বুধবার, মে ৭, ২০২৫

সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

spot_imgspot_img

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নং আমলী আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে- এলজিআরডি মন্ত্রীর শ্যালক ও লাকসাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, লাকসাম পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলর মোহাম্মদ উল্লাহ, বিপুলাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, কান্দিরপাড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কাউন্সিলর খলিলুর রহমান, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীর ভাতিজা আমিরুল ইসলাম, তাজুলের উন্নয়ন সমন্বয়কারী কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আজকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, আবদুল কাদের শাহীন ও কাওছার আহমেদ।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ এর ৩ আগস্ট রাতে লাকসাম পৌরসভার নশরতপুর এলাকার বাইপাস মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর ও একই মাসের ১৮ আগস্ট রোববার রাতে বসত বাড়িতে চাঁদা দাবি, হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও পরিবারসহ হত্যার চেষ্টার ঘটনার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৯০ জনের বিরুদ্ধে ২৪ এর ২৭ আগস্ট কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৮ নং আমলী আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলার নশরতপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে এবং লাকসাম পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির আহমেদ।

বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

লাকসাম থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সূত্র: বাসস

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img