ভারতীয় নৌ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ মোট ৪৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে অমানবিকভাবে আন্দামান সাগরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এসময় তাদের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন হিসেবে লাইফ জ্যাকেট সাথে দেওয়া হয়। কোনমতে বেঁচে উপকূলে পৌঁছে তারা মায়ানমারে ফিরে যান।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (৮ মে) এই ঘটনা ঘটে। মায়ানমারে ফেরত যাওয়ার পর অভিযুক্তরা গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এই শরণার্থীদের চোখ বাঁধা এবং হাত বেঁধে একটি নৌবাহিনীর জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়া হয় এবং সাঁতরে উপকূলে পৌঁছাতে বাধ্য করা হয়। অনেকেই অসুস্থ ছিলেন, কেউ কেউ ক্যান্সার বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা এর ভারত শাখার কাছে নিবন্ধিত ছিলেন। তাদের দিল্লির উত্তম নগর এলাকা থেকে ‘বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ’-এর অজুহাতে আটক করা হয়েছিল।
৮ মে-তেই ভারতের সলিসিটার জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন “আইন অনুযায়ী নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসারে” হবে। অথচ একই দিনে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গা প্রতিনিধি ডেভিড নাজির জানান, তার বাবা-মা-সহ অনেককে প্রথমে দিল্লি থেকে পোর্ট ব্লেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর জাহাজে উঠিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।
একটি পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে যেন অবিলম্বে এই রোহিঙ্গাদের ভারতে ফিরিয়ে আনা এবং মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি ঘিরে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সূত্র: মকতব মিডিয়া