ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আকস্মিক প্রতিরোধ দিল্লিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য করেছে। পাকিস্তানের দুর্ধর্ষ মিসাইল হামলার ভয়াবহতার কবলে পড়ে ওয়াশিংটনের কাছে যুদ্ধ বিরতির জন্য অনুরোধ করে ভারত। শনিবার রাতে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরপর এমন বার্তা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর যুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিক নিক রবার্টসন।
শনিবার সিএনএন’কে রবার্টসন বলেন, পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিতে ভারতীয় আক্রমণের পর পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসলামাবাদ। ভারতীয় সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি ও অস্ত্র গুদাম লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল ও রকেট নিক্ষেপ করে পাকিস্তান। এতে হতভম্ব হয়ে যায় ভারত। তারা বুঝতেই পারেনি কী ঘটেছে।
সিএনএন’র সাথে আলাপকালে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় উপস্থিত একজন কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দেন রবার্টসন।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান। এজন্য একটি ‘সামরিক বিরতিতে’ ছিল পাক সেনাবাহিনী। তবে এর মধ্যেই আক্রমণ শুরু করে ভারত। জবাবে মিসাইল ও রকেট ব্যবহার করে তীব্র আক্রমণ চালায় ইসলামাবাদ। যার ফলে অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও, সৌদি আরব ও তুরস্কের কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতা চাইতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি।
রবার্টস আরো বলেন, এক ধরনের আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কথাটা ছিল এমন, “এখন যুদ্ধ বিরতি না হলে আর কখনোই সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, গত ৭ মে পাকিস্তানে মিসাইল হামলা চালিয়ে নারী ও শিশু সহ অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এতে করে দীর্ঘ কয়েক দশকের বৈরিতা আবারো সংঘাতে রুপ নেয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ভারতে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে ভারতের তিনটি রাফালসহ মোট ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত হয়।
সূত্র: জিও টিভি