সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এমন এক সময়ে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল সৌদি আরব গেছে। অনেকেই এই সফরকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙার নতুন চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
ইমারাতে ইসলামিয়ার জ্যেষ্ঠ সদস্য আনাস হক্কানী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী রহমতুল্লাহ নাজিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহহার বালখি এই প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে রিয়াদে অবস্থান করছেন।
সূত্রগুলো জানায়, একই সময়ে পাকিস্তানেরও একটি প্রতিনিধিদল রিয়াদে পৌঁছেছে। সৌদি আরব এ পর্যায়ের আলোচনায় সক্রিয় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে। অনেকের মতে, এই ভূমিকা কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে স্থগিত হয়ে থাকা আলোচনার জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে।
এ পর্যন্ত আফগানিস্তান, পাকিস্তান বা সৌদি আরবের কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মকর্তা এই সফর ও বৈঠকগুলোর বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের কড়া ভাষার বক্তব্য, সামরিক অভিযানের হুমকি এবং দুই দেশের নিরাপত্তা–সংক্রান্ত উদ্বেগ, এসব কারণে কাবুল ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান একাধিকবার আফগানিস্তানকে বিভিন্ন অভিযোগে দোষারোপ করেছে। অপরদিকে ইমারাতে ইসলামিয়া পরিষ্কার জানিয়েছে, চাপ ও হুমকি কোনো ফল বয়ে আনবে না এবং সমস্যার সমাধান শুধু আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমেই সম্ভব।
এর আগে, প্রায় গত দুই মাসে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত বেড়ে যাওয়ার পর দুই পক্ষের প্রতিনিধিদল তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় দোহা ও ইস্তানবুলে তিন দফা আলোচনা করেছে। তবে তৃতীয় দফা আলোচনা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের “অযুক্তিক দাবির” কারণেই এই তৃতীয় দফা আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সূত্র : তোলোনিউজ









