ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

আরো ২ সাংবাদিককে হত্যা করলো ইসরাইল; সর্বমোট নিহত সাংবাদিক ১২২

0

আরো ২ সাংবাদিককে হত্যা করলো বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

নিহত এই ২ সাংবাদিক হলেন, ইসাম আল-লুলু ও মুহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ আ’তাল্লাহ। সেন্ট্রাল গাজ্জায় ইসরাইলী বিমান হামলায় পরিবার সহ শাহাদাত বরণ করেন তারা।

গাজ্জা মিডিয়া কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ইসাম আল-লুলু ও মুহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ আ’তাল্লাহ সহ এখন পর্যন্ত ১২২ সাংবাদিককে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইল। আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ের তোয়াক্কা না করে এখনো গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্রটি।

উল্লেখ্য, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও তারা অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্য হুমকি এই অজুহাতে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজ্জায় গণহত্যা পরিচালনা করে আসছে জায়োনিস্ট সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

আমেরিকা, ব্রিটেন ও পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল পরিচালিত গাজ্জা গণহত্যায় এখন পর্যন্ত শাহাদাত বরণ করেছেন ২৬ হাজার ৭৫০ ফিলিস্তিনি। তাদের বর্বরতা ও নৃশংসতার শিকার হয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুতুল্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন ফিলিস্তিনি।

গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, আহত ও শাহাদাত বরণকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হলো নারী ও শিশু।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

দ্বাদশ সংসদের যাত্রা শুরু

0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে অধিবেশনের শুরুতে প্রথমে স্পিকার ও পরে ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার পদে অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু পুনর্নির্বাচিত হন।

একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার আবারও একই পদে প্রার্থী হওয়ায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার ও বিরোধী দলের অধিকাংশ সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নতুন সংসদের প্রথম দিনের অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ দেশি-বিদেশি কূটনীতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা এবং ভিআইপিদের আত্মীয়-স্বজনসহ পাঁচ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর সংসদের অধিবেশন আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

অধিবেশনের শুরুতে ডেপুটি স্পিকারের শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে দিনের কার্যসূচি অনুযায়ী স্পিকার পদে নির্বাচন হয়। স্পিকার পদে আবারও ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। এরপর সংসদে কণ্ঠভোটে সর্বসম্মতিতে তা পাস হয়। এরপর স্পিকারের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ অধিবেশন কিছু সময়ের জন্য মুলতবি করা হয়।

সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে স্পিকারকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ গ্রহণ শেষে সংসদ অধিবেশন পরিচালনায় আসেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচন হয়। এ পদে পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর নাম প্রস্তাব করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এবি তাজুল ইসলাম ও সমর্থন করেন মকবুল হোসেন। প্রস্তাবটি ভোটে দিলে সংসদ সদস্যরা ‘হ্যাঁ’ বলে সমর্থন জানান। দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন

ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন শেষে নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তারা হলেন, এবি তাজুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন, আ ফ ম রুহুল হক, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও উম্মে কুলসুম। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুসারে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সংসদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন।

শোক প্রস্তাব উত্থাপন

সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়নের পর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রস্তাবটি পেশ করেন। শোক প্রস্তাবে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।

রাষ্ট্রপতির ভাষণ

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভাষণ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সংসদ অধিবেশনে আহ্বান করেন। বিউগল বাজানোর মধ্য দিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করলে সবাই দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানান। এরপর শব্দযন্ত্রের মাধ্যমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। স্পিকারের পাশের আসনে বসেন রাষ্ট্রপতি। এরপর নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি। নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল রাষ্ট্রপতির জাতীয় সংসদে প্রথম ভাষণ।

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সবাই একদিকে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন কক্ষে সদস্যদের আসন বিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসেনি; তবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সবাই একদিকে বসেছেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা যারা এবার মন্ত্রী হননি, তারা আগের মতো সামনের সারিতেই বসেছেন। আর মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর পেছনের সারিতে, তার পেছনে বসেছেন প্রতিমন্ত্রীরা।