মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

মুসলিমদের দেখাদেখি রোজা রাখছেন অমুসলিমরাও

সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুসলমানদেরকে দেখে রোজা রাখছেনৈ অনেক অমুসলিম প্রবাসী। মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে রোজা রাখা, ইফতার করার মাধ্যমে তারা সংহতি ও বোঝাপড়ার এক সুন্দর উদাহরণ সৃষ্টি করছেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে খালিজ টাইমস।

দুবাইয়ের এক ব্রিটিশ শিক্ষিকা সোফি মিড বলেন, আমার শিক্ষার্থীরা রোজা রেখে স্কুলে আসে। তাদের অভিজ্ঞতা বোঝার জন্য আমিও রোজা রাখা শুরু করি। ইফতারের সময় খেজুর, তাহিনির সঙ্গে খেজুর এবং এক কাপ কারাক চা পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, আমি সাধারণত সংযত পোশাক পরিধান করি, তবে রমজানে বিশেষভাবে সতর্ক থাকি। সৌদি আরবে সাড়ে তিন বছর থাকার ফলে আমার বেশ কিছু আবায়া সংগ্রহ হয়েছে, যা এই মাসে পরিধান করা আমার কাছে স্বাভাবিক ও সম্মানজনক মনে হয়।’

আবুধাবির মার্কেটিং নির্বাহী ডেভিড থম্পসন বলেন, এই রমজান আমার জন্য বিশেষ এক অভিজ্ঞতা। আমি মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করি, নামাজ আদায়ের দৃশ্য দেখি, যা আমাকে মুগ্ধ করে।

তিনি বলেন, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাওয়া, পান করা বা ধূমপান থেকে বিরত থাকছেন। অনেকবার লাঞ্চের আমন্ত্রণ পেয়েছি, কিন্তু কখনো কখনো আমি বিনয়ের সঙ্গে তা এড়িয়ে নিজের ডেস্কে খেয়ে নিই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই মিলে ইফতারের খাবার প্রস্তুত করেছি ও বিতরণ করেছি। সবাই মিলে রমজানের আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী ছিল।

দুবাইয়ের মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ অ্যামেলিয়া লিউ বলেন, চার বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করে আমি রমজানের গুরুত্ব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি।

দুবাইয়ে বসবাসরত ইতালিয়ান নাগরিক আদ্রিয়ানো ভি. বলেন, মুসলিম বন্ধুদের প্রতি সংহতি জানাতে এই প্রথমবারের মতো রোজা রাখছি। আমি ধৈর্যশীল হতে শিখেছি এবং বুঝতে পারছি, কম সৌভাগ্যবান মানুষের জীবন কেমন হতে পারে।

তিনি জানান, প্রথমে রমজানে রাতের দিকে দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলো দেরিতে খোলা থাকায় তার কৌতূহল জন্মেছিল। পরে ইসলামের রীতিনীতি সম্পর্কে জানার ইচ্ছে তৈরি হয় এবং প্রথমবারের মতো রোজা রাখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

তিনি বলেন, এটি আমাকে অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কেও জানার আগ্রহী করেছে। রমজানের শিক্ষা আমার চিন্তাধারাকে আরও বিস্তৃত করেছে।

spot_imgspot_img

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img