মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর | ২০২৫

হাসিনার ফাঁসি কার্যকর হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে: শহীদ সাগরের বাবা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জুলাই আন্দোলনে শহীদ সাগরের বাবা তোফাজ্জল হোসেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে শহীদ সাগরের বাবা তোফাজ্জল হোসেনকে ফোন দেওয়া হলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে তিনি এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।

তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশেই সাগরসহ শত শত ছেলে-মেয়েকে এ আন্দোলনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ (গতকাল সোমবার) তার ফাঁসির রায়ে আমিসহ সব শহীদ পরিবার খুশি। কিন্তু এই খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। ফাঁসির রায় কার্যকর হলেই সব শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তখন ভয়ে কথা বলতে পারিনি। ছেলে হত্যার পর থেকেই আমি নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছেন।

সন্তানের স্মৃতিচারণ করে তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সাগর অত্যন্ত মেধাবী ছিল। সে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে ভর্তি হয়।

সাগরের বাবা বলেন, পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে আমি তার (সাগর) পড়ার খরচ ঠিকমতো দিতে পারতাম না বলে সে টিউশনি করে নিজের খরচ নিজেই চালাত। সাগরের স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হবে, সরকারি চাকরি করবে। সেই স্বপ্ন নিয়েই চাকরির জন্য কোটা আন্দোলনে গিয়েছিল, ফিরল লাশ হয়ে। আমি শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম, যারা সাগরকে হত্যা করেছে তাদের যেন বিচার হয়। আল্লাহ আমার কথা শুনেছে।

শহীদ সাগর আহম্মেদের বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের টাকাপোড়া গ্রামে। তিনি রাজধানীর মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর-১ গোলচত্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img