ভারত নির্ভর রাজনীতি এদেশে আর চলবে না উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে তাদের এতো ভয়ের কারণই হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী রাজপথে থাকলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট আর ভারতীয় তাবেদারি করতে সমস্যা হবে। এজন্য ভারতের পরামর্শে জামায়াতের বিরুদ্ধে এখন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, মিডিয়া খবর প্রকাশ হচ্ছে, ভারত তাদের শর্ত দিয়েছে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে। তাহলে ভারত তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নয়, তারাই ভারতীয় বাবুদের হাতে-হাত রাখে। পিছনের দরজা দিয়ে কেউ আর এদেশে ক্ষমতার মসনদে বসতে পারবে না। জনগণ সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আবারও কেউ সেই পথ খুলতে চাইলে আওয়ামী লীগেরর মতই তাদেরকেও ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আশিকুর রহমান হৃদয়ের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন, ৫ আগস্টকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলতে যাদের কষ্ট হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান না ঘটলে তারা রাজপথে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পেতো না। স্বাধীনতা অস্বীকারকারীরাই স্বাধীনতা বিরোধী। জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রাম সমর্থন করে এবং স্বীকার করে। অথচ আজকে একদল শুধু ১৯৭১ কে স্বীকার করছে। এরা ৫ আগস্টের আগে কথা বলারও সুযোগ পায়নি সেটি ভুলে গেছে। ছাত্র-জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে জাতিকে যেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এই স্বাধীনতাও ছিনতাই করতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস বিকৃত করতে দিবে না। সেজন্য শহীদদের নিয়ে ১০ খন্ডে আড়াই হাজার পৃষ্ঠায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, আমীরে জামায়াত ঘোষণা দিয়েছেন আমরা শহীদদের দলীয় সম্পদে রূপ দিবো না। শহীদেরা জাতীয় সম্পদ। তাই দলমত নির্বিশিষে জামায়াতে ইসলামী জুলাই-গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদ পরিবারকে নগদ ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব জামায়াতে ইসলামী পালন করেছে। যেটি করার কথা ছিল রাষ্ট্রের সেটি রাষ্ট্র যথাযথভাবে এখনো পালন করতে পারেনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা জামায়াত আমীর মো. নাজমুল আহসান, বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাউফল উপজেলা সভাপতি মো. রেদোয়ান উল্লাহ,বাউফল সদর ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুস সুবাহান প্রমুখ।