জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বোরকা নিষিদ্ধ করে আইন পাস করেছে পর্তুগালের পার্লামেন্ট অ্যাসেম্বলিয়া ডা রিপাবলিকা।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতে পাস হয়েছে আইনটি।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, “এখন থেকে দেশের কোনো জনসমাগমপূর্ণ স্থানে এমন কোনো পোশাক বা বস্ত্রখণ্ড কোনো নারী-পুরুষ পরতে পারবেন না, যা মুখাবয়ব বা মুখমণ্ডল ঢেকে রাখে। যদি কেউ এই আইন অমান্য করেন, তাহলে তাকে সর্বনিম্ন ২০০ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ হাজার ৪৭৬ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫২০ টাকা) জরিমানা প্রদান করতে হবে।”
পর্তুগালের পার্লামেন্টে কয়েক দিন আগে বিল আকারে প্রস্তাবটি এনেছিল দেশটির কট্টর ডানপন্থি চেগা পার্টি। কয়েক দিন ধরে প্রস্তাবটির পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক-বিতর্কের সময় চেগা পার্টির এমপিরা বলেছেন, পর্তুগালে অধিকাংশ মেয়ে এবং নারী স্বেচ্ছায় বোরকা পরেন না। পারিবারিক ও ধর্মীয় চাপের কারণে তারা বোরকা পরতে বাধ্য হন। এটা একধরনের পীড়ন বা জুলুমবাজি।
তারা আরও বলেন, পর্তুগালের সামাজিক মূল্যবোধ ও রীতিনীতিতে মুখমণ্ডল উন্মুক্ত রাখাকে সম্মান করা হয়। যেসব অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশের নাগরিক হয়েছেন এবং যারা নাগরিকত্বের অপেক্ষায় আছেন, তাদের অবশ্যই পর্তুগালের সামাজিক রীতিনিতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
অন্যদিকে বিরোধীরা বলেন, নতুন এই বিলটি বৈষম্যমূলক। পর্তুগালের সামাজিক মূল্যবোধে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি স্বীকৃত এবং নতুন বিলে ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত হানা হয়েছে। তারা আরও বলেন, আইনটি পাস হলে দেশে বসবাসরত একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (মুসলিম) চাপ অনুভব করবেন।
কয়েক দিন তর্ক-বিতর্ক চলার পর শুক্রবার পার্লামেন্টে ভোটের জন্য বিলটি তোলার পর সংখ্যাগরিষ্ট এমপি সেটির পক্ষে ভোট দেন। ফলে শুক্রবার থেকেই আইনে পরিণত হয়েছে সেই বিল।
সূত্র : পর্তুগাল ডট কম