পাকিস্তান তেহরিকই ইনসাফের (পিটিআই) দেশব্যাপী বিক্ষোভে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই ছেলে সুলাইমান এবং কাসিম নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তদবির প্রচেষ্টার পর দুই ভাই পাকিস্তানে আসার পরিকল্পনা করছেন।
আগামী ৫ আগস্ট পাকিস্তানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের এ দিনে পিটিআই নেতা ইমরান খানকে ‘বেআইনিভাবে’ গ্রেফতার করা হয়। এ দিনটিকে স্মরণ করেই তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইমরান খানের বোন আলিমা খান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি আর কেবল রাজনীতির বিষয় নয়, এটি ন্যায়বিচারের বিষয়। ইমরান খানের ছেলেরা তাদের বাবার সঙ্গে এবং পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে থাকবেন। ’
এছাড়া ইমরান খানের দুই ছেলে সম্প্রতি একটি পডকাস্টে তার বাবার কারগারের অবস্থা নিয়ে কথা বলতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তারা বলেন, ‘ইমরান খানকে ভেঙে ফেলার জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ’
তারা পডকাস্টের জন্য ইমরান খানের কাছ থেক অনুমতি নিয়েছিলেন। যদিও তারা বলেছিলেন, তাদের বাবা তাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন কারণ এই অঞ্চলে বংশগত রাজনীতির প্রসার এবং মাত্র দুটি দলের আধিপত্য রয়েছে।
পডকাস্টে তারা ইমরান খান বর্তমান অমানবিক পরিস্থিতিতে কারাগারে দিনাতিপাত করছেন তার ওপর আলোকপাত করেছিলেন। তারা বলেন, ‘আমরা যা চাই তা হল পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ, কারণ বর্তমানে তিনি (ইমরান খান) অমানবিক পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন। তারা তাকে মৌলিক মানবাধিকার দিচ্ছে না। তারা আসলে যথেষ্ট কিছু করছে না। এবং আমরা যা চাই তা হল বিশ্বব্যাপী চাপ। ’
আলিমা খান ইমরানের দুই ছেলে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণার পর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ সতর্ক করে বলেন, তারা যদি ‘হিংসাত্মক প্রতিবাদ’-এ অংশগ্রহণ করে তবে তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।
রানা সানাউল্লাহ’র এই মন্তব্যের পর পাকিস্তান সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাবে স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ।
এক এক্স পোস্টে জেমিমা গোল্ডস্মিথ বলেন, ‘আমার সন্তানদের তাদের বাবা ইমরান খানের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি প্রায় ২ বছর ধরে নির্জন কারাগারে বন্দি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সরকার এখন বলেছে যে যদি তারা তাকে দেখতে সেখানে যায়, তাহলে তাদেরও গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হবে। গণতন্ত্র বা কার্যকর রাষ্ট্রে এটি ঘটে না। এটি রাজনীতি নয়। এটি ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা। ’
এছাড়া ইমরান খানের ছেলেরা ব্রিটিশ নাগরিক। তারা ভিসা নীতি লঙ্ঘন করলে তাদের নির্বাসন বা আটকের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে। অতীতেও পিটিআইয়ের বিক্ষোভে ব্যাপক ধরপাকড় দেখা গেছে।