বাগেরহাটে যুবলীগ নেতা সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেল ও তার ভাই জুয়েল হাওলাদারের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে মারধর ও তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে মারধরের শিকার বাগেরহাট বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোশনী আক্তার, তার বাবা শামীম বিশ্বাস ও তার মা আদুরী আক্তার উপস্থিত ছিলেন। রোশনী আক্তার বাগেরহাট স্টেডিয়াম সড়ক এলাকার বাসিন্দা।
রোশনি আক্তার বলেন, ২৮ নভেম্বর বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাগেরহাট স্টেডিয়াম সড়ক এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে পৌঁছালে নাগেরবাজার এলাকার বাসিন্দা যুবলীগকর্মী জুয়েল হাওলাদার রাস্তার ওপরে আমাকে এলোপাথারি মারধর করেন।
আমার চিৎকার শুনে বাবা-মা ও ছোট ভাই ছুটে এলে, তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি দেয়। পরে হামলাকারী জুয়েলের ভাই সোহেল আমাদের ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে আমার ছোট ভাইয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাদা দাবি করেন। যাওয়ার সময় আমাদের ঘরের বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলের বিরুদ্ধে বাগেরহাট মডেল থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামালা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সোহেলকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাঈদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত অপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।









