কাশ্মীরীদের পক্ষ থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন কর্তৃক অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া দখলকৃত অঞ্চলটির ব্যক্তিদের মুক্তিতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবাধিকার, ধর্মীয় সহনশীলতা ও বিশ্বশান্তির জন্য সক্রিয় শীর্ষস্থানীয় কাশ্মীরী সংস্থা ‘আইএনএসপিএডির’ সভাপতি ড. মুহাম্মদ তাহির তাবাসসুম কাশ্মীরীদের পক্ষে বন্দী মুক্তির হস্তক্ষেপ কামনা করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ড. জাসিম মুহাম্মদ আল-মুতহারিকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, যেনো তারা ভারত দখলকৃত জম্মু-কাশ্মীরে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক নেতা ও অন্যান্যদের বন্দী করার বিষয়টি ভারত সরকারের সামনে জোরালোভাবে উত্থাপন করেন।
চিঠিতে তিনি কারাগারে চিকিৎসা সুবিধা না থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন। অভাবের দিকেও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য তাদের প্রভাব খাটানোরও অনুরোধ করেন।
এছাড়াও বলা হয়, ভারত সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর অঞ্চলটির রাজনৈতিক নেতৃত্বদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় শুরু করে। তাদের ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী করে। বর্তমানে তারা কারাগারে চরম অমানবিক পরিবেশে রয়েছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে আইনি সহায়তা দেওয়াও প্রায় অসম্ভব করে রাখা হয়েছে।
ড. তাবাসসুম আরও লিখেন, নরেন্দ্র মোদির উগ্রবাদী সরকার বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদি সরকার সংখ্যালঘুদের, বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়কে তার পরিকল্পনার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এর সবচেয়ে স্পষ্ট উদাহরণ হলো, তার সরকারের তৈরিকৃত দমনমূলক আইন।
মাসাররাত আলম ভাট, ইয়াসিন মালিক, শাব্বির আহমদ শাহ, ফারুক আহমদ দার, আসিয়া আন্দরাবি এবং আরও অনেক বিশিষ্ট কাশ্মীরি নেতা দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। তাদের চিকিৎসা সুবিধা থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে জাতিসংঘ, মানবাধিকার কাউন্সিল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানবিক হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।