চীনের মধ্যস্থতায় ৭ বছর পর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) চীনের বেইজিংয়ে দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহান বিন ফয়সাল আল সৌদ ও হোসাইন আমির আব্দুল লাহয়ানের মাঝে একটি ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্থিতিশীলতা আনয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং পুনরায় দূতাবাস খোলা সহ আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষা করে এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে এমন যেকোনো ক্ষেত্রে পরস্পর সহযোগিতায় প্রস্তুত রিয়াদ ও তেহরান। আগামী ১০ মে পুনরায় দূতাবাস খোলার লক্ষ্যে এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে দু’দেশের কূটনীতিকগণ।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করতে বেইজিং চুক্তির অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সৌদিতে বসবাসরত এক শিয়া ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে ফাঁসি দেওয়ার জেরে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে ইরানি শিয়া কর্তৃক মারাত্মক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ইরানের সাথে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি। পরবর্তীতে ২০২১ সালের এপ্রিলে ইরাক ও ওমানে দীর্ঘ আলোচনায় বসে দেশ দুটি যার মীমাংসা হয়। ২০২৩ সালের মার্চে এসে বেইজিংয়ের হস্তক্ষেপ ও মধ্যস্থতায়।
সূত্র: আনাদোলু