ইন্তেকাল করলেন ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার বর্তমান ও মসজিদে নববীর সাবেক ইমাম ক্বারী শেখ মুহাম্মাদ খলিল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সোমবার (৮ মে) সৌদির এক হাসপাতালে দুপুর ২টার সময় তার ইন্তেকাল হয়।
জানা যায়, গত জানুয়ারিতে ক্বারী শেখ মুহাম্মাদ খলিল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সৌদির একটি হাসপাতালের (আইসিউ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিলো। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই হাসপাতালে তার ইন্তেকাল হয়।
তিনি ছিলেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত ক্বারী ও কুরআনের খাদেম শাইখ খলিল আব্দুর রহমানের সন্তান, যিনি পুরো বিশ্বে শাইখু আইম্মাতুল হারামাইন বা হারামাইন শরীফাইনের (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর) ইমামগণের শাইখ নামে নামে সুপ্রসিদ্ধ।
শাইখু আইম্মাতুল হারামাইনই হলেন একমাত্র ব্যক্তি যার ৩ সন্তানের ২জন মসজিদে নববীর ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালনের সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন আর অপরজন পেয়েছিলেন পুরো সৌদির শ্রেষ্ঠ ক্বারীর খেতাব।
শেখ মুহাম্মাদ খলিলের পিতা শাইখ খলিল আব্দুর রহমান ‘শাইখু আইম্মাতিল হারামাইন’ উপাধি এজন্য লাভ করেছিলেন যে, তার ছাত্রদের মধ্য থেকে ৬ জন মসজিদুল হারামের ও ২সন্তান মসজিদে নববীর ইমাম হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এছাড়া সৌদির সর্বপ্রথম কুরআন তিলাওয়াত ও হিফজ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথিকৃৎ হওয়ায় ‘কুরআনের খাদেম’ হিসেবেও পৃথিবীজুড়ে তার বেশ সুনাম রয়েছে।
কর্মজীবনে ক্বারী শেখ মুহাম্মাদ খলিল প্রথমে মসজিদে নববীর ইমাম হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে মসজিদে নববী থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মদিনা মুনাওয়ারার সর্বপ্রথম মসজিদ ঐতিহাসিক মসজিদে কুবার ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। এটি সেই মসজিদ যা মক্কা থেকে হিজরত করে আসার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম নির্মাণ করেছিলেন।
সূত্র: আল জাজিরা মুবাশির