শনিবার, মে ১০, ২০২৫

অগ্নিগর্ভ আমেরিকা: চলছে তুমুল বিক্ষোভ, নিহত ১০

spot_imgspot_img

আমেরিকাজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা কারফিউ ভেঙে নেমে এসেছেন রাস্তায়।

গত চারদিনের বিক্ষোভ চলাকালে ১০ জনের প্রাণহানী ঘটেছে বিভিন্ন স্থানে। ২ জুন ভোররাতে লুটের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ফিলাডেলফিয়া সিটিতে আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান ‘ফায়ারিং লাইন ইনক’এ প্রবেশকালে স্টোরের মালিকের গুলিতে এক ব্যক্তি মারা গেছে।

একইসিটিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এটিএম মেশিন উড়িয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাকালে আরেক যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

সোমবার রাতে লাসভেগাসে একটি ফেডারেল ভবনে লুটের চেষ্টাকালে পুলিশের গুলিতে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে গত সপ্তাহে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডে নামে একজন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। এর প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

চলমান এ আন্দোলনে গত তিনদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়েছে। ওরা মিছিলে হাটতে হাটতে সুযোগ বুঝে পার্শ্ববর্তী দামি পণ্যের স্টোরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ করেছে। রবিবার ও সোমবার রাতে বেশ কটি সিটিতে কার্ফিউর মধ্যেও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে ফিলাডেলফিয়া, লসএঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, মায়ামী, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটল, লাসভেগাস, সেন্টলুইস প্রভৃতি স্থানে। নিউইয়র্ক সিটিতে সোমবার রাতে কার্ফিউ সত্বেও বহু দোকানে হামলা, ভাংচুরের পর মূল্যবান সামগ্রি লুট করা হয়েছে।

অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটতরাজের অভিযোগে নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, লসএঞ্জেলেস, আটলান্টা, মিনিয়াপলিস প্রভৃতি স্থানের পুলিশ কর্তৃক মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনদিনে ৬৫০০ দুর্বৃত্তকে গ্রেফতারের তথ্য দিয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্ত শনাক্তের প্রক্রিযার পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও পুলিশ উল্লেখ করেছে।

ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্ক, আটলান্টা, লসএঞ্জেলেস সিটিতে লুটপাটের শিকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img