ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তান ও জার্মানির মধ্যকার সম্পর্ক বেশ পুরোনো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্কের চির ধরলেও নতুন করে তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ খুঁজছে বার্লিন। আফগান অভিবাসীদের বিষয়ে জার্মানির উদ্বেগ ও আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা উভয় পক্ষকেই আলোচনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
রবিবার (১০ মার্চ) জার্মান এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি’র প্রধান ব্রুনো কাহল।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করছে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এই তথ্য জার্মান সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে যে, কিভাবে আফগানিস্তানের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া যায়।
কাহল বলেন, “আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। যাতে জার্মান সরকার যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকেও তথ্য পাই, যা নীতি নির্ধারণে সহায়ক হয়।”
এদিকে, জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা প্রধানের বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমারাতে ইসলামীয়া আফগানিস্তানের ডেপুটি মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত।
তিনি বলেন,”আফগানিস্তান সকল দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়, যার মধ্যে জার্মানিও রয়েছে। জার্মানি ও আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা দুই দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে।”
উল্লেখ্য, জার্মানি ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক শত বছরেরও বেশি পুরোনো, যা শিক্ষা, অবকাঠামো ও কূটনীতির দৃঢ় ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছিল। ২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর জার্মানি আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে কাজ শুরু করে। কিন্তু ২০২১ সালে ন্যাটো বাহিনীর প্রত্যাহারের পর জার্মানি আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থেকে বিরত রয়েছে। জার্মানির বর্তমান উদ্যোগ যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সূত্র: আরিয়ানা নিউজ