ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতী রেজাউল করীম বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লাগাতার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এখন তারা বছরের পর বছর ধরে ভারতে থাকা মানুষদের ধরে ধরে পুশ-ইনের মতো অমানবিক ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর শক্ত প্রতিবাদ হতে হবে, শক্ত অবস্থান নিন। এই পুশ-ইন বন্ধ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) রাজশাহীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতী রেজাউল করীম বলেন, ‘আপনারা অভ্যুত্থানের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। ফলে ভারতের দেশবিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় যা করার তাই করুন। জনতা আপনাদের সাথে আছে। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন বিচারিক প্রক্রিয়ায় দল হিসেবেই তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ও মৌলিক সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
চরমোনাই পীর সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশের স্বার্থে কোনো কাজ করেনি। তাদের করা প্রত্যেকটা বৈদেশিক চুক্তি ও বিনিয়োগ চুক্তির পেছনে ব্যক্তিগত স্বার্থ ছিল। তাই পতিত সরকারের শুরু করা কোনও চুক্তিই বাস্তবায়ন করা ঠিক হবে না। চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল অপারেশনের কাজ ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে ছেড়েও দেওয়ার যে উদ্যোগ পতিত সরকার নিয়েছিল তা বাতিল করতে হবে। একই সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো ভূরাজনৈতিক কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর পরিচালনায় বিদেশিদের অন্তর্ভুক্ত করা সমীচীন হবে না। বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে দেশীয় সংস্থাগুলোকে দক্ষ ও যোগ্য করে তোলার প্রতি নজর দিতে হবে।
রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নুরুন নবী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলনের রাজশাহী জেলা সভাপতি মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী প্রমুখ।