ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ গ্রন্থের ২৭ খণ্ডের বঙ্গানুবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ. ফ. ম খালিদ হোসেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ গ্রন্থের বঙ্গানুবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি মোট ২৭ খণ্ডে অনূদিত হবে।
তিনি বলেন, অনুবাদ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল। তাই আক্ষরিক অনুবাদের পরিবর্তে যথার্থতা ও সময়োপযোগিতা বজায় রেখে অনুবাদ করতে হবে। বাংলা ভাষায় ফাতাওয়ায়ের প্রাঞ্জল অনুবাদ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ সংক্রান্ত নীতিমালা নির্ধারণী’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন গবেষণা ও প্রকাশনার মানোন্নয়নে সবসময় সচেষ্ট। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইসলামিক জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
অনুবাদের সময়কাল, বাজেট ও কার্যপরিকল্পনা নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জানান, প্রকল্পটি ৩ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুবাদের পাশাপাশি প্রতিটি খণ্ডে ব্যাখ্যামূলক টিকা সংযোজনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
সেমিনার শেষে আলেম, গবেষক ও অনুবাদকদের মতামতের ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। বক্তারা সরকারের এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় বলে অভিহিত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ডের গভর্নর আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ নেসারুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও মাওলানা মাহফুজুল হক।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আব্দুল মালেক, দেশের বিশিষ্ট অনুবাদকবৃন্দ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালকবৃন্দ প্রমুখ।