অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান এই আদেশ দেন।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রমনা থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। পরে তদন্ত শেষে ওই বছরের জুলাই মাসে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার বিচার শুরু হয়। এর প্রায় ১৫ বছর পর আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক শেষে খালাসের রায় দিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গয়েশ্বর রায় সম্পদের বিবরণীতে দুটি বাড়ি দেখিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার রায়ের বাজারের ছয়তলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে বানানো বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। ব্যয়ের এই পরিমাণ গণপূর্ত বিভাগের হিসাবের চাইতে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা কম। যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে দদুক। এছাড়াও, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলেও উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশনের কাছ থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা নেন। যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।