চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের পর আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, তিন ধাপে চেক করা হচ্ছে, কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই। এর চেয়ে ভালো কালি দিতে হলে বিদেশ থেকে আনতে হবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ৫ কেন্দ্রে চলছে চাকসুর ভোটগ্রহণ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্রোহ পর্ষদ, ১২টায় ছাত্রদল এবং সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ দেওয়া হয়। এ অভিযোগের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমরা বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো কালি পাইনি। এর চেয়ে ভালো কালি দিতে হলে বিদেশ থেকে আনতে হবে। তবে কালি মুছে গেলেও একজন ভোটারের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সবাইকে তিন ধাপে চেক করা হচ্ছে, প্রথমে ভোটারের সিরিয়াল নম্বর চেক করা হচ্ছে, এরপর আইডি নম্বর, এরপর ভোটারের নাম ও ছবি মিলিয়ে দেখে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। তাই কারো পক্ষে দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।
ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা বললেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। প্রশাসন ইতোমধ্যে তাদের দায় স্বীকার করেছে। এটা ভোটের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, আমি নিজে ভোট দেওয়ার পর দেখেছি হাতের কালি উঠে যাচ্ছে। প্রশাসন এ ব্যাপারে কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।