কাতারের রাজধানীতে চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ১০ বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় গাজ্জায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করার শর্তে ১০ ইসরাইলী বন্দীকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস।
দলটির সিনিয়র কর্মকর্তা তাহের আন-নুনু সংবাদমাধ্যমকে একথা জানান। তিনি বলেন, দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় হামাস সর্বোচ্চ নমনীয়তা দেখাচ্ছে। মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে। এবারের যুদ্ধবিরতি আলোচনাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। এরপরও আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা ও আমাদের মূল দাবী আদায়ে অনড় ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকছি।
ইসরাইলকে অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। অবাধে মানবিক সহায়তা প্রবেশের নিশয়তা দিতে হবে। কোনোভাবেই একে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা যাবে না।
এছাড়া টেকসই যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসরাইলের উপর আমেরিকার সত্যিকারের প্রভাব রয়েছে। তারা যদি বাস্তবিক অর্থে যুদ্ধবিরতির সদিচ্ছা রাখে তবে ইসরাইল যেকোনো চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে। যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টির জন্য তাদের রাজনৈতিক বল প্রয়োগ করতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, শর্ত সাপেক্ষে হামাসের নমনীয়তায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রগতি ঘটলেও ইসরাইল এতে সম্মত কি না তা এখনো জানা যায়নি। সর্বশেষ গত মে মাসে জায়োনিস্ট অবৈধ রাষ্ট্রটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও নির্ধারিত বন্দীদের মুক্তির পর চুক্তি লঙ্ঘন করে পুনরায় গণহত্যা শুরু করেছিলো। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তাদের জামানাত হওয়া আমেরিকা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্রটিকে চুক্তিতে বহাল রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলো। বরং উল্টো অস্ত্রশস্ত্র, আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করে গিয়েছিলো।