শুক্রবার | ১১ জুলাই | ২০২৫

আয়াসোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের ৫ম বার্ষিকী উদযাপন করছে তুরস্ক

spot_imgspot_img

ঐতিহাসিক আয়াসোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরের ৫ম বার্ষিকী উদযাপন করছে তুরস্ক।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি বার্তা দেন।

বার্তায় তিনি বলেন, “পাঁচ বছর আগে আজকের এই দিনে আমরা এর শেকল ভেঙে দিয়েছিলাম। আয়াসোফিয়াকে আবার আজানের ধ্বনিতে গুঞ্জরিত করেছিলাম। ইনশাআল্লাহ, এটি চিরকাল মুক্তই থাকবে।”

এক্সে প্রকাশিত পোস্টে তিনি একে আনুষ্ঠানিক ভাবে মসজিদে হিসেবে ফিরিয়ে আনার ডিক্রির অনুলিপিও শেয়ার করেন, যা অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিলো। যার মাধ্যমে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ করা হয়েছিলো এবং সকলের নামাজ আদায়ের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছিলো।

উল্লেখ্য, আয়াসোফিয়া অতীতে ৯১৬ বছর ধরে একটি গির্জা ছিল, যা সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ কর্তৃক ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। এরপর ১৪৫৩ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর এটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কামাল আতাতুর্কের আমল থেকে পরবর্তীতে ৮৬ বছর ধরে এটি ছিলো একটি জাদুঘর।

এরদোগানসহ তুরস্কের অন্যান্য নেতারা বহুদিন যাবত একে পুনরায় একটি কার্যকর মসজিদে রূপান্তরের পক্ষে সংগ্রাম করে আসছিলেন, যেনো মুসলিমদের নামাজ আদায়ের জন্য একে উন্মুক্ত করে দেওয়া যায়।

২০২০ সালের ১০ জুলাই, তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিপরিষদের সেই আদেশ বাতিল করে, যা আয়াসোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করেছিলো। এই আদেশ বাতিলের মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থাপনাটি পুনরায় মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত হয়।

আদালতের রায় আসার পর সেদিনই এরদোগান পুনরায় আয়াসোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরের একটি ডিক্রিতে দস্তখত করে একটি অনুলিপি টুইটারে (বর্তমান এক্সে) শেয়ার করেন। ২৪ জুলাই আয়াসোফিয়ায় জুমা অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।

এর ফলশ্রুতিতে ২০২০ সালের ২৪ জুলাই, শুক্রবার, ৮৬ বছর পর প্রথমবারের মতো মুসলিমরা এক সময় বিশ্বজুড়ে মুসলিম শাসনের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীকে পরিণত হওয়া আয়াসোফিয়া জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের সুযোগ পায়।

আয়াসোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা হলেও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নীতিতে পরিবর্তন এনে পর্যটকদের জন্য একে উন্মুক্ত রাখা হয়। কেননা ঐতিহাসিক স্থাপনাটি ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কোর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা পায় এবং ৮৬ বছর যাবত বিশ্ব পর্যটনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ হিসেবে বহাল ছিলো।

সূত্র: টিআরটি

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img