Home Blog Page 918

বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ

0

বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে কারাগারে বন্দি থাকাদের ‍মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মত প্রকাশের কারণে মানুষদের কারাগারে প্রেরণ, এটা হতে পারে না বলে আমরা নীতিগতভাবে বিশ্বাস করি।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ এবং কারাগারে আটক বিরোধীদলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন মামলায় কিংবা মামলা ব্যতীত আটক সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা যে আহ্বান জানিয়েছেন সেই আহ্বানের সঙ্গে মহাসচিব কী একমত?

এ বিষয়ে ডোজারিক বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

উদাহরণ হিসেবে গাজ্জা গণহত্যার কথা উল্লেখ করায় ব্রিটিশ এমপিকে দল থেকে বহিষ্কার

0

উদাহরণ হিসেবে গাজ্জা গণহত্যার কথা উল্লেখ করায় দল থেকে বহিষ্কার হলেন লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ এমপি ক্যাট ওসামোর।

ইহুদি নিধনযজ্ঞের স্মরণে গণহত্যার সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে গিয়ে এক এক্স বার্তায় তিনি বলেন, আগামীকাল ইহুদি নিধনযজ্ঞ স্মরণ দিবস (হলোকাস্ট মেমোরিয়াল ডে)। নাৎসি গণহত্যার শিকার ৬০ লক্ষ ইহুদির স্মরণে একটি আন্তর্জাতিক দিবস। কম্বোডিয়া, রুয়ান্ডা, বসনিয়া ও বর্তমানে গাজ্জা বিভিন্ন নাৎসি গোষ্ঠী কর্তৃক এধরণের নিপীড়ন ও গণহত্যার শিকার হওয়ার সাম্প্রতিক উদাহরণ।

ব্রিটিশ এমপি ওসামোর এমন বার্তার প্রতিক্রিয়ায় হলোকাস্ট এডুকেশনাল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়। হলোকাস্টে বেঁচে যাওয়া ইহুদিদের জন্য একে বেদনাদায়ক ও অপমানজনক বলে উল্লেখ করা হয়।

এছাড়া বোর্ড অফ ডেপুটিস অফ ব্রিটিশ জিউসের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়। একে ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য অসম্মানজনক বলে উল্লেখ করা হয়।

ক্যাট ওসামো ফিরতি এক এক্স বার্তায় গাজ্জায় চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে ইহুদি নিধনযজ্ঞকে স্মরণ করতে চেয়েছেন বলে উল্লেখ করলেও তার দল লেবার পার্টি থেকে তাকে বহিষ্কৃত হতে হয়।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

ফিলিস্তিনের গণহত্যা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ইসরাইলের বিপক্ষে একটি শব্দও বলেনি : ড. হাছান

0

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গণহত্যাকে নিন্দা জানিয়ে ইসরাইলের বিপক্ষে একটি শব্দও বিএনপি-জামায়াত বলেনি। তাদের মুখোস উন্মোচিত হয়েছে। যারা নিজেদের স্বার্থে গণহত্যার ঘটনায় নিশ্চুপ থাকে, তাদের হাতে দেশের স্বার্থ কখনোই নিরাপদ নয়।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো’ শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে এ নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর সকল আইনকানুন ও যুদ্ধ বন্ধে একাধিক দেশের আহ্বানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইসরায়েল এই গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। ফিলিস্তিনে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে পৃথিবীর অনেক সমস্যা সমাধান সম্ভব হতো বলেও মনে করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিএনপি যখন সরকারে ছিল তখন ফিলিস্তিনে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব করা হলে বিএনপি সরকার তা উত্থাপন করতে দেয়নি। এমনকি বিএনপির পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের জন্য একটিও বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। এই দলের মাধ্যমে মানবতার কোনো উপকার সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ২৪ ঘন্টায় ২১৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইল; সর্বমোট শহীদ ২৬,৬৩৭

0

গত ২৪ ঘন্টায় ২১৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে একথা জানায় গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলী দখলদারদের হামলায় গত ২৪ ঘন্টায় ২১৫ ফিলিস্তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন ৩০০ জন। এছাড়া অসংখ্য ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়েছেন। আধুনিক ও পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাবে তাদের পর্যন্ত পৌঁছা সম্ভব হচ্ছে না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক হামলায় শাহাদাত বরণকারীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৬৩৭ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৬৫ হাজার ৩৮৭ জনে।

সূত্র: আনাদোলু

এবার আনুষ্ঠানিকভাবে গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে দখল করতে যাচ্ছে ইসরাইল!

0

দখলকৃত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে একান্তই নিজেদের করে নিতে আইনসভার বৈঠক করলো  ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) অবৈধ দেশটির আইনসভা নেসেটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের সাথে যুক্ত করে নেওয়ার ও এতে আরো ইহুদি শরণার্থী শিবির স্থাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

এছাড়া যে অসলো চুক্তির মাধ্যমে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি জোট ইসরাইল বিরোধী স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতি টেনেছিলো এবং ইসরাইলও তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিম তীর সহ বিভিন্ন অংশে তাদের কর্তৃত্ব মেনে নিয়েছিলো সেই চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

চুক্তির তোয়াক্কা না করে পশ্চিম তীর ও গাজ্জাকে নিজেদের করে নিতে অসলো চুক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা দেয় অবৈধ রাষ্ট্রটির এক মন্ত্রী।

গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে আক্ষরিক অর্থে ইসরাইলের অংশ করে নেওয়ার এই প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। একে আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত রায়ের অবমাননা ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামীদের নেতৃত্বে থাকা দলটি।

এছাড়া জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জায়োনিস্টদের এই ফ্যাসিবাদী আইনসভার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ও নিন্দা প্রকাশের আহবান জানায় সংগঠনটি।

সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ না করে মন্ত্রীরা ভারতের তোষামোদিতে ব্যস্ত : রিজভী

0

সীমান্তে বিজিবি সদস্যসহ বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদ না করে সরকারের মন্ত্রীরা ভারতের তোষামোদিতে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, লালমনিরহাট সীমান্তে বাংলাদেশি রাফিউল ইসলাম টুকলুকে গতকাল বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। এর ছয় দিন আগে বিজিবি সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। এই হত্যার পর বিএসএফ’র পক্ষ থেকে যে ব্যাখ্যা দেয়া হয় তা অভিসন্ধিপ্রসূত, উপহাসমূলক এবং নির্জলা মিথ্যাচার। কিন্তু ‘ডামি সরকার’ সীমান্তে অব্যাহত এই নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ তো দূরের কথা টু শব্দ পর্যন্ত করার সাহস দেখাতে পারেনি। উল্টো ভারতের তোষামোদিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মন্ত্রীরা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে ২০২৩ সালে বিএসএফ ৩০ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। প্রাণহানি ছাড়াও ৩১ জন বাংলাদেশিকে মারাত্মক শারীরিক নির্যাতন করে পঙ্গু করে দিয়েছে বিএসএফ। কেবল সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাংচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিবাদ করেন না শেখ হাসিনার নতজানু সরকার। ক্ষমতার জন্য একান্ত বাধ্যগতভাবে গোলামি করছেন তিনি। এটাই কি স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার নমুনা? ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। আর সমুদ্র সীমান্ত শ্রীলংকার সাথে। এই সবগুলো দেশের সীমান্তেই ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ মোতায়েন আছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য ৫টি দেশের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিরীহ কোনো লোক নিহত হওয়ার কোনো খবর খুব একটা চোখে পড়ে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের এক মুখে দুই কথা বলেন। কিন্তু তার এই দ্বৈততার মধ্যেই প্রকৃত সত্যটি বের হয়ে আসে। তিনি আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে বলেছেন- ‘আমাদের সরকারকে কোন বিদেশি শক্তি বসায়নি’। একই সভায় তার বক্তব্যের আর এক জায়গায় তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে ভারত জোরালোভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, এটি জরুরি ছিল’। আবার তিনি আর একটি সভায় বলেছেন ‘নির্বাচনের সময় ভারত পাশে দাঁড়িয়েছিল, স্বীকার করতেই হবে’। আবার তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সব অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙেছে’। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়- ভারতের সহযোগিতায় বিনা ভোটে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা আবারও দখল করেছে। ভারতের প্রতিভু হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক সর্বনাশা কর্তৃপক্ষে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব দুর্বল করে একটি ডামি রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কার্যকর করছেন তিনি।

গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে যুক্ত করতে ইসরাইলী আইনসভা অনুষ্ঠিত; হামাসের নিন্দা

0

দখলকৃত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে একান্তই নিজেদের করে নিতে আইনসভার বৈঠক করলো বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) অবৈধ দেশটির আইনসভা নেসেটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে ইসরাইলের সাথে যুক্ত করে নেওয়ার ও এতে আরো ইহুদিবাদী শরণার্থী শিবির স্থাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

এছাড়া যে অসলো চুক্তির মাধ্যমে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি জোট ইসরাইল বিরোধী স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতি টেনেছিলো এবং ইসরাইলও তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিম তীর সহ বিভিন্ন অংশে তাদের কর্তৃত্ব মেনে নিয়েছিলো সেই চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। অসলো চুক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

গাজ্জা ও পশ্চিম তীরকে আক্ষরিক অর্থে ইসরাইলের অংশ করে নেওয়ার এই প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। একে আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত রায়ের অবমাননা ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করে ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামীদের নেতৃত্বে থাকা দলটি।

এছাড়া জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জায়োনিস্টদের এই ফ্যাসিবাদী আইনসভার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ও নিন্দা প্রকাশের আহবান জানায় সংগঠনটি।

সূত্র: হামাস

কানাডিয়ান ত্রাণ সহায়তাকর্মীকে গুম করলো ইসরাইলী সেনারা

0

কানাডিয়ান ত্রাণ সহায়তাকর্মী মনসুর শাওমানকে গুম করলো বিশ্ব মানবতার শত্রু ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনারা।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) গুমের প্রতিবাদ ও মানসুর শাওমানের মুক্তির দাবীতে কানাডার রাজধানী অটোয়ায় বিক্ষোভ করে দেশটির জনগণ।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গাজ্জায় ত্রাণ সহায়তা কর্মী হিসেবে নিয়োজিত মনসুর শাওমান গত সপ্তাহে আন-নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকে নিখোঁজ হোন।

এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় উঠে আসে যে, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স এরিয়া থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় দখলদার ইসরাইলী সেনারা। খান ইউনুসের মেডিকেল কমপ্লেক্স এরিয়া অবরুদ্ধ করে ইসরাইলী সেনারা বোমা হামলা শুরু করলে অন্যান্যদের মতো মনসুর শাওমানও রাফাহ-য় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।।

এছাড়া বিভিন্ন সোশ্যাল এক্টিভিস্ট তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কানাডিয়ান ত্রাণ সহায়তাকর্মীকে গুমের প্রতিবাদ জানান। তাদের পোস্টের বর্ণনা মতে, ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার নির্ধারিত নিরাপদ করিডর দিয়ে রাফায় যাওয়ার সময় তাকে গুম করে নিয়ে যায় ইসরাইলী সেনারা। অথচ গুরুতর আহত ও রোগীদের নিরাপদ স্থানান্তর, ত্রাণ সহায়তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পথটিকে নিরাপদ করিডর হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছিলো।

সোশ্যাল এক্টিভিস্ট ও অটোয়ায় বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা মনসুর শাওমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের দাবী জানান। তিনি যেনো নিরাপদে তার পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় মনসুরের মা বলেন, আপনারা মনসুরকে ভুলে গেলে চলবে না। সে একজন সাধারণ কানাডিয়ান। ভয়াবহ গণহত্যা ও দুর্দশার শিকার গাজ্জার জনগণের সেবা ও বাস্তবতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতেই শুধুমাত্র সেখানে অবস্থান করছিলো।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর

পাঠ্যপুস্তক থেকে শিরক ও কুফরী লেখা বাদ দিতে হবে : মাওলানা জালালুদ্দীন

0

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। এদেশের শিক্ষা সিলেবাস হবে মুসলমানদের ঈমান আকিদা ও বিশ্বাসের আলোকে। মুসলিম শিশুদেরকে ঈমানহারা করার কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না এবং শিরকী ও কুফরী কোনো শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে থাকতে পারে না। ইসলাম বিদ্বেষী লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিতে হবে অন্যথায় আগামী প্রজন্মের ঈমান আকিদা রক্ষার্থে মুসলিম জনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে । এতে দেশে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।

আজ ( ২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিসে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা জালালুদ্দীন বলেন, শিক্ষা সিলেবাসে ট্রান্সজেন্ডার বিষয় অর্ন্তভূক্ত করে ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দিতে চায়। এটা দেশের মানুষ মানবে না। তিনি আরও বলেন, একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশের মানুষ বর্জন করেছে। নির্বাচনে কারচুপি ও জাল ভোটের অভিযোগ আপনার দলের পরজিত প্রার্থীরাই করেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে এসরকারকে জনগণ চায় না। এ সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বচন দিতে হবে।

তিনি সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের যে পরিমান দাম বেড়েছে। এতে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষ পরিবার চালাতে ঋণে জর্জরিত হচ্ছে। সুতরাং জিনিসপত্রের দাম কমাতে কার্যকরি প্রদক্ষেপ নিতে হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, প্রকশনা সম্পাদক হারুনুর রশীদ ভূইয়া প্রমুখ।

জনগণ সীমান্তে বিজিবি এবং নাগরিক হত্যা মেনে নিবে না: কর্নেল অলি

0

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ভারত সব সময় বলে আসছে, আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। অথচ সীমান্তে বিজিবি এবং বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা নিত্য দিনের ঘটনা। তাহলে প্রশ্ন বাংলাদেশের জনগণ ও বিজিবির প্রতি তাদের এই বিদ্বেষ কেন? সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

কর্নেল অলি বলেন, বর্তমান ভোট চোর সরকার এই হত্যাকাণ্ডের ন্যূনতম কার্যকরি প্রতিবাদ করছে না। জাতির জন্য যা খবই দুঃখজনক। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি, বাংলাদেশের জনগণ এই হত্যাকাণ্ড নিরবে মেনে নিবে না। দেশের জনগণ এখন সোচ্চার। বিচার একদিন হবেই।

এদিকে, অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবীতে মহানগরের থানায় থানায়, জেলা-উপজেলা এবং পৌরসভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম।