বুধবার | ৩ ডিসেম্বর | ২০২৫

আমেরিকা ‘প্রতারণা’ বন্ধ না করলে কোনো আলোচনা নয়: ইরান

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় বসার আগে আমেরিকাকে অবশ্যই কূটনৈতিক অঙ্গীকারে সত্যিকারের আন্তরিকতা প্রমাণ করতে হবে বলে জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি বলেন, আমেরিকা যদি পরমাণু আলোচনা ফের শুরু করতে চায়, তবে তাদের আগে প্রমাণ করতে হবে যে তারা প্রকৃত কূটনৈতিক পথে হাঁটতে প্রস্তুত। কূটনীতি যেন প্রতারণা বা মানসিক যুদ্ধের অস্ত্র না হয়।

আলোচনা পুনরায় শুরু হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বাঘায়ি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওমান, কাতারসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে। কূটনীতি কখনো থেমে থাকে না।

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ওমানের মধ্যস্থতায় ইরান ও আমেরিকার মধ্যে রোম ও মাসকাটে পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা হয়।

এই আলোচনা ১৩ জুন ইরানের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসী হামলার পর বন্ধ হয়ে যায়। টানা ১২ দিন ধরে চলা এই সংঘাতে ইরান পাল্টা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিব ও হাইফাসহ বিভিন্ন ইসরাইলি স্থাপনায় আঘাত হানে।

সংঘাতের এক সপ্তাহ পর আমেরিকা সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ২২ জুন আমেরিকা ইরানের ফোরর্দো, নাটানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত শান্তিপূর্ণ পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বাঘায়ি বলেন, ইসরাইল ও আমেরিকার এই আগ্রাসন ছিল ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। এই ১২ দিনের যুদ্ধ ছিল একতরফা হামলা, যাতে প্রায় এক হাজার ইরানি নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমেরিকা যদি সত্যিই কূটনীতি চায়, তাহলে তারা কেন ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর অবৈধ হামলা চালাবে? আমাদের পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা দ্বারা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় রয়েছে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেকোনো নতুন আগ্রাসনের জবাব দিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

বাঘায়ি বলেন, ইরান এরই মধ্যে প্রমাণ করেছে যে, দেশ ও জাতির মর্যাদা রক্ষায় তারা শক্ত হাতে জবাব দিতে প্রস্তুত। আমরা আমাদের সংকল্প ও শক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছি জাতিকে রক্ষা করতে আমরা পিছপা হবো না।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img