ব্রিটেন একটি সরকারি সফরের জন্য সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ২০১৮ সালের জামাল খাসোগি হত্যার পর এটিই সর্বপ্রথম তার ব্রিটেন সফর হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।’
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সফরটি চলতি বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাসে হতে পারে। তবে ব্রিটেন অথবা সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ থেকে এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
গত মাসে মুহাম্মাদ বিন সালমান ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রায় এক সপ্তাহব্যাপী অবস্থান করেন। যেখানে তিনি একটি আর্থিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে বৈঠক করেন। আর পশ্চিমা দেশগুলির নেতাদের সাথে তার এ সম্পর্কের বিরোধিতা করেছেন অনেকেই।
তাদের মতে, এ সফরের মাধ্যমে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগীর হত্যা ও বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনকে উপেক্ষা করতে যাচ্ছে লন্ডন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, খাসোগি হত্যার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ভয়াবহ অপরাধ বলে গণ্য করেন। এছাড়াও সৌদি আরব কে অবশ্যই এটি নিশ্চিত করতে হবে যে এমন ঘটনা আর কখনোই ঘটবে না।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পলি ট্রাসকক আসন্ন সফরের নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমানকে অবশ্যই জামাল খাসোগীর হত্যা, কারাবন্দিদের উপর নির্যাতন বন্ধ ও ইয়েমেনের বেসামরিক নাগরিকদের উপর বোমা হামলা করার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিন সালমান যদি ব্রিটেন সফর করে, তাহলে তাকে অবশ্যই সালমা আল শিহাবের বিষয়টির জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে। যিনি নারী অধিকার সমর্থনের জন্য ২৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
উল্লেখ্য; আমন্ত্রণের প্রতিবেদনটি এমন একটি সময় এসেছে যখন ব্রিটেন ‘উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের’ সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। এছাড়াও সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০কে সমর্থনের জন্য ব্রিটেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রিয়াদ। দুইটি দেশ দীর্ঘকাল ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা- সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ, জলবায়ুর নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয় শেয়ার করে আসছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর