রাষ্ট্রধর্ম অবমাননা করলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ আলেম সমাজ।
সাধারণ আলেম সমাজ বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থাকলেও সংবিধান (২ ‘ক’ অনুচ্ছেদ) ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেছে। ফলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অবমাননা করলে যেমন রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি হয়, তেমনি রাষ্ট্রধর্ম অবমাননা করলেও রাষ্ট্রদ্রোহিতার আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব আব্দুস সালাম হলে সাধারণ আলেম সমাজ আয়োজিত ‘১৩ থেকে ২৪ ফ্যাসিবাদের পতনে আলেম সমাজের রাজনৈতিক অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ শোষণ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেন। শাপলা চত্বরের গণহত্যা, মোদীবিরোধী আন্দোলনের দমনপীড়ন, জেল-জুলুম, নির্যাতন এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম সমাজের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে যখন নৈতিক ভিত্তির প্রয়োজন হয়, তখন আলেম সমাজ সামনে এগিয়ে আসেন। কিন্তু প্রতিবারই বিজয়ের পর তাদের অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। এবার সেই অন্যায় আর হতে দেওয়া হবে না।
সাধারণ আলেম সমাজের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রিদওয়ান হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজ, এবি পার্টির ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির সারোয়ার তুষার, মো. নিজাম উদ্দীন, ড. আতিক মুজাহিদ, ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদী, মোহাইমিন পাটোয়ারী, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের জাহিদ আহসান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ প্রমুখ।