সোমবার | ২০ অক্টোবর | ২০২৫

আমেরিকায় বসে ভারতে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান যদি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তবে তারা পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে “অর্ধেক বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে ডুববে”। একইসঙ্গে ইন্দাস নদীর ওপর ভারত বাঁধ নির্মাণ করলে তা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।

গত সপ্তাহে আমেরিকার ফ্লোরিডার টাম্পা শহরের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পাকিস্তানি ব্যবসায়ী আদনান আসাদের আয়োজিত এক নৈশভোজে এই বক্তব্য দেন আসিম মুনির। তিনি সেখানে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) বিদায়ী কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলার বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ ছিল এবং কোনো লিখিত ভাষ্য প্রচার করা হয়নি। দ্য প্রিন্ট জানিয়েছে, উপস্থিত কয়েকজন অতিথির বক্তব্য শুনে তারা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

আসিম মুনির বলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর জাতি। যদি আমরা মনে করি আমরা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছি, তাহলে পাকিস্তান সঙ্গে অর্ধেক বিশ্বকে নিয়ে ডুববে।” দ্য প্রিন্ট উল্লেখ করেছে, এটি আমেরিকার মাটি থেকে তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম পারমাণবিক হুমকি।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, সিন্ধু নদের ওপর ভারত যদি বাঁধ নির্মাণ করে, পাকিস্তান তা ধ্বংস করবে। পেহেলগাম হামলার পর নয়াদিল্লি এই চুক্তি স্থগিত করে। তিনি বলেন, “যদি ভারত এই চুক্তি বাতিল করে বাঁধ নির্মাণ করে, তাহলে পাকিস্তান ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরে তা ধ্বংস করে দেবে।”

আসিম মুনির পেহেলগাম হামলার পর ভারতের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রকাশ না করায় কটাক্ষ করে বলেন, “ভারতীয়দের উচিত তাদের পরাজয় মেনে নেওয়া।” তিনি আরও বলেন, যদি ভারত তাদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করে, তবে পাকিস্তানও নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশে রাজি।

তিনি বলেন, “যুদ্ধ যেমন শুধু জেনারেলদের জন্য নয়, তেমনি রাজনীতিও শুধু রাজনীতিবিদদের জন্য নয়।” এই বক্তব্যে তিনি সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে যুক্তি দেন।

আসিম মুনিরের এই সফর ছিল দেড় মাসের মধ্যে তার দ্বিতীয় আমেরিকা সফর। এর আগে তাকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতিকে এখনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা পাকিস্তানের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তান এই সফরকে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছে।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট, এনডিটিভি, মানিকন্ট্রোল

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img