মঙ্গলবার, মে ২০, ২০২৫

আমি পরকালে সফল হতে না পারলে তো শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই থেকে যাব : তানজিম সাকিব

spot_imgspot_img

এবারের এশিয়া কাপ আসরে ভারতের বিরুদ্ধে তানজিম হাসানের ক্রিকেটীয় নৈপুণ্যে সাফল্য এনে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে।সদ্য অনুষ্ঠিত এই এশিয়া কাপে দারুণ সাফল্যের পর পুরনো এক ফেসবুক স্টেটাস নিয়ে হঠাৎ করে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই তরুণকে নিয়ে। এবার সেসব নিয়েই মুখ খুললেন মেধাবী এই ক্রিকেটার।

এরপরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তানজিম সাকিব বলেন, মৃত্যুকে সকলেরই মোকাবিলা করা লাগবে। কখন কে মারা যাবে, কেউ কিছু জানে না। আমি পরকালে সফল হতে না পারলে তো শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই থেকে যাব। সুতরাং সেই হিসেব করে আমি ইসলামকে মেনে চলার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি সবসময় ইসলামের মধ্যে থাকার জন্য। আর এই জিনিসটি আমাকে খেলার মধ্যেও অনেক সাহায্য করে।

বাংলাদেশের তরুণ এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ইসলাম আমাকে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে সাহায্য করে। তাতে মানসিকভাবে আমি শক্ত থাকতে পারি। আমার মানসিকতা অন্যদিকে যায় না। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের মানসিকতা ধরে রাখতে পারি। সুতরাং এটি আমাকে দুনিয়া এবং আখিরাত- দুইদিক থেকেই সাহায্য করছে।

তানজিম সাকিবের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থাকা ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের একটি লেখা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সে পোস্টে লেখা ছিল, “স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি করে রাখবেন। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়।”

তানজিম সাকিবের ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল, “আসলে স্ত্রী স্বামীর মর্যাদা বোঝেনি, স্ত্রী নিজের মর্যাদাও বোঝেনি। ঘর একটি জগৎ। অসংখ্য কাজ রয়েছে। আজ ছেলেদের বেকারত্বের বড় কারণ হচ্ছে- মেয়েরা এগিয়ে আসছে, ছেলেরা কোনো চাকরি পাচ্ছে না। একটি ছেলেকে চাকরি দিলে পুরো পরিবারের উপকার হয়।”

পোস্টের শেষে বলা হয়েছিল, “অতএব মা-বোনেরা নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার্থে স্বামীর আনুগত্য ও বাসায় অবস্থান করে রাণীর হালাতে অবস্থান করুন। অতএব মা-বোনেরা দুনিয়া কামাতে যেয়ে আখেরাত না হারিয়ে ঘরে অবস্থান করে স্বামী-সন্তানের খেদমত করে দুনিয়া ও আখেরাত দুটিই কামাই করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।”

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img