ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকার নিজের জন্য একটি ‘তিক্ত ও বেদনাদায়ক’ ভাগ্য নির্ধারণ করেছে, যার কঠিন পরিণতি তাদেরকে ভোগ করতেই হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে আয়াতুল্লাহ খামেনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “ইহুদিবাদী সরকার তার অশুভ ও রক্তাক্ত হাত দিয়ে আমাদের প্রিয় দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে তারা নিজেদের দুর্বিনীত ও কাপুরুষোচিত চরিত্র উন্মোচিত করেছে। এ অপরাধের কড়া জবাব অবশ্যই দেয়া হবে।”
খামেনি আরও জানান, এই হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “তাদের উত্তরসূরিরা অবিলম্বে অসমাপ্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন।”
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, “ইহুদিবাদী সরকারের এই বর্বরতা তাদের জন্যই একটি অভিশপ্ত ও দুর্ভাগ্যজনক ভবিষ্যৎ বয়ে আনবে। আল্লাহর ইচ্ছায়, তারা সেই পরিণতি ভোগ করেই ছাড়বে।”
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত থেকে ইসরাইলি বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানের আশপাশে এবং অন্যান্য শহরে একযোগে হামলা শুরু করে। ইরান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরাইলের এই হামলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সংবাদকর্মীরা জানান, হামলায় নারী ও শিশুসহ অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে তারা শিশু ও নারীর মরদেহ উদ্ধার করতে দেখেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলার জবাবে ইরানের কৌশলগত প্রতিক্রিয়া শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইরান কীভাবে এবং কবে সেই “কঠোর জবাব” দিবে, যা খামেনি ও সামরিক বাহিনী একসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে।









