আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান ক্বারী ফসিহউদ্দিন ফিতরাত স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ইমারাতে ইসলামিয়া বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে আমেরিকাসহ কোনো দেশের সঙ্গেই কোনো আলোচনায় বসবে না। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের মাটিতে একজন বিদেশি সৈন্যের উপস্থিতিও গ্রহণযোগ্য নয় এবং এই ঘাঁটি পুরোপুরি ইমারাতে ইসলামিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফাসিহুদ্দিন ফিতরাত এসব কথা বলেন।
আফগান সেনাপ্রধান বলেন, “আজ আমরা বাগরামে সামরিক কুচকাওয়াজ করছি, যে ঘাঁটি নিয়ে তাদের উচ্চ প্রত্যাশা ছিল, এবং আমাদের ডিভিশন সেখানে অবস্থান করছে, যা সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এখন কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে গুজব ছড়াচ্ছে যে ইমারাতে ইসলামিয়া এই ঘাঁটি নিয়ে আলোচনায় রাজি। আমরা আফগান মুসলিম জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে এ বিষয়ে আমেরিকা বা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে আমরা যাব না।”
ফাসিহুদ্দিন ফিতরাত আরও বলেন, আফগানিস্তানে এমন কোনো ধ্বংসাত্মক বা হুমকিমূলক গোষ্ঠী নেই, যারা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, এবং আফগান মাটি কোনো জাতির জন্য হুমকি নয়।
তার ভাষায়, “আফগানিস্তান থেকে কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এখানে ধ্বংসাত্মক গোষ্ঠীর উপস্থিতির দাবি হলো ইমারাতে ইসলামিয়াকে দুর্বল করা এবং আমাদের জনগণ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করার জন্য পরিচালিত একটি কালিমালেপন প্রচারণা।”
সেনাবাহিনীর কাঠামো নিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে সেনা সদস্যের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ২ লাখের মধ্যে এবং প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া তিনি জানান, শিগগিরই সেনাদের মধ্যে নতুন ইউনিফর্ম বিতরণ করা হবে।
ফিতরাত বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থানান্তরিত আফগান সামরিক বিমানগুলো ফেরত আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এটি আফগান জনগণের জাতীয় সম্পদ, ইমারাতে ইসলামিয়া কখনোই এটি ত্যাগ করবে না।” তার মতে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিছু দাবি উত্থাপন করেছে, কিন্তু ইমারাতে ইসলামিয়া সেগুলো গ্রহণ করছে না।
সূত্র : আরিয়ানা নিউজ