সম্প্রতি উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নেতৃত্বাধীন ভারত ও মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তান যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টার নামে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বে ভারতের আঘাত ও ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়ে মসজিদ ও সাধারণ জনগণকে নির্মমভাবে হত্যা এই যুদ্ধের প্রধান কারণ।
ভারত তাদের বর্বরোচিত অভিযানের নাম দেয় অপারেশন সিঁদুর ও পাকিস্তান তা প্রতিরোধে যে পাল্টা অভিযান শুরু করে, তার নাম দেয় বুনয়ানুম মারসুস বা সীসাঢালা প্রাচীর এবং ৭ থেকে ১০ মে ৪ দিন যাবত চলমান পুরো যুদ্ধের নাম দেয় মা’রিকায়ে হক। যার অর্থ সত্যের লড়াই।
সত্যের এই লড়াইয়ে ভারত ও পাকিস্তান দু’পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও প্রতিরোধ কৌশল বিবেচনায় পাকিস্তানের জয় ও ভারতের পরাজয় সুস্পষ্ট।
জয় উদযাপন ও শুকরিয়া আদায়ে পাকিস্তান আগামীকাল ১৬ মে শুক্রবার জুম’আর দিনটিকে নির্ধারণ করে। দিবসের নাম দেয়, ইয়াউমে তাশাক্কুর।
এআরওয়াই নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ফজরের সময় প্রতিটি মসজিদ থেকে এই দিবস উদযাপন শুরু হবে। জামাতে ফজরের নামাজ আদায়ের পর সর্বপ্রথম কোরআন খতম ও বিশেষ দোয়ার আয়োজনের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে। রাজধানী ইসলামাবাদে ৩১ বার এবং প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সালাম জানানো হবে। কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ ও আল্লামা ইকবালের মাজারে গার্ড পরিবর্তন অনুষ্ঠান ও দোয়া হবে। শহীদদের স্মরণেও দোয়ার আয়োজন ও ফুল অর্পণ করা হবে। তাদের পরিবারের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ইসলামাবাদের পাকিস্তান মনুমেন্টে ইয়াউমে তাশাক্কুর দিবসের মূল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, চিফ অব আর্মি স্টাফ এবং অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এই দিনটি পাকিস্তানের জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ হিসেবে পালন করা হবে।